কাহার্‌বা

  • কোন্ বিদেশের নাইয়া তুমি

    বাণী

    স্ত্রীঃ		কোন্ বিদেশের নাইয়া তুমি আইলা আমার গাঁও
    		কুল-বধূর সিনান ঘাটে বাঁধলে তোমার নাও॥
    পুরুষঃ		বাণিজ্যেরই লাইগ্যা কন্যা বেড়াই ভেসে স্রোতে
    		(ওগো) তোমার রূপের হাট দেখলাম যাইতে এই পথে।
    স্ত্রীঃ		বুঝি তাই বাঁশের বাঁশি, তাই দিয়ে কি হে বিদেশি
    		অমূল্য এই মনের মানিক, কিনতে তুমি চাও॥
    পুরুষঃ		তোমায় পাবো বলে আজো শূন্য আমার তরী (রে কন্যা)
    স্ত্রীঃ		অমন করে চাই ও না গো আমি ভয়ে মরি।
    পুরুষঃ		ভয়ে মরার চেয়ে কন্যা ডুবে মরা ভালো
    স্ত্রীঃ		আমার মন ডুবেছে দেখে তোমার নয়ন কাজল কালো (রে বন্ধু)
    উভয়েঃ	নূতন প্রেমের যাত্রী দু’জন ছোট্ট মোদের নাও
    		ওরে গহীন জলের আকুল জোয়ার অকূলে ভাসাও 
    		মোদের অকূলে ভাসাও॥
    
  • খয়বর-জয়ী আলী হায়দার জাগো

    বাণী

    	খয়বর-জয়ী আলী হায়দার, জাগো জাগো আরবার।
    	দাও দুশমন দুর্গ-বিদারী দু'ধারী জুলফিকার।।
    	এসো শেরে খোদা ফিরিয়া আরবে,
    	ডাকে মুসলিম ‘ইয়া আলী’ রবে, —
    	হায়দারী হাঁকে তন্দ্রা-মগনে করো করো হুঁশিয়ার।।
    	আল-বোর্জের চূড়া গুঁড়া-করা গোর্জ আবার হানো,
    	বেহেশতী সাকী মৃত এ জাতিরে আবে কওসার দানো।
    আজি	বিশ্ব-বিজয়ী জাতি যে বেহোঁশ
    	দাও তারে নব কুয়ৎ ও জোশ;
    এসো	নিরাশায় মরু-ধূলি উড়ায়ে দুল্‌দুল্-আস্ওয়ার।।
    
  • খাতুনে জান্নাত ফাতেমা জননী

    বাণী

    খাতুনে জান্নাত ফাতেমা জননী — বিশ্ব-দুলালী নবী নন্দিনী,
    মদিনাবাসিনী পাপতাপ নাশিনী উম্মত-তারিণী আনন্দিনী।।
    	সাহারার বুকে মাগো তুমি মেঘ-মায়া,
    	তপ্ত মরুর প্রাণে স্নেহ-তরুছায়া;
    মুক্তি লভিল মাগো তব শুভ পরশে বিশ্বের যত নারী বন্দিনী।।
    হাসান হোসেনে তব উম্মত তরে, মাগো
    কারবালা প্রান্তরে দিলে বলিদান,
    বদলাতে তার রোজ হাশরের দিনে
    চাহিবে মা মোর মত পাপীদের ত্রাণ।
    	এলে পাষাণের বুকে চিরে নির্ঝর সম,
    	করুণার ক্ষীরধারা আবে-জমজম;
    ফিরদৌস হ’তে রহমত বারি ঢালো সাধ্বী মুসলিম গরবিনী।।
    
  • খুলেছে আজ রঙের দোকান বৃন্দাবনে হোরির দিনে

    বাণী

    খুলেছে আজ রঙের দোকান বৃন্দাবনে হোরির দিনে।
    প্রেম-রঙিলা ব্রজ-বালা যায় গো হেথায় আবির কিনে।।
    	আজ গোকুলের রঙ মহলায়
    	রামধনু ঐ রঙ পিয়ে যায়
    সন্ধ্যা-সকাল রাঙতো না গো ঐ হোরির কুমকুম বিনে।।
    রঙ কিনিতে এসে সেথায় রব শশী আকাশ ভেঙে'
    এই ফাগুনী ফাগের রাগে অশোক শিমুল ওঠে রেঙে'।
    আসে হেথায় রাধা-মাধব এই রঙেরই পথ চিনে।।
    

