আমার উমা কই গিরিরাজ
বাণী
আমার উমা কই গিরিরাজ, কোথায় আমার নন্দিনী। এ যে দেবী দশভুজা এ কোন্ রণ-রঙ্গিণী॥ মোর লীলাময়ী চঞ্চলারে ফেলে এ কোন দেবীমূর্তি নিয়ে এলে, এ যে মহীয়সী মহামায়া বামা মহিষ-মর্দিনী॥ মোর মধুর স্নেহে জ্বালতে আগুন আন্লে কারে ভুল ক’রে, এরে কোলে নিতে হয় না সাহস ডাকতে নারি নাম ধ’রে। কে এলি মা দনুজ-দলন বেশে কন্যারূপে মা ব’লে ডাক হেসে হেসে, তুই চিরকাল যে দুলালী মোর মাতৃস্নেহে বন্দিনী॥
আমার হৃদয়-শামাদানে জ্বালি’
বাণী
আমার হৃদয়-শামাদানে জ্বালি’ মোমের বাতি। নবীজী গো! জেগে’ আমি কাঁদি সারা রাতি।। আস্মানেরই চাঁদোয়া-তলে চাঁদ-সেতারার পিদিম১ জ্বলে, ওরাও যেন খোঁজে তোমায় আমার দুঃখের সাথি২।। দিনের কাজে পাই না সময় যাই নিরালা রাতে, তোমায় পাওয়ার পথ খুঁজি গো কোরানের আয়াতে। তোমায় পেলে পাব খোদায় তাই শরণ যাচি তোমারি পায়, পাওয়ার আশে জেগে থাকি প্রেমের শয্যা পাতি’।। ঝর্লে পাতা, ডাক্লে পাখি, চম্কে ভাবি, তুমি নাকি? মস্জিদে যাই গভীর রাতে খুঁজি আঁতিপাঁতি।। রোজ-হাশরে দেখা পাব মোরে সবাই বলে; তোমার বিহনে আমার ঘুম নাই নয়নে, মোর জীবনে রোজ-কিয়ামত আসে প্রতি পলে। বিষের সমান লাগে আমার দুনিয়ার যশ-খ্যাতি।।
১. চেরাগ ২. ওরা আমার দুখের সাথি
আজকে না হয় একটি কথা
বাণী
আজকে না হয় একটি কথা কইলে আবার মোর সাথে। ওগো একটু না হয় বসলে এসে এই পাথরের পৈঠাতে।। শুধুই কি গো আমার আঁখি ঝিমায় মদির স্বপ্ন মাখি’, ওগো তোমার কি চোখ ধরে নাকো ঢুলতে নেশার মৌতাতে।। আজকে তোমার নয়ন আমার নয়ন হেরি’ লজ্জা পায়, আজকে তোমার মুখের কথা শুধু্ই কি গো মুখ রাঙায়? ফাগুন হাওয়ার দোদুল দোলায় এই যে এসে দোল দিয়ে যায় — ওগো মোরাই কি গো দুল্ব শুধু মান বিরহের দোল্নাতে।।
আমার মুক্তি নিয়ে কি হবে মা
বাণী
আমার মুক্তি নিয়ে কি হবে মা, (মাগো) আমি তোরেই চাই স্বর্গ আমি চাইনে মাগো, কোল্ যদি তোর পাই॥ (মাগো) কি হবে সে মুক্তি নিয়ে, কি হবে সে স্বর্গে গিয়ে; যেথায় গিয়ে তোকে ডাকার আর প্রয়োজন নাই॥ যুগে যুগে যে লোকে মা প্রকাশ হবে তোর (আমি) পুত্র হয়ে দেখব লীলা এই বাসনা মোর। তুই, মাখাস্ যদি মাখ্ব ধূলি, শুধু তোকে যেন নাহি ভুলি; তুই, মুছিয়ে ধূলি নিবি তুলি বক্ষে দিবি ঠাঁই॥