কাহার্‌বা

  • গান ভুলে যাই

    বাণী

    গান ভুলে যাই, মুখ পানে চাই, সুন্দর হে (সুন্দর মোর!)।
    তব নয়ন পানে চাহি’ কণ্ঠের সুর কাঁপে থর থর হে (সুন্দর মোর!)।।
    		তোমার অনুরাগে, ওগো বুল্‌বুল্‌
    	মোর	গানের লতায় ফোটে কথার ফুল,
    অশ্রু হয়ে সেই ফুল তব পায়ে ঝরিতে চায় ঝর ঝর হে।।
    এ নহে গান প্রিয়, কান্না এ যে তব বিরহে,
    অন্তর-শিলাতলে রোদনের সুরধুনী সুর হয়ে বহে।
    		প্রিয়, এ নহে গানের ছন্দ,
    		এ যে আনন্দে-বিষাদে মনের দ্বন্দ্ব,
    (এ যে) রাগিণীর তলে তব অনুরাগিণীর মর্মের ক্রন্দন-বিলাপ মর্মর হে।।
    
  • গানের সাথি আছে আমার সুরের সেতু-পারে

    বাণী

    গানের সাথি আছে আমার সুরের সেতু-পারে।
    তা’রি আশায় গানের ভেলা ভাসাই পারাবারে।।
    	জানি জানি আমার এ সুর
    	পাবেই পাবে চরণ বঁধুর
    ঐ ভেলাতে আসবে বঁধু গভীর অন্ধকারে।।
    ঘুমে যখন মগ্ন সবাই বন্ধু আমার আসে
    ফুলের মতন সুরগুলি তার মুখ চেয়ে’হাসে।
    	উদ্দেশে তার গানগুলি মোর
    	যায় ভেসে যায় নেশায় বিভোর
    যেমন ক’রে ছায় গো তপন চাঁদের অধিকারে।।
    
  • গাহ নাম অবিরাম কৃষ্ণনাম

    বাণী

    গাহ নাম অবিরাম কৃষ্ণনাম কৃষ্ণনাম।
    মহাকাল যে নামের করে প্রাণায়াম।।
    যে নামের গুণে কংস কারার খোলে দ্বার।
    বসুদেব যে নামে যমুনা হ’ল পার।
    যে নাম মায়ায় হল তীর্থ ব্রজধাম।।
    দেবকীর বুকের পাষাণ গলে,
    যে নাম দোলে যশোদার কোলে।
    যে নাম লয়ে কাঁদে রাই রসময়ী,
    কুরুক্ষেত্রে যে নামে হল পান্ডব জয়ী।
    গোলকে নারায়ণ, ভূলোকে রাধাশ্যাম।।
    
  • গাহে আকাশ পবন নিখিল ভুবন

    বাণী

    গাহে আকাশ পবন নিখিল ভুবন (গাহে) তোমারই নাম।
    সাগর নদী বন উপবন (গাহে) তোমারই নাম।।
    	মধুর তোমার গানের নেশায়
    	ঘোর লাগে ঐ গ্রহ-তারায়,
    অনন্ত কাল ঘুরিয়া বেড়ায় — ঘিরি’ অসীম গগন।।
    	তোমার প্রিয় নামে, হে বঁধূ,
    	ফুলের বুকে পুরে মধু।
    	তোমার নামের মাধুরি মাখি’
    	গান গেয়ে যায় বনের পাখি,
    নিখিল পাগল ও নাম ডাকি’ — কোটি চন্দ্র তপন।।
    
  • গিন্নির চেয়ে শালী ভালো

    বাণী

    গিন্নির চেয়ে শালী ভালো মেসোর চেয়ে মামা।
    আর ডাইনের চেয়ে ডুগি ভালো অর্থাৎ কিনা বামা।।
    একশালা সে দোশালা আচ্ছা, চন্ডুর চেয়ে গাঁজা,
    আর হাতের চেয়ে ভালো, তেনার হাতদিয়ে পান সাজা,
    আর ধাক্কার চেয়ে গুঁতো ভালো, উকোর চেয়ে ঝামা।।
    টিকির চেয়ে বেণী ভালো, ধূতির চেয়ে শাড়ি,
    আর পাঠার চেয়ে মুরগি ভালো, থানার চেয়ে ফাঁড়ি
    ঠুঁটোর চেয়ে নুলো ভালো, প্যান্ট চেয়ে পায়জামা।।
    আর পেয়াদার চেয়ে যম ভালোরে (ভাই), শালের চেয়ে বাঁশ,
    আর দাঁড়ির চেয়ে গোফ্ ভলো ভাই আঁটির চেয়ে শাঁস,
    আর ছেলের চেয়ে ছালা ভালো (ওগো), ঝুড়ির চেয়ে ধামা।।
    পাকার চেয়ে কাঁচা ভালো, কালোর চেয়ে ফরসা
    আর পেত্‌নীর চেয়ে ভূত ভালো ভাই, ছাড়বার থাকে ভরসা,
    আর ঝগ্‌ড়ার চেয়ে কুস্‌তি ভালো, কাল্লুর চেয়ে গামা।।
    