  • খুশি লয়ে খুশরোজের আয় খেয়ালি

    বাণী

    খুশি লয়ে খুশরোজের আয় খেয়ালি খুশ্‌-নসীব।
    জ্বাল্‌ দেয়ালি শবেরাতের জ্বাল রে তাজা প্রাণ প্রদীপ।।
    	আন্‌ নয়া দ্বীনী ফরমান
    	দরাজ দিলে দৃপ্ত গান,
    প্রাণ পেয়ে আজ গোরস্থান তোর ডাকে জাগুক নকীব।।
    আন্‌ মহিমা হজরতের শক্তি আন্‌ শেরে খোদার,
    কুরবানী আন্‌ কারবালার আন্‌ রহম মা ফাতেমার,
    আন্‌ উমরের শৌর্য বল সিদ্দিকের আন্‌ সাচ্চা মন,
    হাসান হোসেনের সে ত্যাগ শহীদানের মৃত্যুপণ,
    রোজ হাশরে করবেন পার মেহেরবান খোদার হাবিব।।
    খোৎবা পড়বি মসজিদে তুই খতীব নূতন ভাষায়,
    শুষ্ক মালঞ্চের বুকে ফুল ফুটাবি ভোর হাওয়ায়,
    এস্‌মে-আজম এনে মৃত মুসলিমে তুই কর সজীব।।
    
  • খেলত বায়ু ফুলবন-মে আও প্রাণ-পিয়া

    বাণী

    খেলত বায়ু ফুলবন-মে, আও প্রাণ-পিয়া।।
    আও মন-মে প্রেম-সাথি আজ রজনী, গাও প্রেম-পিয়া।।
    মন-বন-মে প্রেম মিলি দোলত হ্যয় ফুল কলি
    বোলত হ্যয় পিয়া পিয়া বাজে মুরলীয়া, আওয়ে শ্যাম পিয়া।।
    মন্দির মে বাজত হ্যয় পিয়া তব মুরতি
    প্রেম পূজা লেও পিয়া, আও প্রেম-সাথি।
    চাঁদ হাসে তারা সাথে আও পিয়া প্রেম-রথে
    সুন্দর হায় প্রেম-রাতি আও মোহনীয়া, আও প্রাণ পিয়া।।
    
  • খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে

    বাণী

    খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে।
    প্রলয় সৃষ্টি তব পুতুল খেলা নিরজনে প্রভু নিরজনে।।
    	শূন্যে মহা আকাশে
    	মগ্ন লীলা বিলাসে,
    ভাঙিছ গড়িছ নিতি ক্ষণে ক্ষণে।।
    তারকা রবি শশী খেলনা তব, হে উদাসী,
    পড়িয়া আছে রাঙা পায়ের কাছে রাশি রাশি।
    	নিত্য তুমি, হে উদার
    	সুখে দুখে অবিকার,
    হাসিছ খেলিছ তুমি আপন মনে।।
    
  • খেলিছে জলদেবী সুনীল সাগর জলে

    বাণী

    খেলিছে জলদেবী সুনীল সাগর জলে।
    তরঙ্গ - লহর তোলে লীলায়িত কুন্তলে।।
    ছল-ছল উর্মি-নূপুর
    স্রোত-নীরে বাজে সুমধুর,
    চল-চঞ্চল বাজে কাঁকন কেয়ূর
    ঝিনুকের মেখলা কটিতে দোলে।।
    আনমনে খেলে জল-বালিকা
    খুলে পড়ে মুকুতা মালিকা
    হরষিত পারাবারে উর্মি জাগে
    লাজে চাঁদ লুকালো গগন তলে।।
    

  • খেলে চঞ্চলা বরষা-বালিকা

    বাণী

    খেলে চঞ্চলা বরষা-বালিকা
    মেঘের এলোকেশে ওড়ে পুবালি বায়
    দোলে গলায় বলাকার মালিকা।।
    চপল বিদ্যুতে হেরি' সে চপলার
    ঝিলিক হানে কণ্ঠের মণিহার,
    নীল আঁচল হতে তৃষিত ধরার পথে
    ছুড়ে ফেলে মুঠি মুঠি বৃষ্টি শেফালিকা।।
    কেয়া পাতার তরী ভাসায় কমল-ঝিলে
    তরু-লতার শাখা সাজায় হরিৎ নীলে।
    ছিটিয়ে মেঠো জল খেলে সে অবিরল
    কাজলা দীঘির জলে ঢেউ তোলে
    আনমনে ভাসায় পদ্ম-পাতার থালিকা।।
    
  • খোদা এই গরীবের শোন শোন মোনাজাত

    বাণী

    খোদা এই গরীবের শোন শোন মোনাজাত।
    দিও তৃষ্ণা পেলে ঠান্ডা পানি ক্ষুধা পেলে লবণ-ভাত।।
    		মাঠে সোনার ফসল দিও,
    		দিও গৃহ ভরা বন্ধু প্রিয়, দিও
    হৃদয় ভরা শান্তি দিও – (খোদা) সেই তো আমার আবহায়াত।।
    আমায় দিয়ে কারুর ক্ষতি হয় না যেন দুনিয়ায়,
    আমি কারুর ভয় না করি, মোরেও কেহ ভয় না পায়, খোদা।
    (যবে)	মস্‌জিদে যাই তোমারি টানে
    (যেন)		মন নাহি ধায় দুনিয়া পানে
    আমি ঈদের চাঁদ দেখি যেন আস্‌লে দুখের আঁধার রাত।।
    
