পাপে তাপে মগ্ন আমি জানি
বাণী
পাপে তাপে মগ্ন আমি জানি জানি তবু। পাপের চেয়ে তোমার ক্ষমা অনেক অধিক প্রভু।। শিশু যেমন সারা বেলায় ধূলা মাখে খেলার শেষে সন্ধ্যাবেলায় মাকে ডাকে, (ওগো) ধূলায় মলিন সে ছেলেরে মা কি ত্যাজে কভু।। তোমার ক্ষমা যে দেখেছে হে মোর প্রেমময়, অশেষ পাপে পাপী হলেও করে না সে ভয়। মুছবে তুমি তুমিই যদি মাখাও ধূলি কাঁদাও যদি তুমি নেবে কোলে তুলি, আমি তাই করি যা করাও তুমি হে লীলাময় প্রভু।।
প্রিয় এমন রাত যেন যায় না বৃথাই
বাণী
প্রিয় এমন রাত যেন যায় না বৃথাই পরি চাঁপা ফুলের শাড়ি খয়েরিটিপ, জাগি বাতায়নে জ্বালি আঁখি প্রদীপ, মালা চন্দন দিয়ে মোর থালা সাজাই।। তুমি আসিবে বলে সুদূর অতিথি জাগে চাঁদের তৃষা লয়ে কৃষ্ণা তিথি, কভু ঘরে আসিকভু বাহিরে চাই।। আজি আকাশে বাতাসে কানাকানি, জাগে বনে বনে নবফুলের বাণী, আজি আমার কথা যেন বলিতে পাই।।
পান্সে জোছ্নাতে কে চল গো
বাণী
পান্সে জোছ্নাতে কে চল গো পানসি বেয়ে’। ঢেউ-এর তালে তালে বাঁশিতে গজল গেয়ে’।। মেঘের ফাঁকে ফোটে বাঁকা শশীর চিকন হাসি, উজান বেয়ে চল তুমি কি তার চোখে চেয়ে।। ও-পারে লুকায়ে আঁধার গভীর ঘন বন-ছায়, আকাশে হেলান দিয়ে আলসে পাহাড় ঘুমায়। ঘুমায়ে দূরে সে কোন গ্রাম বাসরে পল্লী-বধূর প্রায় এ-পারে ধূ-ধূ বালুচর যেন নদীর আঁচল লুটায়। ছাড়ি’ এ সুখ-বাস চলেছ কোথায় গো নেয়ে।। নদীর দু’তীরে টানে বেতস-লতা উত্তরীয়, চমকি’ উঠি’ চখি ডাকে মুহু মুহু ‘কিও!’ চকোরী চাঁদে ভুলি’ চাহে তব মুখপানে, কেঁদে পাপিয়া শুধায়, ‘পিউ কাঁহা, কাঁহা পিও।’ তুমি যাও আপন-বিভোল স্বপনে নয়ন ছেয়ে’।।