বাণী

পুরুষ 	: 	পরান হরিয়া ছিলে পাশরিয়া
		কেমনে প্রিয়া আনন্দে (হায়)।
স্ত্রী 	: 	হায় ছিনু কি যেন স্বপনে মগ্না,
পুরুষ 	: 	হায় আজি হবে কি এ কণ্ঠলগ্না,
স্ত্রী 	: 	না — না — 
পুরুষ	 : 	হায় ফুল ফুটবে নাকি এ বসন্তে,
স্ত্রী 	: 	না — না — 
উভয়ে 	: 	হায় বাঁশরি বাজে ব্যাকুল ছন্দে,
		ফুল জাগানো হাওয়ার সাথে।
পুরুষ 	: 	মালঞ্চে পাপিয়া উঠিছে ডাকয়িা
স্ত্রী 	: 	বিরহিণী হিয়া উঠিছে কাঁপিয়া,
পুরুষ 	: 	হৃদয় চাপিয়া থেকো না আর
		খোল গো মনের দ্বার
স্ত্রী 	: 	মুখে আসে না বুকের ভাষা,
		ওগো কেমনে জানাই ভালোবাসা 
পুরুষ 	: 	প্রেমের দরিয়া ওঠে উছলিয়া
স্ত্রী 	: 	কে করে সে-প্রেমের আশা
পুরুষ 	: 	চাও — চাও — 
স্ত্রী 	: 	যাও — যাও — 
উভয়ে 	: 	খেলিব দুজনে মানে অভিমানে
			এমনি মধুর দ্বন্দ্বে (হায়)।।

বাণী

প্রাণে জাগে হিন্দোল গানে জাগে হিল্লোল,
প্রেমের চামেলি বনে জাগিল মুকুল্।
মনের গোপন রাগে রঙিন স্বপন জাগে,
ফুল-ভরা গুল্‌বাগে বুলে বুল্‌বুল্‌।।
রূপে ধরা ঝলমল্ রসে ভরা টলমল্,
ঢলো ঢলো অনুরাগে আঁখি ঢুলুঢুল্।
পাপিয়ার কলগানে কোকিলের কুহুতানে,
যৌবনে মৌবনে দিল্ মস্‌গুল।।

রেকর্ড নাটিকাঃ কাফন-চোরা

বাণী

পিয়াসী প্রাণ তারে চায়, এনে দে তা’য়।
জনম জনম বিরহী প্রাণ মম
সাথিহীন পাখি সম কাঁদিয়া বেড়ায়।।
চাঁদের দীপ জ্বালি’ খুঁজিছে আকাশ তা’রে
না পেয়ে তাহার দিশা কাঁদে সে বাদল-ধারে।
ঝরে অভিমানে ফুল তারে না-দেখতে পেয়ে,
বহে কাঁদন-নদী পাষাণ গিরি বেয়ে।
আসিব ব’লে সে গেছে চ’লে —
(আমি) আজো আছি বেঁচে তা’রি আশায়।।

বাণী

পুরবের তরুণ অরুণ পুরবে আস্‌লো ফিরে।
কাঁদায়ে মহাশ্বেতায় হিমানীর শৈল-শিরে।।
	কুহেলির পর্দা ডারি’
	ঘুমাত রূপ-কুমারী,
জাগালে স্বপনচারী — তাহারে নয়ন-নীরে।।
তোমার ঐ তরুণ গলার শুনি গান সিন্ধু-পারে,
দুলিছ মধ্যমণি সুরমার কণ্ঠ-হারে।
	ধেয়ানী দিলে ধরা
	হ’ল সুর স্বয়ম্বরা,
এলে কি পাগল-ঝোরা — পাষাণের বক্ষ চিরে’।

বাণী

প্রদীপ নিভায়ে দাও, উঠিয়াছে চাঁদ।
বাহুর ডোর আছে, মালায় কি সাধ।।
ফুল আনিও না ভবনে
কেশের সুবাস তব ঘনাক মনে,
হৃদয়ের লাগি মোর হৃদয় কাঁদে চন্দন লাগে বিস্বাদ।।
খোলো গুণ্ঠন, ফেলে দাও আভরণ,
হাতে রাখ হাত, তোলো আনত নয়ন।
বাহিরে বহুক বাতাস
বক্ষে লাগুক মোর তব ঘন শ্বাস,
চম্পার ডালে ব’সে মোদেরে দেখে,
কুহু আর পাপিয়ায় করুক বিবাদ।।

১. বাহু-বন্ধন

বাণী

(মম)	প্রাণ নিয়ে নিঠুর খেল এ কি খেলা (হায়)।
	ক্ষণে ভালোবাসা হায় ক্ষণে অবহেলা।।
	সকালে গাঁথিয়া মালা পায়ে দল বিকালে তায়।
	তেমনি দলিতে চাহ আমার পরান কি হায়।
	সহিতে পারি না আর এই হেলাফেলা।।
	জলরূপী একি কোন্ মরীচিকা তুমি কি গো।
	ডেকে এনে মরুভূমে বধিবে এ বনমৃগ।
	বুঝিয়াছি কখন হায় ফুরায়েছে বেলা।।