বাণী

পরি’ জাফরানি ঘাগরি চলে শিরাজের পরী
ইরানি কিশোরী হেসে’ হেসে’।।
চপল চটুল রঙ্গে রঙ্গিলা নৃত্য বিভঙ্গে
চলিছে সহেলি এলোকেশে।।
পাপিয়া পিয়া পিয়া ডকে শাখে — পিয়া পিয়া পিয়া পিয়া
কাহারে ভালোবেসে।।
মনে সে শিরাজির নেশা লাগায়
আঁখি-ইঙ্গিতে গোলাপ ফোটায়।
তারি সুরে রহি’ রহি’ বিরহীর রবাব ঝুরে
বুলবুলি পথ ভুলি’ ইহারি লাগি’ এলো এ দেশে।।

বাণী

পরাজিত হ’ল অপরাজিতার কাছে গোলাপের রূপ হায়।
পথের ধূলিতে ঢেকে দে গোলাপ-বন, আয় ঝোড়ো হাওয়া আয়।।
বসিল না মোর ময়ূর-সিংহাসনে বনের সে প্রজাপতি,
কোহিনূর ফেলে দেখিল পথের ফুলে সে-কোন্ প্রেমের জ্যোতি।
	হে প্রেম-ভিখারি! তোমার ধূলির পথে
	ডাক দিলে যদি চির-ভিখারিনী হ’তে,
মরণের ক্ষণে দুটি ফোঁটা আঁখি-জল সে যেন ভিক্ষা পায়।।

বাণী

প্রেম নগরকা ঠিকানা করলে প্রেম নগরকা ঠিকানা।
ছোড় করিয়ে দোদিন কা ঘর ওহি রাহপে জানা।।
	দুনিয়া দওলত হ্যায় সব মায়া
	সুখ দুখ দো হ্যায় জগ কা কায়া
দুখকো তু প্রেম সে গলে লাগালে আগে না পছতানা।।
	আতি হ্যায় যব রাত আঁধেরি
	ছোড় তু মায়া বন্ধন-ভারি
প্রেম নগর কি কর তৈয়ারি, আয়া হ্যায় পরোয়ানা।।

বাণী

পথহারা পাখি কেঁদে ফিরে একা
আমার জীবনে শুধু আঁধারের লেখা।।
বাহিরে অন্তরে ঝড় উঠিয়াছে
আশ্রয় যাচি হায় কাহার কাছে
	বুঝি দুখ-নিশি মোর
	হবে না হবে না ভোর
ফুটিবে না আশার আলোক রেখা।।

নাটকঃ ‘সিরাজদ্দৌলা’

বাণী

প্রিয় কোথায় তুমি কোন গহনে
কোন ধ্রুবলোকে কোন দূর গগনে।।
খোঁজে কানন তোমায় মেলি' কুসুম-আঁখি,
'তুমি কোথায়' বলি' ডাকে বনের পাখি।
আছ ঠকুর হয়ে কোন দেবালয়ে
কোন শ্রাবন-মেঘে দখিনা পবনে।।
সিন্ধু-বুকে মুখে লুকায়ে নদী
'তুমি কোথায়' বলি' কাঁদে নিরবধি।
	জ্বালি' তারার বাতি
	খোঁজে আঁধার রাতি,
তোমায় খুঁজিয়া নিভিল জ্যোতি মোর নয়নে।।

বাণী

প্রণমামী শ্রীদুর্গে নারায়ণী গৌরী শিবে সিদ্ধি বিধায়িনী
মহামায়া অম্বিকা আদ্যাশক্তি ধর্ম-অর্থ-কাম মোক্ষ-প্রদায়িনী।।
শুম্ভ নিশুম্ভ বিমর্দিনী চন্ডী নমো নমঃ দশপ্রহরণ ধারিণী
দেবী সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়-বিধাত্রী জয় মহিষাসুর সংহারিণী।
			জয় দুর্গে, জয় দুর্গে।।
যুগে যুগে দনুজ দলনী মহাশক্তি যোগনিদ্রা মধুকৈটভ নাশিনী
বেদ-উদ্ধারিণী মণি-দীপ বাসিনী শ্রীরাম অবতারে বরাভয় দায়িনী।
			জয় দুর্গে, জয় দুর্গে।।