বাণী

(মম)	প্রাণ নিয়ে নিঠুর খেল এ কি খেলা (হায়)।
	ক্ষণে ভালোবাসা হায় ক্ষণে অবহেলা।।
	সকালে গাঁথিয়া মালা পায়ে দল বিকালে তায়।
	তেমনি দলিতে চাহ আমার পরান কি হায়।
	সহিতে পারি না আর এই হেলাফেলা।।
	জলরূপী একি কোন্ মরীচিকা তুমি কি গো।
	ডেকে এনে মরুভূমে বধিবে এ বনমৃগ।
	বুঝিয়াছি কখন হায় ফুরায়েছে বেলা।।

বাণী

প্রিয়	তব গলে দোলে যে হার কুড়িয়ে পাওয়া
সে যে	হার নহে, হৃদয় মোর হারিয়ে যাওয়া।।
	তোমারি মতন যেন কাহার সনে
	সেদিন পথে চোখাচোখি হল গোপনে
মন	চকিতে হরিল যে সেই চকিত চাওয়া।।
ছিল	চৈতালি সাঁঝ, তাহে পথ নিরালা
ছিনু	একেলা আমি, চলে একেলা বালা
বহে	ঝিরিঝিরি ধীরি-ধীরি চিতী হাওয়া
	চাহিল সে মুখে মোর ঘোমটা তুলে
তার	নয়নে ও ঘটে জল উঠিল দুলে
	চেয়ে দেখি মোর আঁখি সলিল ছাওয়া।।

বাণী

পথহারা পাখি কেঁদে ফিরে একা
আমার জীবনে শুধু আঁধারের লেখা।।
বাহিরে অন্তরে ঝড় উঠিয়াছে
আশ্রয় যাচি হায় কাহার কাছে
	বুঝি দুখ-নিশি মোর
	হবে না হবে না ভোর
ফুটিবে না আশার আলোক রেখা।।

নাটকঃ ‘সিরাজদ্দৌলা’

বাণী

পতিত উধারণ জয় নারায়ণ
কমলাপতে জয় ভ্যত্ত্‌ব-ভ্যয়-হ্যর‍্যণ
জয় জ্যগদীশ হ্যরে।।

নাটিকাঃ ‘জন্মাষ্টমী’

বাণী

প্রেম আর ফুলের জাতি কুল নাই,
বুল্‌বুলি সে কথা ভুলিল কি হায়।
সে কেন তবে আসে না
রাতের ফুল মোর হাতে শুকায়।।
রাজ-বাগিচার ফুল হোক যত গরবী
পথের ফুলেও আছে তা’রি মত সুরভি,
রসের পুতলী হয় পথের ভিখারিনী
		যদি প্রেম পায়।।

বাণী

পিয়া গেছে কবে পরদেশ পিউ কাঁহা ডাকে পাপিয়া,
দোয়েল শ্যামার শিসে তারি হুতাশ উঠিছে ছাপিয়া।।
	পাতারি আড়ালে মুখ ঢাকি'
	মুহুমুহু কুহু ওঠে ডাকি,
বাজে ধ্বনি তারি উহু উহু বিরহী পরাণ ব্যাপিয়া।।
	'বউ কথা কও' পাখি ডাকে —
	কেন মনে প'ড়ে যায় তাকে,
কথা কও বউ — ডাকিত সে মোরে, নিশীথ উঠিত কাঁপিয়া।।