কাহার্‌বা

  • আমার কথা লুকিয়ে থাকে

    বাণী

    আমার কথা লুকিয়ে থাকে আমার গানের আড়ালে।
    সেই কথাটি জানার লাগি’ কে গো এসে দাঁড়ালে।।
    	শূন্য মনের নাই কেহ মোর সাথি
    	গান গেয়ে তাই কাটাই দিবারাতি,
    সেই হৃদয়ের গভীর বনে কে তুমি পথ হারালে।।
    হৃদয় নিয়ে নিদয় খেলার হয় যেখানে অভিনয়,
    চেও না সেই হাটের মাঝে আমার মনের পরিচয়।
    	যে বেদনার আগুন বুকে ল’য়ে
    	জ্বলি আমি প্রদীপ-শিখা হ’য়ে,
    সেই বেদনা জুড়াতে মোর কে তুমি হাত বাড়ালে।।
    

    গীতিচিত্র: ‘অতনুর দেশ’

  • আমার খোকার মাসি শ্রীঅমুকবালা দাসী

    বাণী

    (ওগো)আমার খোকার মাসি শ্রীঅমুকবালা দাসী,
    মোরে দেখেই সর্বনাশী ফেলে ফিক্ করে সে হাসি।।
    	তার চোখ প্রায় পুটী মৎসই
    	তার চেহারাও নয় জুৎসই
    আবার(তার) আছে তিনটি বৎসই কিন্তু সে স্বাস্থ্যে খোদার খাসি।।
    	সে খায় বটে পান-জর্দা
    	তার চেহারাও মর্দ্দা-মর্দা
    তবু বুঝলে কি না বড়দা আমি তারেই ভালোবাসি।।
    শালী অর্থাৎ কি না বউ সে পনর আনাই,
    তারে দিয়ে একটা ‌‘আনি’ দাদা ঘরে যদি আনি
    সে বউ হয় ষোল আনাই।কি বল দাদা এ্যা?
    আমি তারই লাগি জেলে, মরবো ঘানি ঠেলে,
    তারে নিয়ে ভাগ্‌বো রেলে, না হয় পর্‌বো গলায় ফাঁসি।।
    
  • আমার গহীন জলের নদী

    বাণী

    আমার		গহীন জলের নদী
    আমি		তোমার জলে ভেসে রইলাম জনম অবধি।।
    ও ভাই		তোমার বানে ভেসে গেল আমার বাঁধা ঘর
    আমি		চরে এসে বস্‌লাম রে ভাই ভাসালে সে চর।
    এখন		সব হারিয়ে তোমার জলে রে আমি ভাসি নিরবধি।।
    		ঘর ভাঙিলে ঘর পাব ভাই ভাঙ্‌লে কেন মন
    ও ভাই		হারালে আর পাওয়া না যায় মনেরি রতন।
    ও ভাই		জোয়ারে মন ফেরে না আর রে ও সে ভাটিতে হারায় যদি।।
    তুমি		যখন ভাঙ রে নদী (ভাঙ যখন কূল রে নদী) ভাঙ একই ধার
    আর		মন যখন ভাঙ রে নদী দুই কূল ভাঙ তার
    ও ভাই		চর পড়ে না মনের কূলে রে
    ও সে		একবার সে ভাঙে যদি, ও ভাই একবার সে ভাঙে যদি।।
    
  • আমার ঘরের মলিন দীপালোকে

    বাণী

    আমার ঘরের মলিন দীপালোকে
    জল দেখেছি যেন তোমার চোখে।।
    	বল পথিক বল বল
    	কেন নয়ন ছল ছল
    কেন শিশির টলমল কমল-কোরকে।।
    তোমার হাসির তড়িৎ আলোকে
    মেঘ দেখেছি তব মানস-লোকে।
    	চাঁদনি রাতে আনো কেন
    	পুবের হাওয়ার কাঁদন হেন?
    ধূলি ঝড়ে ঢাকল যেন ফুলেল বসন্তকে।।
    
  • আমার ধ্যানের ছবি আমার হজরত

    বাণী

    আমার ধ্যানের ছবি আমার হজরত।
    ও নাম প্রাণে মিটায় পিয়াসা,
    আমার তামান্না আমারি আশা,
    আমার গৌরব আমারি ভরসা,
    এ দীন গোনাহগার তাঁহারই উম্মত।।
    ও নামে রওশন জমীন আসমান,
    ও নামে মাখা তামাম জাহান,
    ও নামই দরিয়ায় বহায় উজান,
    ও নাম ধেয়ায় মরু ও পর্বত।।
    আমার নবীর নাম জপে নিশিদিন
    ফেরেশ্‌তা আর হুর পরী জিন্‌,
    ও নাম জপি আমার ভোমরায়
    পাবো কিয়ামতে তাঁহার শাফায়ৎ।।
    
