বাণী

জানি পাব না তোমায় হে প্রিয় আমার
			এ জীবনে আর॥
		এ আমার ললাট লেখা
		আমি রব চির একা
নিমেষের দিয়ে দেখা কাঁদাবে আবার॥
		তুব হে জীবন স্বামী
		তোমারি আশায় আমি
আসিব এ ধরণীতে যুগে যুগে অনিবার॥

বাণী

জোছনা-হসিত মাধবী নিশি আজ।
পর পর প্রিয়া বাসন্তি-রাঙা সাজ।।
রাঙা কমল-কলি দিও কর্ণ-মূলে
পর সোনালি চেলি নব সোনাল্ ফুলে,
স্বর্ণলতার প’র সাতনরী-হার আজি উৎসব-রাত,
		রাখ রাখ গৃহ-কাজ।।
পর কবরী-মূলে নব আমের মুকুল
হাতে কাঁকন পর গেঁথে অতসীর ফুল,
দূরে গাহুক ডাহুক পাখি সখি, মুখর নিলাজ।।

বাণী

আমার কালো মেয়ে রাগ করেছে (মাকে) কে দিয়েছে গালি –
রাগ ক’রে সে সারা গায়ে মেখেছে তাই কালি।।
যখনরাগ করে মোর অভিমানী মেয়ে
আরো মধুর লাগে তাহার হাসি–মুখের চেয়ে –
কেকালো দেউল ক’রলে আলো অনুরাগের প্রদীপ জ্বালি’।।
পরেনি সে বসন–ভূষণ, বাঁধেনি সে কেশ, -
তারি কাছে হার মানে যে ভুবন–মোহন বেশ।
রাগিয়ে তারে কাঁদি যখন দুখে, (দয়াময়ী মা –)
দয়াময়ী মেয়ে আমার ঝাঁপিয়ে পড়ে বুকে;
আমাররাগী মেয়ে, তাই তারে দিই জবা ফুলের ডালি।।

বাণী

	ফিরদৌসের শিরনি এলো ঈদের চাঁদের তশতরিতে।
	লুট ক’রে নে বনি আদম ফেরেশ্‌তা আর হুরপরীতে।।
		চোখের পানি হারাম আজি
		চলুক খুশির আতস বাজি,
(তার)	মউজ লাগুক দূর সেতারা জোহরা আর মোশ্‌তরিতে।।
	দুশমনে আজ দোস্ত মেনে নে তারে তুই বক্ষে টেনে
	হস্‌নে নারাজ দরাজ হাতে দৌলত তোর বিলিয়ে দিতে।।

বাণী

চম্পক-বরণী
চলমল তরণী,
চলে শ্যামা তরুণী
		যৌবন-গরবী।।
ডাকে দূর পারাবার
ডাকে তা’রে বন-’পার,
লালসে ঝরে তার —
		পায়ে রাঙা করবী।।
চলে বালা দুলে দুলে
এলো-খোঁপা পড়ে খুলে,
চাহে ভ্রমর কুসুম ভুলে’ —
		তনুর তার সুরভি।।
নাচের ছন্দে দোদুল
টলে তা’র চরণ চটুল,
হরিণী চায় পথ-বেভুল —
মায়া-লোক-বিহারিণী রচি’
		চলে ছায়া-ছবি।।

বাণী

মরুর ধুলি উঠলো রেঙে রঙিন গোলাপ রাগে
বুলবুলিরা উঠলো গেয়ে মক্কার গুলবাগে।।
	খোদার প্রেমের কোন দিওয়ানা
	দ্বারে দ্বারে দেয় রে হানা,
নবীন আশার আলোক পেয়ে, ঘুমন্ত সব জাগে।।
এ কোন তরণ প্রেমিক এলো কা'বার অঙ্গনে
সবুজ পাতার নিশান দোলায় শুকনো খেজুর বনে।
	এলো নব দীনের নকীব
	চির-চাওয়া খোদার হাবীব
নিখিল পাপী-তাপী যাঁহার পায়ের পরশ মাগে।।