বাণী

(আমার)	মা আছে রে সকল নামে মা যে আমার সর্বনাম।
	যে নামে ডাক শ্যামা মাকে পুর্‌বে তাতেই মনস্কাম।।
		ভালোবেসে আমার শ্যামা মাকে
		যার যাহা সাধ সেই নামে সে ডাকে,
	সেই নামে মা দেয় রে সাড়া১ কেউ শ্যামা কয়, কেহ শ্যাম।।
	এক সাগরে মিশে গিয়ে সকল নামের নদী,
	সেই হরি হর কৃষ্ণ ও রাম, দেখিস্ তাঁকে যদি।
		নিরাকারা সাকারা সে কভু
		সকল জাতির উপাস্য সে প্রভু,
	নয় সে নারী নয় সে পুরুষ, সর্বলোকে তাঁহার ধাম।।

১. দেয় রে ধরা।

বাণী

আমার কথা লুকিয়ে থাকে আমার গানের আড়ালে।
সেই কথাটি জানার লাগি’ কে গো এসে দাঁড়ালে।।
	শূন্য মনের নাই কেহ মোর সাথি
	গান গেয়ে তাই কাটাই দিবারাতি,
সেই হৃদয়ের গভীর বনে কে তুমি পথ হারালে।।
হৃদয় নিয়ে নিদয় খেলার হয় যেখানে অভিনয়,
চেও না সেই হাটের মাঝে আমার মনের পরিচয়।
	যে বেদনার আগুন বুকে ল’য়ে
	জ্বলি আমি প্রদীপ-শিখা হ’য়ে,
সেই বেদনা জুড়াতে মোর কে তুমি হাত বাড়ালে।।

গীতিচিত্র: ‘অতনুর দেশ’

বাণী

আজও মা তোর পাইনি প্রসাদ আজও মুক্ত নহি।
আজও অন্যে আঘাত দিলে কঠোর ভাষা কহি।।১
	মোর আচরণ, আমার কথা
	আজও অন্যে দেয় মা ব্যথা
আজও আমার দাহন দিয়ে শত জনে দহি।।
শত্রুমিত্র মন্দভালোর যায়নি আজও ভেদ
কেহ ব্যথা দিলে, প্রাণে আজও জাগে খেদ।
	আজও মাগো দুঃখে শোকে
	অশ্রু ঝরে আমার চোখে,
আমার আমার ভাব ওগো মা আজও জাগে রহি’ রহি’।।

১. আজও অন্যে কষ্ট দিলে / কষ্ট ভাষা কহি।।

বাণী

আঁখি ঘুম-ঘুম-ঘুম নিশীথ নিঝুম ঘুমে ঝিমায়।
বাহুর ফাঁদে স্বপন-চাঁদে বাঁধিতে কারে চায়।।
আমি কারো লাগি একা নিশি জাগি বিরহ-ব্যথায়
কোথায় কাহার বুকে বঁধু ঘুমায়
কাঁদি চাতকিনী মরে তৃষায়
কুসুম-গন্ধ আজি যেন বিষ-মাখা হায়।।
	কেন এ ব্যথা এ আকুলতা
	পরের লাগি এ পরান পুড়ে?
মরুভূমিতে বারি কি ঝুরে
আমি যেন ম’রে তোরি রূপ ধ’রে আসি সে যাহারে চায়।।

বাণী

আল্লার নাম লইয়া বান্দা রোজ ফজরে উঠিও
আল্লা নামের আহলাদে ভাই ফুলের মতন ফুটিও।।
কাজে তোমার যাইয়ো বান্দা আল্লারি নাম লইয়া
ঐ নামের গুণে কাজের ভার যাইবে হাল্কা হইয়া।
শুনলে আজান কাজ ফেলিয়া মসজিদে শির লুটিও।।
আল্লার নাম লইয়া রে ভাই কইরো খানাপিনা
হাটে মাঠে যাইয়ো না ভাই আল্লারই নাম বিনা।
ওয়াজ নসিহত হইলে মজলিসে আইসা জুটিও।।
স্ত্রী পুত্র কন্যা তোমার খোদায় সঁপে দিও
আল্লার নাম জিকির কইরা নিশীথে ঘুমিও।
এই নাম শুইনা জন্মেছ ভাই এই নাম লইয়া মরিয়ো।।

বাণী

আয় বিজয়া আয় রে জয়া উমার লীলা যা রে দেখে।
সেজেছে সে মহাকালী চোখের কাজল মুখে মেখে।।
	সে ঘুমিয়েছিল আমার কোলে
	জেগে উঠে কেঁদে বলে,
আমায় কালী সাজিয়ে দে মা ছেলেরা মোর কাঁদছে ডেকে।।
চেয়ে দেখি মোর উমা নাই নাচে কালী দিগম্বরী,
হুঙ্কার দেয় কোটি গ্রহের মুণ্ডমালা গলায় পরি’।
	আমি শুধু উমায় চিনি
	এ কোন্ মহামায়াবিনী,
কালোরূপে বিশ্বভুবন আকাশ-পবন দিল ঢেকে।।