বাণী

আমারে চোখ ইশারায় ডাক দিলে হায় কে গো দরদি।
খুলে দাও রং মহলার তিমির-দুয়ার ডাকিলে যদি।।
গোপনে চৈতী হাওয়ায় গুল্‌-বাগিচায় পাঠালে লিপি,
দেখে তাই ডাক্‌ছে ডালে কু কু ব’লে কোয়েলা ননদী।।
পাঠালে ঘূর্ণি-দূতী ঝড়-কপোতী বৈশাখে সখি
বরষায় সেই ভরসায় মোর পানে চায় জল-ভরা নদী।।
তোমারি অশ্রু ঝলে শিউলি তলে সিক্ত শরতে,
হিমানীর পরশ বুলাও ঘুম ভেঙে দাও দ্বার যদি রোধি।।
পউষের শূন্য মাঠে একলা বাটে চাও বিরহিণী,
দুঁহু হায় চাই বিষাদে, মধ্যে কাঁদে তৃষ্ণা-জলধি।।
ভিড়ে যা ভোর-বাতাসে ফুল-সুবাসে রে ভোমর কবি
ঊষসীর শিশ্‌-মহলে আস্‌তে যদি চাস্‌ নিরবধি।।

বাণী

আমি যদি বাবা হতুম বাবা হ’ত খোকা
না হলে তার নাম্‌তা পড়া মারতাম মাথায় টোকা।।
	রোজ যদি হ’ত রবিবার!
	কি মজাটাই হ’ত গো আমার!
কেবল ছুটি! থাকত নাক’ নামতা লেখাজোঁখা
থাকত না কো যুক্ত অক্ষর, অঙ্কে ধর্‌ত পোকা।।

বাণী

	আজি পূর্ণশশী কেন মেঘে ঢাকা।
	মোরে স্মরিয়া রাধিকাও হ’ল কি বাঁকা।।
কেন	অভিমান-শিশিরে মাখা কমল,
	কাজল-উজল-চোখে কেন এত জল,
	লহ মুরলী হরি লহ শিখী-পাখা।

বাণী

আয় মা চঞ্চলা মুক্তকেশী শ্যামা কালী।
নেচে নেচে আয় বুকে আয়, দিয়ে তাথৈ তাথৈ করতালি।।
		দশদিক আলো ক’রে
		ঝঞ্ঝার নূপুর প’রে,
দুরন্ত রূপ ধ’রে আয় মায়ার সংসারে আগুন জ্বালি’।।
আমার স্নেহের রাঙাজবা পায়ে দ’লে
কালো রূপ-তরঙ্গ তুলে১
গগন-তলে সিন্ধুজলে
আমার কোলে আয় মা আয়।
		তোর চপলতায় মা কবে
		শান্ত ভবন প্রাণ-চঞ্চল হবে,
এলোকেশে এনে ঝড় মায়ার এ খেলাঘর ভেঙে দে মা আনন্দ-দুলালি।।

১. কালোরূপ — তরঙ্গ তুলে সাগর জলে

বাণী

আনো সাকি শিরাজি আনো আঁখি-পিয়ালায়
অধীর করো মোরে নয়ন-মদিরায়।।
পান্‌সে জোছনাতে ঝিম্‌ হয়ে আসে মন
শরাব বিনে, হের গুল্‌বন উচাটন,
মদালসা আঁখি কেন ঘোম্‌টা ঢাকা এমন
			বিষাদিত নিরালায়।।
তরুণ চোখে আনো অরুণ রাগ-ছোঁওয়া
আঁখির করুণা তব যাচে ভোরের হাওয়া।
জীবন ভরা কাঁটা-রি জ্বালা
ভুলিতে চাহি শরাব পিয়ালা
তোমার হাতে ঢালা —
দুলাইয়া দাও মোরে আনন্দের হিন্দোলায়
			ভুলাইয়া বেদনায়।।

বাণী

আজ শরতে আনন্দ ধরে না রে ধরণীতে।
একি অপরূপ সেজেছে বসুন্ধরা নীলে হরিতে।।
আনো ডালা ভরি কুন্দ ও শেফালি,
আজ শারদোৎসব জ্বালো দীপালি।
স্নেহ-মাখা সুনিবিড় আকাশ উদার ধীর,
দুলে নদীতীর কার আগমনীতে।।

রেকর্ড-নাটিকা: ‘সুরথ উদ্ধার’