  • গিরিধারী গোপাল ব্রজ গোপ দুলাল

    বাণী

    গিরিধারী গোপাল ব্রজ গোপ দুলাল
    অপরূপ ঘনশ্যাম নব তরুণ তমাল॥
    বিশাখার পটে আঁকা মধুর নিরুপম
    কান্ত ললিতার শ্রীরাধা প্রীতম
    রুক্মিণী-পতি হরি যাদব ভূপাল॥
    যশোদার স্নেহডোরে বাঁধা ননীচোর
    নন্দের নয়ন-আনন্দ-কিশোর
    শ্রীদাম-সুদাম-সখা গোঠের রাখাল॥
    কংস-নিসূদন কৃষ্ণ মথুরাপতি
    গীতা উদ্‌গাতা পার্থসারথি
    পূর্ণ ভগবান বিরাট বিশাল॥
    
  • গুনগুনিয়ে ভ্রমর এলো ফুলের পরাগ মেখে

    বাণী

    গুনগুনিয়ে ভ্রমর এলো ফুলের পরাগ মেখে
    তোমার বনে ফুল ফুটেছে যায় ক'য়ে তাই ডেকে।।
    	তোমার ভ্রমর দূতের কাছে
    	যে বারতা লুকিয়ে আছে —
    দখিন হাওয়ায় তারি আভাস শুনি থেকে থেকে।।
    দল মেলেছে তোমার মনের মুকুল এতদিনে —
    সেই কথাটি পাখিরা গায় বিজন বিপিনে।
    	তোমার ঘাটের ঢেউগুলি হায়
    	আমার ঘাটে দোল দিয়ে যায় —
    লতায় পাতায় জোছনা দিয়ে সেই কথা চাঁদ লেখে।।
    
  • গোঠের রাখাল বলে দে রে

    বাণী

    		গোঠের রাখাল, বলে দে রে কোথায় বৃন্দাবন।
    (যথা)		রাখাল–রাজা গোপাল আমার খেলে অনুক্ষণ।।
    (যথা)		দিনে রাতে মিলন–রাসে
    		চাঁদ হাসে রে চাঁদের পাশে,
    (যা’র)		পথের ধূলায় ছড়িয়ে আছে শ্রীহরি–চন্দন।।
    (যথা)		কৃষ্ণ–নামের ঢেউ ওঠে রে সুনীল যমুনায়,
    (যা’র)		তমাল–বনে আজো মধুর কানুর নূপুর শোনা যায়।
    		আজো যাহার কদম ডালে
    		বেণু বাজে সাঁঝ–সকালে,
    		নিত্য লীলা করে যথা মদন–মোহন।।
    
  • গোলাপ ফুলের কাঁটা আছে সে গোলাব শাখায়

    বাণী

    গোলাপ ফুলের কাঁটা আছে সে গোলাব শাখায়,
    এনছি ছিঁড়ে তায় রাতুল পরাতে তোমায় খোঁপায়।
    কি হবে জানিয়া গোলাব কাঁদিল কি না;
    হৃদয় ছিঁড়েছি যাহার, বুঝিবে না গো সে বিনা।
    ভুল ভাঙায়ো না আর সাকি, ঢালো শারাব-পিয়ালা।
    মতলব কহিব পিছে, নেশা ধরুক চোখে বালা।।
    জানি আমি জানে বুলবুল কেন দলিয়া চলি ফুল,
    ভালোবাসি যারে যতই, তারে ততই হানি জ্বালা।।
    তিক্ত নহে এ শারাব বিফল মোর জীবনের চেয়ে,
    শোনায়ো না নীতি-কথা, শোনাও খুশির গজল গেয়ে;
    টুটিয়া আসিবে নেশা, ঢালো শারাব-পিয়ালা।।
    
  • ঘন দেয়া গরজায় গো

    বাণী

    ঘন দেয়া গরজায় গো — কেঁদে ফেরে পূবালী বায়।।
    একা ঘরে মম ডর লাগে, কার বিধুর স্মৃতি মনে জাগে,
    বারি ধারে কাঁদে চারিধার, সে কোথায় আজি সে কোথায়।।
    গগনে বরষে বারি, তৃষ্ণা গেল না তবু আমারি,
    কোন্‌ দূর দেশে প্রিয়তম এ বিধুর বরষায়।।
    
