প্রিয়তম হে বিদায়
বাণী
প্রিয়তম হে, বিদায় আর রাখিতে নারি, আশা-দীপ নিভে যায় দুরন্ত বায়।। কত ছিল বলিবার, হায় হ’লো না বলা ঝুঁরিতেছে চামেলির বন উতলা যেন অনন্ত দিনের দিকে হায় হায়।। কে কাঁদে দিকে দিকে হায় হায়।। রহিল ছড়ানো মোর প্রাণের তিয়াস হুতাস পবনে; জড়ানো রহিল মোর করুণ প্রীতি ধূসর গগনে। তুমি মোরে স্মরিও যদি এই পথে কোনদিন চলিতে প্রিয় নিশিভোরে ঝরা ফুল দ’লে যাও পায়।।
পঞ্চ প্রাণের প্রদীপ-শিখায়
বাণী
পঞ্চ প্রাণের প্রদীপ-শিখায় লহ আমার শেষ আরতি। ওগো আমার পরম-পতি, ওগো আমার পরম-পতি।। বহু সে-কাল বাহির-দ্বারে দাঁড়িয়ে আছি অন্ধকারে, এবার দেহের দেউল ভেঙে দেখ্ব নিঠুর, তোমার জ্যোতি।। আমি তোমায় চেয়েছিলাম, শুধু এই সে অপরাধে, ধ্যান ভেঙেছ আমার, ফেলে নিত্য নূতন মায়ার ফাঁদে। আজ মায়ার ঘরে আগুন জ্বেলে পালিয়ে গেলাম পাখা মেলে, জীবন যাহার মিথ্যা স্বপন মরণে তার নাই ক ক্ষতি।। কেটে দিলাম নিঠুর হাতে যে বাঁধনে বেঁধেছিলে, রইল না আর আমার ব’লে কোনো স্মৃতি এ-নিখিলে। আবার যদি তোমার মায়ায় রূপ নিতে হয় নূতন কায়ায়, তোমার প্রকাশ রুদ্ধ যেথায় সেথায় যেন না হয় গতি।।
প্রভু তোমারে খুঁজিয়া মরি ঘুরে ঘুরে
বাণী
প্রভু তোমারে খুঁজিয়া মরি ঘুরে ঘুরে বৃথা দূরে চেয়ে থাকি তুমি অন্তরতম আছ অন্তরে নয়নেরে দিয়ে ফাঁকি॥ তুমি কাছে থাকি খেল লুকোচুরি তাই বাহিরে চাহিয়া দেখিতে না পাই যেমন আঁখির পল্লব নাথ দেখিতে পায় না আঁখি॥ মোরা ভাবি তুমি কত দূরে বুঝি গ্রহ তারকার পারে বুকে যে ঘুমায় তারে খুঁজি বনে প্রান্তরে দ্বারে দ্বারে। বাহিরে না পেয়ে ফিরি যবে ঘরে দেখি জেগে আছ তুমি মোর তরে যত ডাকি তত লুকাও হে চোর মোর বুকে মুখ রাখি॥
প্রজাপতি প্রজাপতি
বাণী
প্রজাপতি! প্রজাপতি! কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গীন পাখা, টুকটুকে লাল–নীল ঝিলিমিলি আঁকা–বাঁকা।। তুমি টুলটুলে বন-ফুলে মধু খাও মোর বন্ধু হয়ে সেই মধু দাও ওই পাখা দাও সোনালী –রূপালী পরাগ মাখা।। মোর মন যেতে চায় না পাঠশালাতে প্রজাপতি! তুমি নিয়ে যাও সাথী ক’রে তোমার সাথে। তুমি হাওয়ায় নেচে নেচে যাও আজতোমার মত মোরে আনন্দ দাও এই জামা ভাল লাগে না, দাও জামা ছবি–আঁকা।।