জাগো বনলক্ষ্মী জোছনা বিগলিত
বাণী
জাগো বনলক্ষ্মী! জোছনা বিগলিত১ চৈতালি নিশীথে। রাঙাও দশদিশি লজ্জা-অরুণ রূপ-সজ্জায় বনশ্রীতে।। তব আলোছায়ার ডুরে শাড়ির আঁচল লুটাক বকুল তলে সুখ-বিহ্বল, তব লতা কবরী হের পুষ্প ভারে হ’ল — অবনমিতা অগ্নি অসম্বৃতে।। পর গিরি-ঝর্নার শতনরী হার হে বনলক্ষ্মী! বিহর-শীর্ণা দেহে (নব যৌবনের) জাগুক জোয়ার হে বনলক্ষ্মী! ঝংকৃত হোক বনভূমি নিঝ্ঝুম পুষ্পিত মাধবীর পর কঙ্কণ, আলতা পর কলি পলাশ রঙ্গন — ভ্রমর-গুঞ্জন-নূপুর-গীতে।।
১. বিহগিত
নাটক : ‘মধুমালা’ (বন-বালিকাদের গান)
জাগো জাগো শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম-ধারী কাঁদে ধরিত্রী
বাণী
জাগো জাগো শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম-ধারী। কাঁদে ধরিত্রী নিপীড়িতা, কাঁদে ভয়ার্ত নরনারী।। আনো আরবার ন্যায়ের দণ্ড দৈত্য-ত্রাসন ভীম প্রচণ্ড, অসুর-বিনাশী উদ্যত আসি ধর ধর দানবারি।। ঐ বাজে তব আরতি বোধন, কোটি অসহায় কণ্ঠে রোদন! ব্যথিত হৃদয়ে ফেলিয়া চরণ বেদনা-বিহারী এসো নারায়ণ, রুদ্ধ কারার অন্ধ প্রাকার-বন্ধন অপসারি’।।
জহরত পান্না হীরার বৃষ্টি
বাণী
পুরুষ : জহরত পান্না হীরার বৃষ্টি তব হাসি-কান্না চোখের দৃষ্টি তারও চেয়ে মিষ্টি মিষ্টি মিষ্টি॥ স্ত্রী : কান্না-মেশানো পান্না নেবো না, বঁধু। এই পথেরই ধূলায় আমার মনের মধু করে হীরা মানিক সৃষ্টি মিষ্টি আরো মিষ্টি॥ পুরুষ : সোনার ফুলদানি কাঁদে লয়ে শূন্য হিয়া এসো মধু-মঞ্জরি মোর! এসো প্রিয়া, প্রিয়া! স্ত্রী : কেন ডাকে বউ কথা কও, বউ কথা কও, আমি পথের ভিখারিনী গো, নহি ঘরের বউ। কেন রাজার দুলাল মাগে মাটির মউ। বুকে আনে ঝড়, চোখে বৃষ্টি তার সকরুণ দৃষ্টি তবু মিষ্টি॥
সিনেমাঃ চৌরঙ্গী
জয় হোক জয় হোক
বাণী
জয় হোক জয় হোক — শান্তির জয় হোক, সাম্যের জয় হোক্, সত্যের জয় হোক জয় হোক॥ সর্ব অকল্যাণ পীড়ন অশান্তি সর্ব অপৌরুষ মিথ্যা ও ভ্রান্তি, হোক ক্ষয়, ক্ষয় হোক জয় হোক জয় হোক॥ দূর হোক অভাব ব্যাধি শোক দুখ দৈন্য গ্লানি বিদ্বেষ অহেতুক, মৃত্যুবিজয়ী হোক্ অমৃত লভুক — ভয়-ভীত দুর্বল নির্ভয় হোক। রবে না এ শৃঙ্খল উচ্ছৃঙ্খলতার বন্ধন কারাগার হবে হবে চুরমার, পার হবে বাধার গিরি মরু পারাবার — নির্যাতিত ধরা মধুর, সুন্দর প্রেমময় হোক, জয় হোক জয় হোক॥
জয় কৃষ্ণ-ভিখারিনী তুলসী
বাণী
জয় কৃষ্ণ-ভিখারিনী তুলসী হরি-শিব-বিহারিণী তুলসী। জয় কল্পতরু সমা বিষ্ণুর মনোরমা কলির কলুষ-বারিণী তুলসী।। অভিষ্ট-দায়িণী তুমি বসুধায় শ্রেষ্ঠ পুষ্প তুমি দেব-পূজায়, তপে ও জপে তুমি মন্ত্র-শক্তি রূপা ভক্তি-প্রেম সঞ্চারিণী তুলসী।। তীর্থসমূহ মাগো তোমার কাছে আত্মশুদ্ধি তরে শরণ যাচে, সকল কর্ম হয় নিষ্ফল ত্রিলোকে তোমার প্রসাদ বিনা তারিণী তুলসী।। শুদ্ধ সত্ত্বা রূপা তপস্যা মগ্না বিরাজ দীনা বেশে মন্দির-লগ্না, হে হরি-বল্লভে, তব দীন পল্লবে অনন্ত নারায়ণ-ধারিণী তুলসী।।
‘শ্রীতুলসী-বন্দনা’