  • ঘন-ঘোর-মেঘ-ঘেরা দুর্দিনে ঘনশ্যাম

    বাণী

    ঘন-ঘোর-মেঘ-ঘেরা দুর্দিনে ঘনশ্যাম ভূ-ভারত চাহিছে তোমায়।
    ধরিতে ধরার ভার নাশিতে এ হাহাকার আরবার এসো এ ধরায়।।
    		নিখিল মানবজাতি কলহ ও দ্বন্দ্বে
    		পীড়িত শ্রান্ত আজি কাঁদে নিরানন্দে,
    শঙ্খপদ্ম হাতে এ ঘোর তিমির-রাতে তিমির-বিদারী এসো অরুণ-প্রভায়।।
    বিদূরিত কর এই নিরাশা ও ভয়, মানুষে মানুষে হোক প্রেম অক্ষয়।
    কলিতে দলিতে এসো এই দুখ-পাপ-তাপ আন বর সুন্দর, শেষ হোক অভিশাপ,
    গদা ও চক্র করে অরিন্দম এসো, হত-মার দুর্বল মাগিছে সহায়।।
    
  • ঘর-ছাড়া ছেলে আকাশের চাঁদ

    বাণী

    	ঘর-ছাড়া ছেলে আকাশের চাঁদ আয় রে।
    	জাফ্‌রানি রঙের পরাব পিরান তোর গায় রে।।
    	আস্‌মানে যেতে চায় তারা হয়ে আমার নয়ন-তারা
    (তোর)	খেলার সাথি কাঁদে শাপ্‌লার ফুল, ফিরে আয় পথ-হারা,
    	দু’নয়ন ঘুমে ঢুলে, হৃদয় ঘুমায় না, কাছে পেতে চায় রে।।
    	চোখের কাজল তোর চাঁদ-মুখে লেগেছে, (আয়) মুছাব আঁচলে
    	দেখ্ মায়ের তোর স্নেহের সাগর আছে উথলে,
    (মোর)	মনের ময়না! ঘরে মন রয় না, পথ চেয়ে’ রাত কেটে যায় রে।।
    

    চলচ্চিত্র : ‘চৌরঙ্গী’

  • ঘরে আয় ফিরে ফিরে আয়

    বাণী

    ঘরে আয় ফিরে, ফিরে আয় পথহারা ওরে ঘর-ছাড়া ফিরে আয়।
    ফেলে যাওয়া তোর বাঁশরি রে কানাই কাঁদে লুটায়ে ধূলায়।।
    	ব্রজে আয় ফিরে ওরে ও-কিশোর
    	কাঁদে বৃন্দাবন কাঁদে রাধা তোর,
    বাঁধিব না আর ওরে ননীচোর — অভিমানী মোর ফিরে আয়।।
    	তোর মা’র মতন ল’য়ে শূন্য কোল্‌
    	জাগে শূন্য মাঠ গ্রহ শোক-বিভোল
    ঝরে যায় যে ফুল মরে যায় ফসল — ওরে শ্যামল তোর বেদনায়।।
    	আসিলে ফিরে ওরে পথ-বেভুল
    	আবার উঠবে রোদ, আবার ফুঠবে ফুল,
    ধানে ভরবে মাঠ আবার বসবে হাট — জোয়ার বইবে হৃদ-যমুনায়।।
    
  • ঘরে যদি এলে প্রিয়

    বাণী

    ঘরে যদি এলে প্রিয় নাও একটি খোঁপার ফুল।
    আমার চোখের দিকে চেয়ে ভেঙে দাও মনের ভুল।।
    অধর কোণের ঈষৎ হাসির আলোকে
    বাড়িয়ে দাও আমার গহন কালোকে,
    যেতে যেতে মুখ ফিরিয়ে দুলিয়ে যেয়ো দুল।।
    একটি কথা ক’য়ে যেয়ো একটি নমস্কার
    সেই কথাটি গানের সুরে গাইব বার বার,
    হাত ধরে মোর বন্ধু ভুলো তোমার মনের সকল ভুল।।
    

    নাটক : ‘মদিনা’

  • ঘুম আয় ঘুম

    বাণী

    ঘুম আয় ঘুম।
    নিশুতি দুপুর নিশীথ নিঝুম।।
    টুলটুল ঝিঙে ফুল ঘুমে ঝিমায়,
    ঝুমকো লতায় ঝিঁঝিঁ আলসে ঘুমায়,
    খোকনের চোখে দেয় ঘুমপরী চুম্।।
    

    নাটিকা : ‘জুজুবুড়ির ভয়’

