প্রভু রাখ এ মিনতি ত্রিভুবন-পতি
বাণী
(প্রভু) রাখ এ মিনতি ত্রিভুবন-পতি তব পদে মতি। আঁখির আগে যেন সদা জাগে তব ধ্রুব-জ্যোতি।। সংসার মরুমাঝে তুমি মেঘ-মায়া, বিষাদ-শোক তাপে তুমি তরু-ছায়া, সান্ত্বনা দাতা তুমি দুঃখ ত্রাতা অগতির গতি।। জননীর মত আছ ঊর্ধ্বে জাগি জলে স্থলে শূন্যে অগণিত তব দান মোদের লাগি১। ঝঞ্ঝার মাঝে তব বিষাণ বাজে, সহসা ঢলি পড় বনে ফুল-সাজে, কোমলে কঠোরে হে প্রভু বিরাজে তব মহাশক্তি।।
১. দোলে কালো নিশার কোলে / আলো-উষসী / তিমির তলে তব তিলক জ্বলে / ঐ পূর্ণ শশী।
পিয়া পাপিয়া পিয়া বোলে
বাণী
পিয়া পাপিয়া পিয়া বোলে। ‘পিউ পিউ পিউ কাঁহা’ পাপিয়া পিয়া বোলে।। সে পিয়া পিয়া সুরে বাদল ঝুরে, নদী-তরঙ্গ দোলে। কূলে কূলে কুলু কুলু নদী-তরঙ্গ দোলে। ফুটিল দল মেলি’ কেতকী, বেলি, শিখী পেখম খোলে। দু’লে দু’লে দু’লে নেচে’ শিখী পেখম খোলে।। পিয়ায় যা’রা নাহি পেল হেথায়, তাহারা কি এসেছে ধরায় পুন হইয়া পাপিয়া পাখি? দেখিয়া ঘরে ঘরে তরুণীর কালো আঁখি ‘পিউ কাঁহা পিউ কাঁহা’ আজিও উঠিছে ডাকি’! পিয়া পাপিয়া পিয়া বোলে।।
প’রো প’রো চৈতালি-সাঁজে কুস্মি শাড়ি
বাণী
প’রো প’রো চৈতালি-সাঁজে কুস্মি শাড়ি। আজি তোমার রূপের সাথে চাঁদের আড়ি॥ প’রো ললাটে কাঁচপোকার টিপ, তুমি আলতা প’রো পায়ে হৃদি নিঙাড়ি’॥ প্রজাপতির ডানা-ঝরা সোনার টোপাতে, ভাঙা ভুরু জোড়া দিও বাতুল শোভাতে। বেল-যূথিকার গ’ড়ে মালা প’রো খোঁপাতে দিও উত্তরীয় শিউলি-বোঁটার রঙে ছোপাতে, রাঙা সাঁঝের সতিনী তুমি রূপ-কুমারী॥