বাণী

জয় নারায়ণ অনন্ত রূপধারী বিশাল।
কভু প্রশান্ত উদার, কভু কৃতান্ত করাল॥
	কভু পার্থ-সারথি-হরি
	বংশীধারী কংস-অরি,
কভু গোপাল বনমালী কিশোর রাখাল॥
বিপুল মহা-বিরাট কভু বৃন্দাবন-বিলাসী,
শঙ্খ-গদা-চক্র-পাণি মুখে মধুর হাসি।
	সৃষ্টি বিনাশে
	লীলা-বিলাসে,
মগ্ন তুমি আপন ভাবে অনাদিকাল॥

বাণী

জয় জয় মা গঙ্গা পতিত পাবনী ভাগীরথী।
হর-শির-বিহারিণী সুরেশ্বরী অগতির গতি।।
মৃতু সাগরের দেশে প্রাণদাত্রী তুমি
তোমার পুণ্যে হল তীর্থ ভারতভূমি,
পাপ-নিবারিণী কলুষ-হারিণী ত্রিলোকতারিণী
		মাগো লহ প্রণতি।।

বাণী

	জয়, আনন্দ-ভৈরব ডমরু পিনাক-পাণি,
গঙ্গাধর চন্দ্র চূড় শিব তীব্র-ধ্যানী।।
	তব সূর্যকান্তি রাগে
	প্রাণে প্রভাত-শান্তি জাগে,
পর প্রধান পূর্ণরূপ, হে শুদ্ধ জ্ঞানী।।
সরল মতি শঙ্কর হে, নাচো গরল পিয়ে,
আশুতোষ তুষ্ট তুমি বিল্বদল নিয়ে।
	মৃত্যু-ভীত বিশ্বজনে
	তমসা মগন ভুবনে,
শোনাও আনন্দিত মাভৈঃ অভয়বাণী।।

বাণী

জাগো হে রুদ্র, জাগো রুদ্রাণী,
কাঁদে ধরা দুখ-জরজর!
জাগো গৌরী, জাগো হর।।
আজি শস্য-শ্যামা তোদের বন্যা
অন্নবস্ত্র হীনা অরণ্যা
সপ্ত সাগর অশ্রু-বন্যা,
কাঁপিছে বুক থর থর।।
আর সহিতে পারি না অত্যাচার,
লহ এ অসহ ধরার ভার।
গ্রাসিল বিশ্ব লোভ-দানব,
হা হা স্বরে কাঁদিছে মানব,
জাগো ভৈরবী জাগো ভৈরব
ত্রিশূল খড়গ ধর ধর।।

বাণী

জগতের নাথ তুমি, তুমি প্রভু প্রেমময়।
আমি জগতের বাহিরে নহি দেহ চরণে আশ্রয়।।
যাহাদের তরে আমি খাটিনু দিবস-রাতি,
(আমার)যাবার বেলায় কেহ তাদের হ’ল না সাথের সাথি।
সম্পদ মোর পাঁচ ভূতে খায়, কর্ম কেবল সঙ্গে রয়।।
ভুলিয়া সংসার মোহে লই নাই তোমারি নাম —
তরাতে এমন পাপী পাবে না হে ঘনশ্যাম।
শুনেছি তোমারে যদি কাঁদিয়া কেহ ডাকে —
তুমি অমনি তারে কর ক্ষমা চরণে রাখ তাকে।
আমি সেই আশাতে এসেছি নাথ যদি তব কৃপা হয়।।

বাণী

জাগো		অনশন-বন্দী, ওঠ রে যত
		জগতের লাঞ্ছিত ভাগ্যহত!
যত		অত্যাচারে আজি বজ্র হানি’
হাঁকে		নিপীড়িত-জন-মন-মথিত বাণী,
নব		জনম লভি’ অভিনব ধরণী ওরে ঐ আগত।।
আদি		শৃঙ্খল সনাতন শাস্ত্র আচায়
মূল		সর্বনাশের, এরে ভাঙিব এবার।
ভেদি’		দৈত্য-কারা আয় সর্বহারা;
কেহ		রহিবে না আর পর-পদ-আনত।।
		নব ভিত্তি ‘পরে —
নব		নবীন জীবন হবে উত্থিত রে!
শোন্‌		অত্যাচারী! শোন্‌ রে সঞ্চয়ী!
		ছিনু সর্বহারা, হব সর্বজয়ী।
ওরে		সর্বশেষের এই সংগ্রাম-মাঝ।
নিজ		নিজ অধিকার জুড়ে দাঁড়া সবে আজ;
এই		‘জনগন-অন্তর-সংহতি’ রে
হবে		নিখিল মানব জাতি সমুদ্ধত।।