  • ঘুম টুটেছে ফুল-কলিদের

    বাণী

    ঘুম টুটেছে ফুল-কলিদের রঙ লেগেছে ফুলবনে।
    দখিনা বাতাস আভাসে জানায় আগমনী তার মোর মনে।।
    	মন উচাটন, মনে রয় না রয় না
    	তার বিনা, কথা আর, কয় না কয় না,
    নয়নে ঘুম আর সয় না সয় না — শুধাই তা’র কথা জনে জনে।।
    রাঙা রঙের ছোঁয়া লাগে লাজ-রাঙা মোর মনে।
    নিশীথ-রাতে পলাশ-বনে মিল্‌ব কি বঁধুর সনে।।
    
  • ঘুমায়েছে ফুল পথের ধূলায়

    বাণী

    ঘুমায়েছে ফুল পথের ধূলায় (ওগো)
    	জাগিয়ো না উহারে ঘুমাইতে দাও।
    বনের পাখী ধীরে গাহ গান
    	দখিনা হাওয়া ধীরে ধীরে বয়ে যাও।।
    এখনো শুকায়নি চোখে তারই জল
    	এখনো আঁধারে হাসি ছলছল
    প্রভাত রবি শুকায়ো না তায়
    	ধীরে কিরণে তাহারি নয়নে চাও।।
    সামলে পথিক ফেলিয়ো চরন
    	ঝরেছে হেথায় ফুলেরও জীবন।
    ভুলিয়া দল না ঝরা পাতাগুলি
    	ফুল সমাধি থাকিতে পারে হেথাও।।
    

  • চক্র সুদর্শন ছোড়কে মোহন

    বাণী

    চক্র সুদর্শন ছোড়কে মোহন তুম ব্যনে বনওয়ারী।
    ছিন লিয়ে হ্যয় গদা-পদম্‌ সব মিল করকে ব্রজনারী।।
    	ছার ভুজা আব দো বনায়ে
    	ছোড়কে বৈকুণ্ঠ ব্রিজ মে আয়ে,
    রাস রচায়ে ব্রিজ্‌কে মোহন ব্যন্ গ্যয়ে মুরলী-ধারী।।
    	সত্যভামাকো ছোড়কে আয়ে
    	রাধা প্যারী সাথমে লায়ে,
    বৈতরণী কো ছোড়কে ব্যন গ্যয়ে যমুনাকে তটচারী।।
    
  • চঞ্চল সুন্দর নন্দকুমার

    বাণী

    চঞ্চল সুন্দর নন্দকুমার।
    গোপী চিতচোর প্রেম-মনোহর নওল কিশোর
    অন্তর মাঝে বাজে বেণু তার নন্দকুমার
    	নন্দকুমার, নন্দকুমার॥
    শ্রাবণ আনন্দ নূপুর ছন্দ রুনুঝুনু বাজে
    নন্দের আঙিনায় নন্দন চন্দ, নাচিছে হেলে দুলে গোপাল সাজে।
    টলমল টলে রাঙা পদতলে লঘু হ’য়ে বিপুল ধরণীর ভার —
    	নন্দকুমার, নন্দকুমার, নন্দকুমার॥
    রূপ নেহারিতে এলো লুকায়ে দেবতা
    কেহ গোপগোপী হলো, কেহ তরুলতা;
    আনন্দ-অশ্রু নদী হ’য়ে বয়ে যায়, উতল যমুনায়।
    প্রণতা প্রকৃতি নিরালা সাজায়,
    বনডালায় পূজা ফুল সম্ভার।
    	নন্দকুমার, নন্দকুমার, নন্দকুমার॥
    
  • চঞ্চল সুন্দর নন্‌দ্‌ কুমার গোপী

    বাণী

    চঞ্চল সুন্দর নন্‌দ্‌ কুমার গোপী চিতচোর প্রেম্‌ মনোহর নওল কিশোর।
    বাজতাহি মন্‌মে বাঁশুরি কি ঝন্‌কার, নন্‌দ্‌ কুমার নন্‌দ্‌ কুমার নন্‌দ্‌ কুমার।।
    শ্রবণ-আনন্দ্‌ বিছুয়া কি ছন্দ রুনুঝুনু বোলে
    নন্দ্‌কে আঙ্গ্‌নামে নন্দন চন্দ্রমা গোপাল বন্‌ ঝুমত্‌ ঝুমত্‌ ডোলে,
    ডগমগ ডোলে, রাঙ্গা পাঁউ বোলে লঘু হোকে বিরাট ধরতী কা ভার।।
    রূপ নেহারনে আয়ে লূকছুপ্‌ দেওতা
    কোই গোপ গোপী বনা কোই বৃকশ লতা,
    নদী হো বহে লাগে আনন্দ্‌কে আঁসু যমুনা জল সুঁ —
    প্রণতা প্রকৃতি নিরালা সাজোয়ে, পূজা কর্‌নে কো ফুল লিয়ে আয়ে বন্‌ডার।।