ওগো অন্তর্যামী ভক্তের তব শোন শোন নিবেদন
বাণী
ওগো অন্তর্যামী, ভক্তের তব শোন শোন নিবেদন যেন থাকে নিশিদিন তোমারি সেবায় মোর তনু-প্রাণ-মন।। নয়নে কেবল দেখি যেন আমি তোমারই স্বরূপ ত্রিভুবন-স্বামী শিরে বহি যেন তোমারি পূজার অর্ঘ্য অনুক্ষণ।। এ রসনা শুধু জপে তব নাম এই বর দাও নাথ; তোমারি চরণ সেবায় লাগুক মোর এই দুটি হাত। ওঠে তব নাম প্রতি নিঃশ্বাসে শ্রবনে কেবল তব নাম ভাসে তব মন্দির-পথে যেন সদা চলে মোর এ চরণ।।
সখি সাপের মণি বুকে করে কেঁদে নিশি যায়
বাণী
সখি সাপের মণি বুকে করে কেঁদে নিশি যায় কাল-নাগিনী ননদিনী দেখতে পাছে পায় (লো সখি)।। সই প্রানের গোপন কথা মম পিঞ্জরেরি পাখির সম পাখা ঝাপটিয়া কাঁদে বাহির হতে চায়।। পাড়ার বৌ-ঝি যদি জলের ঘাটে কানে কথা কয় আমার কথাই কইলো বুঝি মনে জাগে ভয় (সখি) আমি চাইতে নারি চোখে চোখে পাছে মনের কথা জানে লোকে। আমার একি হলো দায় সখি লুকানো না যায় সখি কাঙাল যেমন পেয়ে রতন থুইতে ঠাঁই না পায়।।
বন্ধু আজো মনে রে পড়ে আম কুড়ানো খেলা
বাণী
বন্ধু, আজো মনে রে পড়ে আম কুড়ানো খেলা। আম কুড়াইবার যাইতাম দুইজন নিশি-ভোরের বেলা।। জোষ্ঠি মাসের গুমোঁট রে বন্ধু আস্ত নাকো নিদ রাত্রে আস্ত নাকো নিদ্ আম-তলায় এক চোর আইস্যা কাঁট্ত প্রাণে সিঁদ্ (আর) নিদ্রা গেলে ফেল্ত সে চোর আঙিনাতে ঢেলা।। আমরা দুইজন আম কুড়াইতাম, ডাক্ত কোকিল গাছে, ভোলো যদি — বিহান বেলার সূয্যি সাক্ষী আছে, (তুমি) পায়ের কাছে আম ফেইল্যা গায়ে দিতে ঠেলা।। আমার বুকের আঁচল থাইক্যা কাইড়া নিতে আম, বন্ধু, আজও পাই নাই দাসী সেই না আমের দাম, (আজ) দাম চাইবার গিয়া দেখি তুমি দিছ মেলা।। নিশি জাইগ্যা বইস্যা আছি, জোষ্ঠি মাসের ঝড়ে সেই না গাছের তলায় বন্ধু এখনো আম পড়ে তুমি কোথায় আমি কোথায় দুইজনে একেলা।।
কুসুম-সুকুমার শ্যামল তনু
বাণী
কুসুম-সুকুমার শ্যামল তনু হে ফুল-দেবতা লহ প্রণাম। বিটপী লতায় চিকন পাতায় ছিটাও হাসি কিশোর শ্যাম।। পূজার থালা এ অর্ঘ্য-ডালা এনেছি দিতে তোমার পায় দেহ শুভ বর কুসুম-সুন্দর হোক নিখিল নয়নাভিরাম এ বিশ্ব বিপুল কুসুম-দেউল হোক তোমার ফুল কিশোর মুরলী করে এসো গোলক-বিহারী হোক ভূ-লোক আনন্দ-ধাম।।
নাটকঃ‘সাবিত্রী’
দৃষ্টিতে আর হয় না সৃষ্টি
বাণী
দৃষ্টিতে আর হয় না সৃষ্টি আগের মত গোলাপ ফুল। কথায় সুরে ফুল ফুটাতাম, হয় না এখন আর সে-ভুল।। বাসি হাসির মালা নিয়ে কি হবে নওরোজে গিয়ে, চাঁদ না দেখে আঁধার রাতি বাঁধে কি গো এলোচুল।। আজো দখিন হাওয়ায় ফাগুন আনে বুল্বুলি নাই গুলিস্তানে, দোলে না আর চাঁদকে দেখে’ বনে দোলন-চাঁপার দুল্।। কী হারালো! নাই কি যেন মন হয়েছে এমন কেন, কোন্ নিদয়ের পরশ লেগে’ হয় না হৃদয় আর ব্যাকুল।।