মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু-মুসলমান
বাণী
মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু-মুসলমান। মুসলিম তার নয়ন-মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ।। এক সে আকাশ মায়ের কোলে যেন রবি শশী দোলে, এক রক্ত বুকের তলে, এক সে নাড়ির টান।। এক সে দেশের খাই গো হাওয়া, এক সে দেশের জল, এক সে মায়ের বক্ষে ফলাই একই ফুল ও ফল। এক সে দেশের মাটিতে পাই কেউ গোরে কেউ শ্মাশানে ঠাঁই এক ভাষাতে মা’কে ডাকি, এক সুরে গাই গান।।
নাটিকাঃ‘পুতুলের বিয়ে’
মোর ঘনশ্যাম এলে কি আজ
বাণী
মোর ঘনশ্যাম এলে কি আজ কালো মেঘের বেশে। দূর মথুরার নীল-যমুনা পার হ’য়ে মোর দেশে।। এলে কালো মেঘের বেশে।। বৃষ্টি ধারায় টাপুর টুপুর বাজে তোমার সোনার নূপুর, বিজলিতে চপল আঁখির চমক বেড়ায় হেসে।। তোমার তনুর সুগন্ধ পাই, যুঁই কেতকীর ফুলে ওগো রাজাধিরাজ! ব্রজে আবার এলে কি পথ ভুলে। মেঘ-গরজনের ছলে ডাকো ‘রাধা রাধা’ বলে বাদল হাওয়ায় তোমার বাঁশির বেদন আসে ভেসে।।
মণি-মঞ্জির বাজে অরুণিত চরণে
বাণী
মণি-মঞ্জির বাজে অরুণিত চরণে সখি রুনু ঝুনু রুনু ঝুনু মণি-মঞ্জির বাজে। হের গুঞ্জা-মালা গলে বনমালী চলিছে কুঞ্জ মাঝে।। চলে নওল কিশোর, হেলে দুলে চলে নওল কিশোর। হেরি সে লাবনি কৌস্তুভমণি নিষ্প্রভ হ’ল লাজে। চরণ-নখরে শ্যামের আমার চাঁদের মালা বিরাজে।। সখি গো — বঁধূর চলার পথে পরান পাতিয়া র’ব চলিতে দলিয়া যাবে শ্যাম; আমি হইয়া পথের ধূলি বক্ষে লইব তুলি’ চরণ-চিহ্ন অভিরাম। ভুলে যা তোরা রাধারে কৃষ্ণ-নিশির আঁধারে হারায়ে সে গেছে চিরতরে, কালো যমুনার জলে ডুবেছে সে অতল তলে ভেসে গেছে সে শ্যাম-সাগরে।। ঐ বাঁশি বাজিছে শোন রাধা ব’লে, তরুণ তমাল চলে, অঙ্গ-ভঙ্গে শিখি-পাখা টলে। তা’র হাসিতে বিজলি, কাজল-মেঘে যেন উঠিছে উছলি’। রূপ দেখে যা দেখে যা, কোটি চাঁদের জোছনা-চন্দন মেখে যা, মোর শ্যামলে দেখে যা।।
মমতাজ মমতাজ তোমার তাজমহল
বাণী
মমতাজ মমতাজ তোমার তাজমহল — যেন ফিরদৌসের একমুঠো প্রেম, বৃন্দাবনের একমুঠো প্রেম, আজো করে ঝলমল।। কত সম্রাট হ’ল ধূলি স্মৃতির গোরস্তানে — পৃথিবী ভুলিতে নারে প্রেমিক শাহ্জাহানে, শ্বেত মর্মরে সেই বিরহীর ক্রন্দন –মর্মর গুঞ্জরে অবিরল।। কেমনে জানিল শাজাহান – প্রেম পৃথিবীতে ম’রে যায়, তাই পাষাণ প্রেমের স্মৃতি রেখে গেল পাষাণে লিখিয়া হায়! যেন তাজের পাষাণ অঞ্জলি ল’য়ে নিঠুর বিধাতা পানে অতৃপ্ত প্রেম বিরহী আত্মা আজো অভিযোগ হানে! বুঝি সেই লাজে বালুকায় মুখ লুকাইতে চায় শীর্ণা যমুনা জল।।