  • আমার নয়নে কৃষ্ণ-নয়নতারা

    বাণী

    আমার নয়নে কৃষ্ণ-নয়নতারা হৃদয়ে মোর রাধা-প্যারী।
    আমার প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসা শ্যাম-সোহাগী গোপ-নারী।।
    	আমার স্নেহে জাগে সদা
    	পিতা নন্দ মা যশোদা,
    ভক্তি আমার শ্রীদাম-সুদাম আঁখি-জল যমুনা-বারি।।
    	আমার সুখের কদম-শাখায়
    	কিশোর হরি বংশী বাজায়
    আমার দুখের তমাল ছায়ায় — লুকিয়ে খেলে বন-বিহারী।।
    মুক্ত আমার প্রাণের গোঠে চরায় ধেনু রাখাল-কিশোর,
    আমার প্রিয়জনে নেয় সে হরি’, সেই ত ননী খায় ননী-চোর।
    রাধা-কৃষ্ণ-কথা শুনায় — দেহ ও মন শুক-শারী।।
    
  • আমার নয়নে নয়ন রাখি

    বাণী

    আমার নয়নে নয়ন রাখি' পান করিতে চাও কোন অমিয়।
    আছে এ আঁখিতে উষ্ণ আঁখি-জল মধুর সুধা নাই পরান-প্রিয়।।
    	ওগো ও শিল্পী, গলাইয়া মোরে
    	গড়িতে চাহ কোন মানস-প্রতিমারে,
    ওগো ও পূজারি, কেন এ আরতি জাগাতে পাষাণ- প্রণয়-দেবতারে।
    এ দেহ-ভৃঙ্গারে থাকে যদি মদ ওগো প্রেমাষ্পদ, পিও গো পিও।।
    	আমারে কর গুণী, তোমার বীণা
    	কাঁদিব সুরে সুরে, কণ্ঠ-লীনা
    	আমার মুখের মুকুরে কবি
    হেরিতে চাহ মোরে কর গো চন্দন তপ্ত তনু তব শীতল করিও ।। 

    ১. এই অনুচ্ছেদটি গ্রামোফোন রেকর্ডে গাওয়া হয়নি।

  • আমার মালায় লাগুক তোমার

    বাণী

    	আমার মালায় লাগুক তোমার মধুর হাতের ছোঁওয়া
    	ঘিরুক তোমায় মোর আরতি পূজা-ধূপের ধোঁওয়া।।
    		পূজায় ব'সে দেব-দেউলে
    		তোমায় দেখি মনের ভুলে
    প্রিয়	তুমি নিলে আমার পূজা হবে তারই লওয়া
    		হবে দেবতারই লওয়া।।
    		তুমি যেদিন প্রসন্ন হও ঠাকুর চাহেন হেসে
    	কাঁদলে তুমি, বুকে আমার দেবতা কাদেঁন এসে।
    		আমি অন্ধকারে ঠাকুর পুজে
    		ঘরের মাঝে পেলাম খুজেঁ
    	সে যে তুমি, আমার চির অবহেলা-সওয়া।।
    

  • আমার মুক্তি নিয়ে কি হবে মা

    বাণী

    আমার	মুক্তি নিয়ে কি হবে মা, (মাগো) আমি তোরেই চাই
    		স্বর্গ আমি চাইনে মাগো, কোল্ যদি তোর পাই॥
    (মাগো)		কি হবে সে মুক্তি নিয়ে,
    			কি হবে সে স্বর্গে গিয়ে;
    		যেথায় গিয়ে তোকে ডাকার আর প্রয়োজন নাই॥
    		যুগে যুগে যে লোকে মা প্রকাশ হবে তোর
    (আমি)	পুত্র হয়ে দেখব লীলা এই বাসনা মোর।
    			তুই, মাখাস্ যদি মাখ্‌ব ধূলি,
    			শুধু তোকে যেন নাহি ভুলি;
    		তুই, মুছিয়ে ধূলি নিবি তুলি বক্ষে দিবি ঠাঁই॥
    
  • আমার মোহাম্মদের নামের ধেয়ান

    বাণী

    আমার	মোহাম্মদের নামের ধেয়ান হৃদয়ে যার রয়
    		ওগো হৃদয়ে যার রয়।
    	খোদার সাথে হয়েছে তার গোপন পরিচয়।।
    ঐ	নামে যে ডুবে আছে
    	নাই দুখ-শোক তাহার কাছে
    ঐ	নামের প্রেমে দুনিয়াকে সে দেখে প্রেমময়।।
    	যে খোশ-নসীব গিয়াছে ঐ নামের স্রোতে ভেসে'
    	জেনেছে সে কোরআন-হাদিস-ফেকা এক নিমেষে।
    		মোর নবীজীর বর-মালা,
    		করেছে যার হৃদয় আলা
    	বেহেশতের সে আশ রাখে না, তার নাই দোজখে ভয়।।
    

