প্রিয় তব গলে দোলে যে হার কুড়িয়ে পাওয়া
বাণী
প্রিয় তব গলে দোলে যে হার কুড়িয়ে পাওয়া সে যে হার নহে, হৃদয় মোর হারিয়ে যাওয়া।। তোমারি মতন যেন কাহার সনে সেদিন পথে চোখাচোখি হল গোপনে মন চকিতে হরিল যে সেই চকিত চাওয়া।। ছিল চৈতালি সাঁঝ, তাহে পথ নিরালা ছিনু একেলা আমি, চলে একেলা বালা বহে ঝিরিঝিরি ধীরি-ধীরি চিতী হাওয়া চাহিল সে মুখে মোর ঘোমটা তুলে তার নয়নে ও ঘটে জল উঠিল দুলে চেয়ে দেখি মোর আঁখি সলিল ছাওয়া।।
প্রভু সংসারেরি সোনার শিকল
বাণী
প্রভু সংসারেরি সোনার শিকল বেঁধো না আর পায় তোমার প্রেম ডোরে ত্রিভুবন স্বামী বাঁধ হে আমায়॥ সারা জীবন বোঝা বয়ে, এসেছি আজ ক্লান্ত হয়ে জুড়াতে হে শান্তি দাতা তোমার শীতল ছায়॥ হে নাথ যতদিন শক্তি ছিল বোঝা বহিবার হাসি মুখে বয়েছি নাথ তোমার দেওয়া ভার। শেষ হল আজ ভবের খেলা, কি দান দেব যাবার বেলা তোমার নামের ভেলায় যেন এ দীন তরে যায়॥
পুঁথির বিধান যাক পুড়ে
বাণী
পুঁথির বিধান যাক পুড়ে তোর, বিধির বিধান সত্য হোক! (এই) খোদার উপর খোদকারী তোর মানবে না আর সর্বলোক।। নানান মুনির নানান মত্ যে, মানবি বল্ সে কার শাসন? কয়জনার বা রাখবি মন? একজনকে মানলে করবে আর এক সমাজ নির্বাসন, চারদিকে শৃঙ্খল বাঁধন! সকল পথে লক্ষ্য যিনি চোখ পুরে নে তাঁর আলোক।। জাতের চেয়ে মানুষ সত্য, অধিক সত্য প্রাণের টান প্রাণ-ঘরে সব এক সমান। বিশ্ব-পিতার সিংহ-আসল প্রাণ বেদীতেই অধিষ্ঠান, আত্মার আসন তাইত প্রাণ। জাত-সমাজের নাই সেথা ঠাই জগন্নাথের সাম্য লোক জগন্নাথের তীর্থ লোক।। চিনেছিলেন খ্রিষ্ট, বুদ্ধ, কৃষ্ণ, মোহাম্মদ ও রাম মানুষ কী আর কী তার দাম! (তাই) মানুষ যাদের করত ঘৃণা, তাদের বুকে দিলেন স্থান, গান্ধী আবার গান সে-গান। (তোরা) মানব-শত্রু, তোদেরই হায় ফুটল না সেই জ্ঞানের চোখ।।