বাণী

পল্লু ছোড়ো সাজান ঘর যানা রে
জারা ন্যায়নো সে ন্যায়না মিলানা রে।
মাটি পরে শরাবো সে পিনেসে গাগারিয়া
সুবাহ হো গ্যায়ি করুঁ কিয়া বাহানা রে।।
বড়া পেয়ার হ্যায় তু্নে পানঘাটসে আনে কা
জারা ধীরে সে বীণ বাজানা রে।।
সাড়ি তেরি হ্যায় পল রাঙ্গীন আঁখিয়া টুটেগা
জারা সিনে সে আঁচাল হাঠানা রে।।

বাণী

পরজনমে দেখা হবে প্রিয়।
ভুলিও মোরে হেথা ভুলিও।।
এ জনমে যাহা বলা হ’ল না,
আমি বলিব না, তুমিও ব’লো না।
জানাইলে প্রেম করিও ছলনা,
যদি আসি ফিরে, বেদনা দিও।।
হেথায় নিমেষে স্বপন ফুরায়,
রাতের কুসুম প্রাতে ঝ’রে যায়,
ভালো না বাসিতে হৃদয় শুকায়,
বিষ-জ্বালা-ভরা হেথা অমিয়।।
হেথা হিয়া ওঠে বিরহে আকুলি’
মিলনে হারাই দু’দিনেতে ভুলি’,
হৃদয়ে যথায় প্রেম না শুকায়
সেই অমরায় মোরে স্মরিও।।

বাণী

প্রিয়তম হে, আমি যে তোমারি চির-আরাধিকা।
তব নাম গেয়ে প্রেম-বৃন্দাবনে ফিরি ব্রজ-বালিকা।।
	মম নয়ন দুটি তব দেবালয়ে
	জ্বলে নিশিদিন আরতি-প্রদীপ হয়ে
নাম-কলঙ্ক তব হরি-চন্দন মোর গলার মালিকা।।
মোরে শরণ দাও তব চরণে কর অবনমিতা,
জনমে জনমে হয়ো প্রভু তুমি, আমি হব দয়িতা।
	শুধু নাম শুনি, নাথ মনে মনে
	আমি স্বয়ম্বরা হয়েছি গোপনে,
বড় সাধ প্রাণে র’ব তোমারি ধ্যানে হব শ্যাম-সাধিকা।।

বাণী

পিউ পিউ বিরহী পাপিয়া বোলে;
কৃষ্ণচূড়া বনে ফাগুন সমীরণে
ঝুরে ফুল বন পথতলে॥
নিশি পোহায়ে যায় কাহার লাগি
নয়নে নাহি ঘুম বসিয়া জাগি
আমারই মত হায় চাহিয়া আশা পথ
নিশীথের চাঁদ পড়ে গগনে ঢলে॥

বাণী

পোহাল পোহাল নিশি খোল গো আঁখি।
কুঞ্জ-দুয়ারে তব গাহিছে১ পাখি,
		ওই গাহিছে পাখি॥
ওই বংশী বাজে দূরে
শোন ঘুম ভাঙানো সুরে,
খোল দ্বার লহ বঁধূরে ডাকি॥২

১. ডাকিছে, ২. খুলি’ দ্বার বঁধূরে লহ গো ডাকি’॥

নাটকঃ ‘আলেয়া’ (ভোরের হাওয়ার গান)

বাণী

পদ্মার ঢেউ রে —
মোর শূণ্য হৃদয়–পদ্ম নিয়ে যা, যা রে।
এই পদ্মে ছিল রে যার রাঙ্গা পা
আমি হারায়েছি তারে।।
মোর পরান–বঁধু নাই, পদ্মে তাই মধু নাই (নাই রে)
বাতাস কাঁদে বাইরে, সে সুগন্ধ নাই রে
মোর রূপের সরসীতে আনন্দ–মৌমাছি নাহি ঝঙ্কারে রে।।
ও পদ্মারে —
ঢেউয়ে তোর ঢেউ ওঠায় যেমন চাঁদের আলো
মোর বঁধুয়ার রূপ তেমনি ঝিল্‌মিল করে কৃষ্ণ–কালো।
সে প্রেমের ঘাটে ঘাটে বাঁশি বাজায়
যদি দেখিস্‌ তারে, দিস্‌ এই পদ্ম তার পায়
বলিস্‌, কেন বুকে আশার দেয়ালি জ্বালিয়ে
ফেলে গেল চির–অন্ধকারে।