  • খোদার প্রেমের শরাব পিয়ে

    বাণী

    খোদার প্রেমের শরাব পিয়ে বেহুঁশ হয়ে রই প’ড়ে
    ছেড়ে’ মস্‌জিদ আমার মুর্শিদ এল যে এই পথ ধ’রে।।
    দুনিয়াদারির শেষে আমার নামাজ রোজার বদ্‌লাতে
    চাইনে বেহেশ্‌ত্‌ খোদার কাছে নিত্য মোনাজাত ক’রে।।
    কায়েস যেমন লাইলী লাগি’ লভিল মজনু খেতাব
    যেমন ফরহাদ শিঁরির প্রেমে হ’ল দিওয়ানা বেতাব।
    বে–খুদীতে মশ্‌গুল্‌ আমি তেমনি মোর খোদার তরে।।
    

  • খোদার হবিব হলেন নাজেল

    বাণী

    খোদার হবিব হলেন নাজেল খোদার ঘর ঐ কাবার পাশে।
    ঝুঁকে’ প’ড়ে আর্শ কুর্‌সি, চাঁদ সূরয তাঁয় দেখতে আসে।।
    ভেঙে পড়ে মূরত মন্দির, লা’ত মানাত, শয়তানী তখ্ত,
    লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’র উঠিছে তক্‌বির আকাশে।।
    খুশির মউজ তুফান তোরা দেখে যা মরুভূমে,
    কোহ-ই-তূরের পাথরে আজ বেহেশ্‌তী ফুল ফুটে’ হাসে।।
    য়্যেতিম-তারণ য়্যেতিম হয়ে এলো রে এই দুনিয়ায়,
    য়্যেতিম মানুষ-জাতির ব্যথা নৈলে বুঝ্ত না সে।।
    সূর্য ওঠে, ওঠে রে চাঁদ, মনের আঁধার যায় না তায়,
    হৃদ-গগন যে কর্‌ল রওশন্, সেই মোহাম্মদ ঐ রে হাসে।
    আপন পুণ্যের বদ্লাতে যে মাগিল মুক্তি সবার,
    উম্মতি উম্মতি ক’য়ে দেখ্ আঁখি তাঁর জলে ভাসে।।
    
  • গগনে কৃষ্ণ মেঘ দোলে

    বাণী

    গগনে কৃষ্ণ মেঘ দোলে – কিশোর কৃষ্ণ দোলে বৃন্দাবনে।
    থির সৌদামিনী রাধিকা দোলে নবীন ঘনশ্যাম সনে;
    দোলে রাধা শ্যাম ঝুলন-দোলায় দোলে আজি শাওনে।।
    পরি’ ধানি রঙ ঘাঘরি, মেঘ রঙ ওড়না
    গাহে গান, দেয় দোল গোপীকা চল-চরণা,
    ময়ূর নাচে পেখম খুলি’ বন-ভবনে।।
    গুরু গম্ভীর মেঘ-মৃদঙ্গ বাজে আঁধার অশ্রুর তলে,
    হেরিছে ব্রজের রসলীলা অরুন লুকায়ে মেঘ-কোলে।
    মুঠি মুঠি বৃষ্টির ফুল ছুঁড়ে হাসে
    দেব-কুমারীরা হেরে অদূর আকাশে,
    জড়াজড়ি করি‌‘ নাচে, তরুলতা উতলা পবনে।।
    

  • গগনে খেলায় সাপ বরষা-বেদিনী

    বাণী

    	গগনে খেলায় সাপ বরষা-বেদিনী।
    	দূরে দাঁড়ায়ে দেখে ভয়-ভীতা মেদিনী।।
    	দেখায় মেঘের ঝাপি তুলিয়া
    	ফনা তুলি’ বিদ্যুৎ-ফণি ওঠে দুলিয়া,
    	ঝড়ের তুব্‌ড়িতে বাজে তার অশান্ত রাগিণী।।
    	মহাসাগরে লুটায় তার সর্পিল অঞ্চল
    	দিগন্তে দুলে তার এলোকেশ পিঙ্গল
    	ছিটায় মন্ত্রপূত ধারাজল অবিরল তন্বী-মোহিনী।।
    	অশনি-ডমরু ওঠে দমকি’
    	পাতালে বাসুকি ওঠে চমকি’
    তার 	ডাক শুনে ছুটে আসে নদীজল যেন পাহাড়িয়া নাগিনী।।
    

