যে ব্যথায় এ অন্তর-তল নিশিদিন উঠিছে দুলে
বাণী
যে ব্যথায় এ অন্তর-তল নিশিদিন উঠিছে দুলে'। তারি ঢেউ এ সঙ্গীতে মোর মুরছায় সুরের কূলে।। ভালোবাসা তোমরা যারে দু'দিনেই ভোলো গো তারে (হায়) শরতের সজল মেঘ-প্রায় কেঁদে যাও নিমেষে ভুলে।। কঠিন পুরুষেরি মন গলিয়া বহে গো যখন বহে সে নদীর মতন চিরদিন পাষাণ-মূলে।। আলোর লাগি' জাগে ফুল, নদী ধায় সাগরে যেমন, চকোর চায় চাঁদ, চাতক মেঘ, যারে চায় তায় চাহে এই রে মন। নিয়ে যায় সুদূর অমরায় পূজে তায় বাণী-দেউলে।।
ঐ শ্যাম মুরলী বাজায়
বাণী
রাধা : ঐ শ্যাম মুরলী বাজায়। কৃষ্ণ : রাধা রাধা বলে ডাকো বাঁশি রাধিকায়।। রাধা : এসেছি রাঙ্গা পায় বড় সাধ মনে বাঁশি শিখিব শ্যামরায়। যে বাঁশির সুরে হরি কুল ভোলে ব্রজনারী বাজাতে তেমনি বাঁশি শিখাও হে রাধিকায়।। কৃষ্ণ : তবে অধরে ধর বাঁশি রাই। রাধা : যে সুরে হে শ্যামরায় যমুনা উজান যায় ভোলে রাধা কুলমান লাজ, শুনি যে মোহন বেণু তৃণ নাহি খায় ধেনু সে সুর শিখাও ব্রজরাজ, কৃষ্ণ : বাঁশি রাধা নামে সাধা ব’লে শুধু রাধা শ্যাম-নাম কহিতে না জানে’ যতই ডাকিবে শ্যামে ততই সে রাধা নামে ফুকারিবে সুমধুর তানে।। রাধা : তাহে নাই নাই হরি বাধা, আজ আমি শ্যাম তুমি রাধা কৃষ্ণ : মুরলী হইল শেখা ঐ ডাকে কুহু কেকা রাই এসো নাচি দুঁহু আনন্দে নূপুর মধুর ছন্দে।।
‘শ্রীমতীর মুরলী শিক্ষা’
এসো নওল কিশোর এসো এসো
বাণী
এসো নওল কিশোর এসো এসো, লুকায়ে রাখিব আঁখিতে মম। আমার আঁখির ঝিনুকে বন্দী রহিবে মুকুতা সম।। তুমি ছাড়া আর এই পৃথিবীতে এ আঁখি কারেও পাবে না দেখিতে, তুমিও আমারে ছাড়া আর কারেও হেরিবে না প্রিয়তম।। লুকায়ে রাখিব ফণিনী যেমন মানিক লুকায়ে রাখে, ঘিরিয়া থাকিব দামিনী যেমন শ্যাম মেঘ ঘিরে থাকে। মেঘ হয়ে আমি হে চাঁদ তোমায় আবরি’ রাখিব আঁখির পাতায়, নিশীথে জাগিয়া কাঁদিব দু’জন প্রিয় হে, চির জনম।।