  • আমার যখন পথ ফুরাবে

    বাণী

    আমার যখন পথ ফুরাবে, আসবে গহীন রাতি (খোদা) —
    তখন তুমি হাত ধ'রো মোর হয়ো পথের সাথী (খোদা)।। 
    অনেক কথা হয়নি বলা, বলার সময় দিও, খোদা —
    আমার তিমির অন্ধ চোখে দৃষ্টি দিও প্রিয়, খোদা
    বিরাজ করো বুকে তোমার আরশটিকে পাতি'।।
    সারা জীবন কাটলো আমার বিরহে বঁধু,
    পিপাসিত কন্ঠে এসে দিও মিলন-মধু।
    তুমি যথায় থাকো প্রিয় সেথায় যেন যাই, খোদা
    সখা ব'লে ডেকো আমায়, দীদার যেন পাই, খোদা।
    সারা জনম দুঃখ পেলাম, যেন এবার সুখে মাতি।।
    
  • আমার যাবার সময় হলো

    বাণী

    আমার যাবার সময় হলো, দাও বিদায়।
    মোছ আঁখি, দুয়ার খোলো, দাও বিদায়।।
    ফোটে যে ফুল আঁধার রাতে
    ঝরে ধূলায় ভোর বেলাতে
    আমায় তারা ডাকে সাথে - আয় রে আয়।
    সজল করুণ নয়ন তোলো, দাও বিদায়।।
    অন্ধকারে এসেছিলাম থাকতে আঁধার যাই চ’লে;
    ক্ষণিক ভালোবেসেছিলেম চিরকালের না-ই হ’লে।
    হ’লো চেনা হ’লো দেখা
    নয়ন-জলে রইলো লেখা
    দূর বিরহের ডাকে কেকা বরষায়
    ফাগুন স্বপন ভোলো ভোলো,দাও বিদায়।।
    
  • আমারে চোখ ইশারায় ডাক দিলে হায়

    বাণী

    আমারে চোখ ইশারায় ডাক দিলে হায় কে গো দরদি।
    খুলে দাও রং মহলার তিমির-দুয়ার ডাকিলে যদি।।
    গোপনে চৈতী হাওয়ায় গুল্‌-বাগিচায় পাঠালে লিপি,
    দেখে তাই ডাক্‌ছে ডালে কু কু ব’লে কোয়েলা ননদী।।
    পাঠালে ঘূর্ণি-দূতী ঝড়-কপোতী বৈশাখে সখি
    বরষায় সেই ভরসায় মোর পানে চায় জল-ভরা নদী।।
    তোমারি অশ্রু ঝলে শিউলি তলে সিক্ত শরতে,
    হিমানীর পরশ বুলাও ঘুম ভেঙে দাও দ্বার যদি রোধি।।
    পউষের শূন্য মাঠে একলা বাটে চাও বিরহিণী,
    দুঁহু হায় চাই বিষাদে, মধ্যে কাঁদে তৃষ্ণা-জলধি।।
    ভিড়ে যা ভোর-বাতাসে ফুল-সুবাসে রে ভোমর কবি
    ঊষসীর শিশ্‌-মহলে আস্‌তে যদি চাস্‌ নিরবধি।।
    
  • আমি আলোর শিখা

    বাণী

    আমি আলোর শিখা
    ফুটাই আঁধার ভবনে দীপ-কলিকা।।
    নিশ্চল পথে আমি আনন্দ-ছন্দ
    অন্ধ আকাশে আমি রবি-তারা-চন্দ
    আমি ম্লান মুখে আনি রূপ-কণিকা।।
    

    নাটকঃ ‌‘সিরাজদ্দৌলা’

  • আমি কুল ছেড়ে চলিলাম ভেসে বলিস ননদীরে

    বাণী

    আমি	কুল ছেড়ে চলিলাম ভেসে বলিস ননদীরে সই, বলিস ননদীরে।
    	শ্রীকৃষ্ণ নামের তরণীতে প্রেম-যমুনার তীরে বলিস ননদীরে
    				সই, বলিস্‌ ননদীরে।।
    	সংসারে মোর মন ছিল না, তবু মানের দায়ে
    আমি	ঘর করেছি সংসারেরি শিকল বেঁধে পায়ে
    	শিক্‌লি-কাটা পাখি কি আর পিঞ্জরে সই ফিরে।।
    	বলিস গিয়ে কৃষ্ণ নামের কলসি বেঁধে গলে
    	হডুবেছে রাই কলঙ্কিনী কালিদহের জলে।
    	কলঙ্কেরই পাল তুলে সই, চললেম অকূল-পানে
    	নদী কি সই, থাকতে পারে সাগর যখন টানে।
    	রেখে গেলাম এই গোকুলে কুলের বৌ-ঝিরে।।
    
