জাগো হে রুদ্র জাগো রুদ্রাণী
বাণী
জাগো হে রুদ্র, জাগো রুদ্রাণী, কাঁদে ধরা দুখ-জরজর! জাগো গৌরী, জাগো হর।। আজি শস্য-শ্যামা তোদের বন্যা অন্নবস্ত্র হীনা অরণ্যা সপ্ত সাগর অশ্রু-বন্যা, কাঁপিছে বুক থর থর।। আর সহিতে পারি না অত্যাচার, লহ এ অসহ ধরার ভার। গ্রাসিল বিশ্ব লোভ-দানব, হা হা স্বরে কাঁদিছে মানব, জাগো ভৈরবী জাগো ভৈরব ত্রিশূল খড়গ ধর ধর।।
জগতের নাথ তুমি তুমি প্রভু প্রেমময়
বাণী
জগতের নাথ তুমি, তুমি প্রভু প্রেমময়। আমি জগতের বাহিরে নহি দেহ চরণে আশ্রয়।। যাহাদের তরে আমি খাটিনু দিবস-রাতি, (আমার)যাবার বেলায় কেহ তাদের হ’ল না সাথের সাথি। সম্পদ মোর পাঁচ ভূতে খায়, কর্ম কেবল সঙ্গে রয়।। ভুলিয়া সংসার মোহে লই নাই তোমারি নাম — তরাতে এমন পাপী পাবে না হে ঘনশ্যাম। শুনেছি তোমারে যদি কাঁদিয়া কেহ ডাকে — তুমি অমনি তারে কর ক্ষমা চরণে রাখ তাকে। আমি সেই আশাতে এসেছি নাথ যদি তব কৃপা হয়।।
জাগো অনশন-বন্দী ওঠ রে যত
বাণী
জাগো অনশন-বন্দী, ওঠ রে যত জগতের লাঞ্ছিত ভাগ্যহত! যত অত্যাচারে আজি বজ্র হানি’ হাঁকে নিপীড়িত-জন-মন-মথিত বাণী, নব জনম লভি’ অভিনব ধরণী ওরে ঐ আগত।। আদি শৃঙ্খল সনাতন শাস্ত্র আচায় মূল সর্বনাশের, এরে ভাঙিব এবার। ভেদি’ দৈত্য-কারা আয় সর্বহারা; কেহ রহিবে না আর পর-পদ-আনত।। নব ভিত্তি ‘পরে — নব নবীন জীবন হবে উত্থিত রে! শোন্ অত্যাচারী! শোন্ রে সঞ্চয়ী! ছিনু সর্বহারা, হব সর্বজয়ী। ওরে সর্বশেষের এই সংগ্রাম-মাঝ। নিজ নিজ অধিকার জুড়ে দাঁড়া সবে আজ; এই ‘জনগন-অন্তর-সংহতি’ রে হবে নিখিল মানব জাতি সমুদ্ধত।।