বাণী

ঘোর ঘন ঘটা ছাইল গগন
ভুবন গভীর বিষাদ মগন।।
নাহি রবি শশী নাহি গ্রহ তারা
নিখিল নয়নে শ্রাবণের ধারা
সৃষ্টি ডুবালো গো’ স্রোতের প্লাবন।।

নাটক: সাবিত্রী

বাণী

এলো শারদশ্রী কাশ-কুসুম-বসনা রসলোক-বাসিনী
ল’য়ে ভাদরের নদী সম রূপের ঢেউ মৃদু মধু-হাসিনী।।
	যেন কৃশাঙ্গী তপতী তপস্যা শেষে
	সুন্দর বর পেয়ে হাসে প্রেমাবেশে,
আমন ধানের শিষে মন ভোলানো কোন্ কথা কয় সে মঞ্জুল-ভাষিণী।।
শিশির স্নিগ্ধ চাঁদের কিরণ ওকি উত্তরী তার,
অরণ্য কুন্তলে খদ্যোত মণিকা মালতীর হার।
	তার আননের আবছায়া শতদলে দোলে
	হংসধ্বনিতে মায়া মঞ্জীর বোলে,
সে আনন্দ এনে কেঁদে চলে যায় বিজয়ায় বেদনার বেদমতী সন্ন্যাসিনী।।

গীতি আলেখ্য : ‘শারদশ্রী’

বাণী

লুকোচুরি খেলতে হরি হার মেনেছ আমার সনে
লুকাতে চাও বৃথা হে শ্যাম, ধরা পড় ক্ষণে ক্ষণে।।
গহন মেঘে লুকাতে চাও অম্‌নি রাঙা, চরণ লেগে
যে পথে ধাও সে পথ ওঠে ইন্দ্রধনুর রঙে রেঙে,
চপল হাসি চম্‌কে বেড়ায় বিজলিতে নীল গগনে।।
রবি-শশী-গ্রহ-তারা তোমার কথা দেয় প্রকাশি’
ঐ আলোতে হেরি তোমার তনুর জ্যোতি মুখের হাসি।
হাজার কুসুম ফুটে’ ওঠে লুকাও যখন শ্যামল বনে।
মনের মাঝে যেম্‌নি লুকাও, মন হয়ে যায় অম্‌নি মুনি,
ব্যথায় তোমার পরশ যে পাই, ঝড়ের রাতে বংশী শুনি
দুষ্টু তুমি দৃষ্টি হয়ে লুকাও আমার এই নয়নে
দুষ্টু তুমি দৃষ্টি হয়ে থাক আমার এই নয়নে।।

বাণী

হাসে আকাশে শুকতারা হাসে।
অরুণ-রঞ্জনী-ঊষার পাশে॥
	ওকি ঊষসীর সাথী
	বাসর ঘরে জাগে রাতি,
(ওকি) সখীর মনের কথা জানে আভাসে॥
হাসির ছটায় ওর আঁখি কেন নাচে,
রবির রথের ধ্বনি ওকি শুনিয়াছে।
(ও) কেন দিবা আসিবার আগে
শ্রান্ত বধূর ঘুম ভাঙে,
(ওকি) ধরার সূযমুখী ফুটেছে নভে —
প্রিয়তমে প্রথম দেখার আশে॥

বাণী

বিঁধে গেল তীর তেরছ তার চাহনি।
বিঁধিল মরম-মূলে চাহিল যেমনি।।
হৃদয় বনের নিষাদ সে নিঠুর
তনু তার ফুলবন আঁখি তাহে ফণি।
এলো যখন স্বপন-পরী উড়ায়ে আঁচল সোনালি,
মোর ধেয়ান-লোক হতে যেন এলো রূপ ধরে রূপওয়ালী।
দেহে তার চাঁদিনী-চন্দন মাখা, হায় চাহিল সে যেই
তার চোখের ঐ তীর খেয়ে কেঁদে কহিল হৃদি;
ওগো হেনে গেল তীর।।

বাণী

মাগো আমি তান্ত্রিক নই তন্ত্র মন্ত্র জানি না মা।
আমার মন্ত্র যোগ-সাধনা ডাকি শুধু শ্যামা শ্যামা।।
	যাই না আমি শ্মশান মশান
	দিই না পায়ে জীব বলিদান,
খুঁজতে তোকে খুজি না মা অমাবস্যা ঘোর ত্রিযামা।।
ঝিল্লী যেমন নিশীথ রাতে একটানা সুর গায় অবিরাম
তেমনি করে নিত্য আমি জপি শ্যামা তোমারি নাম।
	শিশু যেমন অনায়াসে
	জননীরে ভালোবাসে,
তেমনি সহজ সাধনা মোর তাতেই পাব তোর দেখা মা।।