  • গগনে প্রলয় মেঘের মেলা

    বাণী

    গগনে প্রলয় মেঘের মেলা জীবন-ভেলা দোলে টলমল
    নীর অপার ভব পারাবার তীর না হেরে পরান বিকল
    	তীর না হেরে নয়নে পরান বিকল।।
    	দীন দয়াল ভীত দীন জনে
    	মাগে শরণ তব অভয় চরণে
    দুস্তর দুর্গম দুঃখ জলধি তরিতে চরণ-তরী ভরসা কেবল।।
    
  • গভীর নিশীথে জাগি’ খুঁজি তোমারে

    বাণী

    গভীর নিশীথে জাগি’ খুঁজি তোমারে।
    দূর গগনে প্রিয় তিমির-‘পারে।।
    জেগে যবে দেখি হায় তুমি নাই কাছে
    আঙিনাতে ফুটে’ ফুল ঝ’রে পড়ে আছে,
    বাণ-বেঁধা পাখি সম আহত এ প্রাণ মম —
    লুটায়ে লুটায়ে কাঁদে অন্ধকারে।।
    মৌন নিঝুম ধরা, ঘুমায়েছে সবে,
    এসো প্রিয়, এই বেলা বক্ষে নীরবে।
    কত কথা কাঁটা হ’য়ে বুকে আছে বিঁধে
    কত আভিমান কত জ্বালা এই হৃদে,
    দেখে যাও এসো প্রিয় কত সাধ ঝ’রে গেল —
    কত আশা ম’রে গেল হাহাকারে।।
    

  • গম্ভীর আরতি নৃত্যের ছন্দে

    বাণী

    গম্ভীর আরতি নৃত্যের ছন্দে।
    হে প্রভু! তোমারে প্রকৃতি বন্দে।।
    	চন্দ্র সূর্য কত শত গ্রহ তারা
    	তোমারে ঘিরি’ নাচে প্রেমে মাতোয়ারা,
    অনন্ত কাল ঘোরে ধূমকেতু উল্কা আগুন জ্বালায়ে বুকে উগ্র আনন্দে
    লীলায়িত সিন্ধু অবোধ উল্লাসে,
    মেঘ হ’য়ে উড়ে যেতে চায় তব পাশে।
    	নব নব সৃষ্টি বৃষ্টিধারার প্রায়
    	সেই ছন্দের তালে অবিরাম ঝ’রে যায়,
    ধরণীর গোপন অনুরাগ ভক্তি ফুটে ওঠে নীরব পুষ্প-সুগন্ধে।।
    

    ১. প্রেম ২. ভাব উল্লাসে

  • গহন বনে শ্রীহরি নামের মোহন বাঁশি কে

    বাণী

    গহন বনে শ্রীহরি নামের মোহন বাঁশি কে বাজায়।
    ভুবন ভরি’ সেই সুরেরি সুরধুনি বয়ে যায়।।
    সেই নামেরি বাঁশির সুরে, বনে পূজার কুসুম ঝুরে
    সেই নামেরি নামাবলি, গ্রহ তারা আকাশ জুড়ে
    অন্ত বিহীন সেই নামেরি সুর-স্রোতে কে ভাসবি আয়।।
    

    চলচ্চিত্রঃ ধ্রুব (কাহিনীকার: গিরিশ ঘোষ)

  • গহীন রাতে ঘুম কে এলে ভাঙাতে

    বাণী

    গহীন রাতে ঘুম কে এলে ভাঙাতে
    ফুল-হার পরায়ে গলে দিলে জল নয়ন-পাতে।।
    	যে জ্বালা পেনু জীবনে
    	ভুলেছি রাতে স্বপনে
    কে তুমি এসে গোপনে ছুঁইলে সে বেদনাতে।।
    	যবে কেঁদেছি একাকী
    	কেন মুছালে না আঁখি
    নিশি আর নাহি বাকি, বাসি ফুল ঝরিবে প্রাতে।।
    

  • গাঙে জোয়ার এলো ফিরে তুমি এলে কই

    বাণী

    গাঙে জোয়ার এলো ফিরে তুমি এলে কই
    খিড়কি দুয়ার খুলে পথ-পানে চেয়ে' রই।।
    	কালো জামের ডালের ফাঁকে
    	আমায় দেখে কোকিল ডাকে,
    আজও কেন যায় না দেখা তোমার নায়ের ছই।।
    চুল বেঁধে আজ সেজেগুজে পিদিম জ্বালাই সাঁঝে,
    ঠাকুরঝিরা মুচকি হাসে, আমি মরি লাজে।
    	বাদলা রাতে বৃষ্টি ঝরে
    	মন যে আমার কেমন করে,
    আমার চোখের জলে বন্ধু মাঠ করে থই-থই।।