যে অবহেলা দিয়ে মোরে করিল পাষাণ। সখি কেন কেঁদে ওঠে তারি তরে মোর প্রাণ।। যে ফুল ফুটায়ে তার মধু নিল না মোরে ধরার ধূলিতে এনে ধরা দিল না, কেন তার তরে বুকে এত জাগে অভিমান।। মোর প্রেম-অঞ্জলি সে যত যায় দলি’ তারে তত জড়াতে চাই, শ্যাম-সুন্দর বলি’, চাঁদ সে যে আকাশের সে ধরা দেয় না তবু চকোরীর ভুল হয় নাকো অবসান।।
চ্যল চ্যল চ্যল ন্যওয্যওয়ান চ্যল্। ফ্যত্হেকি হো ফৌজ তুম্ ব্যহর্ কি হো মৌজ তুম্ ব্যখত্কে হো অওজ তুম্ তুম্মে হ্যায় জোর ব্যল্।। চাক হ্যায় শ্যব কি ন্যকাব ছোড় দো গ্যফল্যত কা খবাব, নিকলা ওহ লো আফতাব — তুম্ভি হো গ্যরমে অ্যস্যল।। ফ্যয়লনে কো বেকরার সুরতে নূর অ্যওর নার, জ্যল জ্যলা আফজা পুকার — জলমকি ব্যনফ্যর অ্যম্যল।। চ্যল মচাকে শোর সাফে দুশম্যন কো তোড় ফোড় উঠ খ্যড়ে হো সুব্ আজাঁ গ্যফিলিয়ত্ কো ছোড়, হিম্মত না হারানা আযায়ে গ্যর অ্যয্যল।।
অনেক ছিল বলার, যদি সেদিন ভালোবাস্তে গো। পথ ছিল গো চলার, যদি দু’দিন আগে আস্তে গো।। আজিকে মহাসাগর–স্রোতে, চলেছি দূর পারের পথে ঝরা–পাতা হারায় যথা, সেই আঁধারে ভাস্তে গো।। গহন রাতি ডাকে আমায় এলে তুমি আজ্কে কাঁদিয়ে গেলে হায় গো আমার বিদায়–বেলার সাঁঝ্কে। আস্তে যদি হে অতিথি ছিল যখন শুক্লা তিথি ফুটত চাঁপা, সেদিন যদি চৈতালী–চাঁদ হাস্তে।।
হে প্রবল দর্পহারী কৃষ্ণ-মুরারি। শরণাগত আর্ত-পরিত্রাণ-পরায়ণ — যুগ যুগ সম্ভব নারায়ণ দানবারি।। ভূ-ভার হরণে এসো জনার্দন হৃষিকেশ, কল্কীরূপে অধর্ম নিধনে এসো দনুজারি — কংসারি গিরিধারী ডাকে ভয়ার্ত নরনারী।। দুর্বল দীনের বন্ধু, জন-গণ ত্রাতা নিঃস্বের সহায় পরমেশ বিশ্ব-বিধাতা, তিমির-বিদারি এসো মহা-ভারত-বিহারী।। এসো উৎপীড়িতের নীরব রোদনে এসো এসো বীরের আত্মদানে প্রাণ-উদ্বোধনে এসো, দেশ-দ্রৌপদীর লজ্জাহারী, দৈত্য-গর্ব-খর্ব-কারী — শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম-ধারী।।
জাগো অমৃত-পিয়াসি চিত আত্মা অনিরুদ্ধ কল্যাণ প্রবুদ্ধ। জাগো শুভ্র জ্ঞান পরম নব প্রভাত পুষ্প সম আলোক-স্নান-শুদ্ধ।। সকল পাপ কলুষ তাপ দুঃখ গ্লানি ভোলো পুণ্য প্রাণ-দীপ-শিখা স্বর্গ পানে তোলো। বাহিরে আলো ডাকিছে জাগো তিমির কারারুদ্ধ।। ফুলের সম আলোর সম ফুটিয়া ওঠ হৃদয় মম রূপ রস গন্ধে অনায়াস আনন্দে জাগো মায়া-বিমুগ্ধ।।
