তুমি আমায় যবে জাগাও গুণী
বাণী
তুমি আমায় যবে জাগাও গুণী তোমার উদার সঙ্গীতে মোর হাত দু'টি হয় লীলায়িত নমস্কারের ভঙ্গিতে।। সিন্ধু জলের জোয়ার সম, ছন্দ নামে অঙ্গে মম রূপ হলো মোর নিরুপম তোমার প্রেমের সুরের অমৃতে।। আমার আঁখির পল্লবদল উদাস অশ্রুভারে, ভোরের করুণ তারা মতো কাপেঁ বারেবারে। আনন্দে ধীর বসুন্ধরা, হলো চপল নৃত্যপরা ঝরে রঙের পাগল ঝোরা তোমার চরণ রঞ্জিতে।।
মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু-মুসলমান
বাণী
মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু-মুসলমান। মুসলিম তার নয়ন-মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ।। এক সে আকাশ মায়ের কোলে যেন রবি শশী দোলে, এক রক্ত বুকের তলে, এক সে নাড়ির টান।। এক সে দেশের খাই গো হাওয়া, এক সে দেশের জল, এক সে মায়ের বক্ষে ফলাই একই ফুল ও ফল। এক সে দেশের মাটিতে পাই কেউ গোরে কেউ শ্মাশানে ঠাঁই এক ভাষাতে মা’কে ডাকি, এক সুরে গাই গান।।
নাটিকাঃ‘পুতুলের বিয়ে’
তোমার নূরের রওশনি মাখা
বাণী
তোমার নূরের রওশনি মাখা নিখিল ভুবন, অসীম গগন। তোমার অনন্ত জ্যোতির ইশারা গ্রহ-তারা-চন্দ্র-তপন।। তোমার রূপের ইঙ্গিত খোদা ফুটিছে বনের কুসুমে সদা, তোমার নূরের ঝলক হেরি’ মেঘে বিজলি চমকে যখন।। প্রাণের খুশি শিশুর হাসি মধুর তোমার রূপ দেয় প্রকাশি’, তোমার জ্যোতির সমুদ্রে খোদা আলোর ঝিনুক মোর এ দু’টি নয়ন।। ধানের খেতে নদী-তরঙ্গে দুলে তোমার রূপ মধুর ভঙ্গে, নিতি দেখা দাও হাজার রঙ্গে অরূপ নিরাকার তুমি নিরঞ্জন।।
আজ যুগের পরে ঘরে ফিরে
বাণী
আজ যুগের পরে ঘরে১ ফিরে মায়ের কথা পড়লো মনে। শূন্য ঘরে মন বসে না গুমরে মরে হিয়ার বনে।। আজো সে ঘর সবাই আছে, মা কেবলই নেই গো কাছে, — ঐ দাওয়া আর ঐ কানাচে আজো মায়ের স্বরটি রনে।। যত্ন কারুর সইতে নারি, কণ্ঠ ছিঁড়ে কান্না আসে; ওষ্ঠ চেপে যায় না রাখা, রূপ যে তোমার চক্ষে ভাসে! পাইনি মাগো সাতটি বরষ একটুকু ক্ষীণ স্নেহের পরশ, — (ও মা) ‘বুনো’ তোমার হ’ল না বশ চল্লো ফিরে ফের বিজনে। হার্লো স্নেহ বাঁধন-হারার বাঁধ্তে নিয়ে ডোর-সৃজনে।।
১. ঘরকে