ভবনে আসিল অতিথি সুদূর
বাণী
ভবনে আসিল অতিথি সুদূর। সহসা উঠিল বাজি রুমু রুমু ঝুম নীরব অঙ্গনে চঞ্চল নূপুর।। মুহু-মুহু বন-কুহু বোলে দোয়েল ধ্যান ভুলি চমকি আঁখি খোলে কে গো কে বলে বন-ময়ূর।। দগ্ধ হিয়ার জ্বালা জুড়ায়ে সজল মেঘের শীতল চন্দন কে দিল বুলায়ে? বকুল কেয়া বীথি হ'তে ছুটে এলো সমীরণ চঞ্চল স্রোতে চাঁদিনী নিশীথের আবেশ আনে মিলন তন্দ্রাতুর অলস-দুপুর।।
আমার হৃদয় মন্দিরে ঘুমায় গিরিধারী
বাণী
আমার হৃদয় মন্দিরে ঘুমায় গিরিধারী। জাগে আমার জাগ্রত প্রেম দুয়ারে তার দ্বারী ॥ কানু আমার বুকে ঘুমায় - ভক্তি জেগে চামর ঝুলায়, শিয়রে দীপ আমার আঁখি, প্রীতি দাসী তারি ॥ চোরের মত মোর গুরুজন ঘুরুক কাছে কাছে - আমি তাদের ভয় করিনে, (আমার) প্রেম যে জেগে আছে। আধেক রাতে নিরালাতে জাগবে হরি, ধরবে হাতে, ওগো ধ্যান করে গো সেই আশাতে এ প্রাণ রাধা-প্যারী ॥
দুধে আলতায় রঙ যেন তার
বাণী
দুধে আলতায় রঙ যেন তার সোনার অঙ্গ ছেয়ে (সে) ভিন্ গেরামের মেয়ে। চাঁদের কথা যায় ভুলে লোক তাহার মুখে চেয়ে, ভিন্ গেরামের মেয়ে। ও পারে ওই চরে যখন চুল খুলে সে দাঁড়ায়, কালো মেঘের ভিড় লেগে যায় আকাশের ওই পাড়ায়, পা ছুঁতে তার নদীর জলে (ও ভাই) জোয়ার আসে ধেয়ে।। চোখ তুলে সে মেঘের পানে ভুরু যখন হানে, অম্নি ওঠে রামধনু গো সেই চাহনির টানে। কপালের সে ঘাম মুছে গো আঁচল যখন খুলে, ধানের ক্ষেতে ঢেউ খেলে যায়, দরিয়া ওঠে দুলে। আমি চোখের জলে খুঁজি তারেই (ও ভাই) দুখের তরী বেয়ে।।
জাগো নারী জাগো বহ্নি-শিখা
বাণী
জাগো নারী জাগো বহ্নি-শিখা। জাগো স্বাহা সীমন্তে রক্ত-টিকা।। দিকে দিকে মেলি’ তব লেলিহান রসনা, নেচে চল উন্মাদিনী দিগ্বসনা, জাগো হতভাগিনী ধর্ষিতা নাগিনী, বিশ্ব-দাহন তেজে জাগো দাহিকা।। ধূ ধূ জ্ব’লে ওঠ ধূমায়িত অগ্নি, জাগো মাতা, কন্যা, বধূ, জায়া, ভগ্নী! পতিতোদ্ধারিণী স্বর্গ-স্খলিতা জাহ্নবী সম বেগে জাগো পদ-দলিতা, মেঘে আনো বালা বজ্রের জ্বালা চির-বিজয়িনী জাগো জয়ন্তিকা।।
আমি গগন গহনে সন্ধ্যা-তারা
বাণী
আমি গগন গহনে সন্ধ্যা-তারা কনক গাঁদার ফুল গো। গোধূলির শেষে হেসে উঠি আমি এক নিমেষের ভুল গো। আমি কণিকা, আমি সাঁঝের অধরে ম্লান আনন্দ-কণিকা আমি অভিমানিনীর খুলে ফেলে দেওয়া মণিকা আমি দেব-কুমারীর দুল গো।। আলতা রাখার পাত্র আমার আধখানা চাঁদ ভাঙা তাহারি রং গড়িয়ে পরে (ঐ) অস্ত-আকাশ রাঙা। আমি একমুঠো আলো কৃষ্ণা-সাঁঝের হাতে আমি নিবেদিত ফুল আকাশ-নদীতে রাতে ভাসিয়া বেড়াই যাঁর উদ্দেশে গো তার পাই না চরণ-মূল।।