  • আমি গরবিনী মুসলিম বালা

    বাণী

    আমি গরবিনী মুসলিম বালা
    সংসার সাহারাতে আমি গুলে লালা।।
    জ্বালায়েছি বাতি (আমি) আঁধার কাবায়
    এনেছি খুশির, ঈদে শিরনির থালা।।
    আনিয়াছি ঈমান প্রথম আমি
    আমি দিয়াছি সবার আগে মোহাম্মদে মালা।।
    কত শত কারবালা বদরের রণে
    বিলায়ে দিয়াছি স্বামী-পুত্র স্বজনে;
    জানে গ্রহ-তারা জানে আল্লাহ তালা।।
    

  • আমি গিরিধারী সাথে মিলিতে যাইব

    বাণী

    আমি 	গিরিধারী সাথে মিলিতে যাইব, সুন্দর সাজে মোরে সাজায়ে দে।
    	লাখ যুগের পরে শুভদিন এলো, মেহেদী রঙে হাত রাঙায়ে দে।।
    	চন্দন টিপ, গলে মালতীর মালা, নয়নে কাজল পরায়ে দে,
    	অধর রাঙায়ে দে তাম্বুল রাগে, চরণে আল্‌তা মাখায়ে দে।।
    	প্রেম নীল শাড়ি প্রীতির আঙিনা, অনুরাগ ভূষণে বধূ সাজিয়া
    	হৃদয়-বাসরে মিলিব দোঁহে — কুসুমের শেজ সখি বিছায়ে দে।।
    
  • আমি জানি তব মন বুঝি তব ভাষা

    বাণী

    	আমি জানি তব মন বুঝি তব ভাষা
    	তব কঠিন হিয়ার তলে জাগে কি গভীর ভালোবাসা।।
    	ওগো উদাসীন! আমি জানি তব ব্যথা
    	আহত পাখির বুকে বাণ বিধেঁ কোথা
    	কোন অভিমান ভুলিয়াছ তুমি ভালোবাসিবার আশা।।
    তুমি	কেন হানো অবহেলা অকারন আপনাকে,
    প্রিয়	যে হৃদয়ে বিষ থাকে সে হৃদয়ে অমৃত থাকে।
    	তব যে বুকে জাগে প্রলয় ঝড়ের জ্বালা
    	আমি দেখেছি যে সেথা সজল মেঘের মালা
    ওগো	ক্ষুধাতুর আমারে আহুতি দিলে
    	মিটিবে কি তব পরানের পিপাসা।।
    
  • আমি নহি বিদেশিনী

    বাণী

    	আমি নহি বিদেশিনী।
    (ঐ)	ঝিলের ঝিনুক, বিলের শালুক ছিল মোর সঙ্গিনী।।
    		ঐ বাঁধা-ঘাট, ঐ বালুচর
    		মাটির প্রদীপ, ঐ মেটে ঘর,
    	চেনে মোরে ঐ তুলসীতলার নববধূ ননদিনী।।
    	‘বৌ কথা কও’ পাখি,
    	বাদ্‌লা নিশীথে মনের নিভৃতে আজও যায় মোরে ডাকি’।
    		এত কালো চোখ এলোকেশ-ভার
    		এত শ্যাম-মেঘ আছে কোথা আর,
    (ঐ)	পদ্ম-পুকুরে মোরে স্মরি’ ঝুরে সখি মোর কমলিনী।।
    

    পাশ্চাত্য সুর

  • আমি পথ-ভোলা ভিনদেশি গানের পাখি

    বাণী

    আমি	পথ-ভোলা ভিনদেশি গানের পাখি
    	তোমাদের সুরের সভায় এই অজানায় লহ গো ডাকি'।।
    	তোমরা বেঁধেছে বাসা যে তরু-শাখায়
    	আমারে বসিতে দিও তাহারি ছায়ায়
    	গাহিবার আছে আশা, জানি না গানের ভাষা
    তবু	ভালোবাসা দিয়ে বাঁধ গো রাখি।।
    	মায়াময় তোমাদের তরুলতা, ফুল
    	তোমাদের গান শুনে' পথ হ'ল ভুল।
    	যেন শতবার এসে' জন্মেছি এই দেশে-
    বন্ধু	হে বন্ধু, অতিথিরে চিনিবে না-কি।।