রুম ঝুম রুম ঝুম কে বাজায়
বাণী
রুম্ ঝুম্ রুম ঝুম্ কে বাজায় জল-ঝুম্ঝুমি। চমকিয়া জাগে ঘুমন্ত বনভূমি ॥ দুরন্ত অরণ্যা গিরি- নির্ঝরিণী রঙ্গে সঙ্গে ল’য়ে বনের হরিণী, শাখায় শাখায় ঘুম ভাঙায় ভীরু মুকুলের কপোল চুমি’ ॥ কুহু-কুহু কুহরে পাহাড়ি কুহু পিয়াল-ডালে, পল্লব-বীণা বাজায় ঝিরিঝিরি সমীরণ তা’রি তালে তালে। সেই জল-ছলছল সুরে জাগিয়া সাড়া দেয় বন-পারে বাঁশি রাখালিয়া১’, পল্লীর প্রান্তর ওঠে শিহরি’ বলে — ‘চঞ্চলা কে গো তুমি’ ॥
১. ‘বউ কথা কও কোকিল পাপিয়া’ পঙক্তিটি অতিরিক্ত আছে।
এলো রে শ্রী দুর্গা
বাণী
এলো রে শ্রী দুর্গা শ্রী আদ্যাশক্তি মাতৃরূপে পৃথিবীতে এলো রে গভীর স্নেহরস ধারায় কল্যাণ কৃপা করুণায় স্নিগ্ধ করিতে॥ উর্ধ্বে উড়ে যায় শান্তির পতাকা শুভ্র শান্ত মেঘ আনন্দ বলাকা মমতার অমৃত লয়ে শ্যামা, মা হয়ে এলো রে সকলের দুঃখ দৈন্য হরিতে॥ প্রতি হৃদয়ের শতদলে শ্রীচরণ ফেলে বন্ধন কারার দুয়ার ঠেলে। এলো রে দশভুজা সর্বমঙ্গলা মা হয়ে দুর্বলে দুর্জয় করিতে নিরন্নে অন্ন দিতে॥
আমি কালি যদি পেতাম কালী
বাণী
আমি কালি যদি পেতাম কালী রইত না এ মনে কালি। মোর সাদা মনের পদ্মপাতায় লিখ্তাম তোর শ্রীনাম খালি।। (মা) কালী পেলে সকল কালো এই নিমিষে হ’ত আলো, (মা) কালো পাতার কোলে যেমন ফুটে থাকে ফুলের ডালি।। (তোর) কালো রূপের নীল যমুনা বইত যদি মনের মাঝে, (শ্যামা!) দেখ্তে পেত এই ত্রিভুবন, কোথায় শ্যামের বেণু বাজে। তোর কালো রূপের কৃষ্ণ আকাশ পেলে, (আমি) ময়ূর হয়ে নাচতাম মা তারার পেখম মেলে। দুঃখে কালো কপালে মোর হাস্ত শিশু-চাঁদের ফালি।।
তুমি রহিমুর রহমান
বাণী
তুমি রহিমুর রহমান আমি গুণাহগার বান্দা। হাত ধ’রে মোর পথ দেখাও য়্যা আল্লাহ্ আমি আন্ধা।। (মোর) সারা জীবন গেল কেটে পাঁচ ভুতেরই বেগার খেটে, (এখন) শেষের বেলা ঘুচাও আল্লা এই দুনিয়ার ধান্দা।। (আল্লা) আমি তোমার বনের পাখি, কেন আমায় ধ’রে — রাখ্লে মায়ার শিক্লি বেঁধে এই দেহ-পিঞ্জরে। ব’লে এদের বাঁধা বুলি আল্লা তোমায় গেছি ভুলি’, (এবার) শিক্লি কেটে কাছে ডাকো শেষ কর এই কান্দা।।