বাণী

	প্রজাপতি! প্রজাপতি!
কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গীন পাখা,
টুকটুকে লাল–নীল ঝিলিমিলি আঁকা–বাঁকা।।
	তুমি টুলটুলে বন-ফুলে মধু খাও
	মোর বন্ধু হয়ে সেই মধু দাও
ওই পাখা দাও সোনালী –রূপালী পরাগ মাখা।।
মোর মন যেতে চায় না পাঠশালাতে
প্রজাপতি! তুমি নিয়ে যাও সাথী ক’রে তোমার সাথে।
	তুমি হাওয়ায় নেচে নেচে যাও
আজতোমার মত মোরে আনন্দ দাও
এই জামা ভাল লাগে না, দাও জামা ছবি–আঁকা।।

বাণী

পরান-প্রিয়! কেন এলে অবেলায়
শীতল হিমেল বায়ে ফুল ঝ’রে যায়।।
	সেদিনও সকাল বেলা
	খেলেছি কুসুম–খেলা,
আজি যে কাঁদি একেলা ভাঙ্গা এ মেলায়।।

বাণী

পঞ্চ প্রাণের প্রদীপ-শিখায় লহ আমার শেষ আরতি।
ওগো আমার পরম-পতি, ওগো আমার পরম-পতি।।
		বহু সে-কাল বাহির-দ্বারে
		দাঁড়িয়ে আছি অন্ধকারে,
এবার দেহের দেউল ভেঙে দেখ্‌ব নিঠুর, তোমার জ্যোতি।।
আমি তোমায় চেয়েছিলাম, শুধু এই সে অপরাধে,
ধ্যান ভেঙেছ আমার, ফেলে নিত্য নূতন মায়ার ফাঁদে।
	আজ	মায়ার ঘরে আগুন জ্বেলে
		পালিয়ে গেলাম পাখা মেলে,
জীবন যাহার মিথ্যা স্বপন মরণে তার নাই ক ক্ষতি।।
কেটে দিলাম নিঠুর হাতে যে বাঁধনে বেঁধেছিলে,
রইল না আর আমার ব’লে কোনো স্মৃতি এ-নিখিলে।
		আবার যদি তোমার মায়ায়
		রূপ নিতে হয় নূতন কায়ায়,
তোমার প্রকাশ রুদ্ধ যেথায় সেথায় যেন না হয় গতি।।

বাণী

পথিক বন্ধু এসো এসো পাপড়ি ছাওয়া পথ বেয়ে।
মন হয়েছে উতলা গো তোমার আসার পথ চেয়ে।।
	আকাশ জুড়ে আলোর খেলা
	বসুন্ধরায় ফুলের মেলা
রঙিন মেঘের ভাসলো ভেলা তোমারই আসার আভাস পেয়ে।।
সাধ জাগে ঐ পথে তোমার পেতে রাখি মন প্রাণ
চলতে গিয়ে দলবে তা’রে চরণ ছোঁয়া করিবে দান।
	তোমার ধ্যানে, হে রাজাধিরাজ
	সাজ ভুলেছি ভুলেছি কাজ
আসবে তুমি সেই খুশিতে আছে আমার মন ছেয়ে।।

বাণী

(প্রভু)		রাখ এ মিনতি ত্রিভুবন-পতি তব পদে মতি।
		আঁখির আগে যেন সদা জাগে তব ধ্রুব-জ্যোতি।।
			সংসার মরুমাঝে তুমি মেঘ-মায়া,
			বিষাদ-শোক তাপে তুমি তরু-ছায়া,
		সান্ত্বনা দাতা তুমি দুঃখ ত্রাতা অগতির গতি।।
		জননীর মত আছ ঊর্ধ্বে জাগি
		জলে স্থলে শূন্যে অগণিত তব দান মোদের লাগি।
			ঝঞ্ঝার মাঝে তব বিষাণ বাজে,
			সহসা ঢলি পড় বনে ফুল-সাজে,
		কোমলে কঠোরে হে প্রভু বিরাজে তব মহাশক্তি।।

১. দোলে কালো নিশার কোলে / আলো-উষসী / তিমির তলে তব তিলক জ্বলে / ঐ পূর্ণ শশী।

বাণী

প্রেম আর ফুলের জাতি কুল নাই,
বুল্‌বুলি সে কথা ভুলিল কি হায়।
সে কেন তবে আসে না
রাতের ফুল মোর হাতে শুকায়।।
রাজ-বাগিচার ফুল হোক যত গরবী
পথের ফুলেও আছে তা’রি মত সুরভি,
রসের পুতলী হয় পথের ভিখারিনী
		যদি প্রেম পায়।।