আমি যার নূপুরের ছন্দ
বাণী
আমি যার নূপুরের ছন্দ বেণুকার সুর - কে সেই সুন্দর কে! আমি যার বিলাস-যমুনা বিরহ-বিধুর কে সেই সুন্দর কে।। যাহার গানের আমি বনমালা আমি যার কথার কুসুম-ডালা, না-দেখা সুদূর - কে সেই সুন্দর কে।। যার শিখী-পাখা লেখনী হয়ে গোপনে মোরে কবিতা লেখায় সে রহে কোথায় হায়! আমি যার বরষার আনন্দ-কেকা নৃত্যের সঙ্গিনী দামিনী-রেখা, যে মম অঙ্গে কাঁকন-কেয়ূর কে সেই সুন্দর কে।।
আহার দেবেন তিনি রে মন
বাণী
আহার দেবেন তিনি রে মন জিভ দিয়াছেন যিনি। তোরে সৃষ্টি ক'রে তোর কাছে যে আছেন তিনি ঋণী।। সারা জীবন চেষ্টা ক'রে,ভিক্ষা-মুষ্টি আনলি ঘরে (ও মন) তাঁর কাছে তুই হাত পেতে দেখ কি দান দেন তিনি।। না চাইতে ক্ষেতের ফসল পায় বৃষ্টির জল তুই যে পেলি পুত্র-কন্যা তোরে কে দিল তা বল। যাঁর করুণায় এত পেলি,তাঁরেই কেবল ভুলে গেলি (তোর) ভাবনার ভার দিয়ে তাঁকে ডাক রে নিশিদিন-ই।।
আন্ গোলাপ-পানি
বাণী
আন্ গোলাপ-পানি, আন্ আতরদানি গুলবাগে। সহেলি গো কিছু নাহি ভালো লাগে বেদুঈন ছেলের বাঁশি কারে ডাকে কেঁদে’ কেঁদে’ অনুরাগে।। মরুযাত্রীদের উটের সারি যেমন চাহে তৃষার বারি তেমনি মম পিয়াসি পরান যেন কার — প্রেম-অমৃত বারি মাগে।। চাঁদের পিয়ালাতে জোছনা-শিরাজি ঝ’রে যায় আমারি হৃদয় কেন গো সে-মধু নাহি পায়, হায়, হায়, বাদাম গাছের আঁধার বনে নিঃশ্বাস ওঠে যেন বুল্বুলির শিসের সনে, বিরহী মোর কোথায় কাঁদে কোন্ মদিনাতে — ফোরাত নদীর রোদন১ সম বুকে ঢেউ জাগে।।
১. স্রোতের
সঙ্গীতালেখ্য : ‘কাফেলা’ (মরুদেশের সঙ্গীত)
আমায় আর কতদিন মহামায়া
বাণী
(আমায়) আর কতদিন মহামায়া রাখ্বি মায়ার ঘোরে। (মোরে) কেন মায়ার ঘূর্ণিপাকে ফেল্লি এমন করে।। (ওমা) কত জনম করেছি পাপ কত লোকের কুড়িয়েছি শাপ, তবু মা তার নাই কি গো মাফ ভুগব চিরতরে।। এমনি ক’রে সন্তানে তোর ফেল্লি মা অকূলে, তোর নাম যে জপমালা তাও যাই হায় ভুলে’। পাছে মা তোর কাছে আসি তাই বাঁধন দিলি রাশি রাশি, কবে মুক্ত হ’ব মুক্তকেশী (তোর) অভয় চরণ ধ’রে।।