বাণী

কিশোর রাখাল বেশে মেষ চারণে যায় নবী
নীল রেশমি রুমাল বেঁধে তার চারু-চাঁচর কেশে।
তাঁর রাঙা পদতলে পুলকে ধরা টলে
তাঁর রূপ -লাবনির ঢলে মরুভূমি গেল ভেসে।।
তাঁর মুখে রহে চাহি মেষ-শিশু তৃণ ভুলি‌'
বিশ্বের শাহানশাহ আজ মাখে গোঠের ধূলি,
তাঁর চরণ-নখরে কোটি চাঁদ কেঁদে মরে
তাঁর ছায়া ক'রে চলে আকাশে মেঘ এসে।।
কিশোর নবী গোঠে চলে
তাঁর চরণ-ছোঁয়ায় পথের পাথর মোম হয়ে যায় গ'লে
তসলিম জানায় পাহাড় চরণে ঝুকে তাঁহার।
নারাঙ্গি,আঙুর,খরজুর,পায়ে নজরানা দেয় হেসে।।

বাণী

মোর		ঘুমঘোরে এলে মনোহর নমো নম, নমো নম, নমো নম।
		শ্রাবণ-মেঘে নাচে নটবর রমঝম, রমঝম, ঝমরম
			(ঝমঝম, রমঝম, রমঝম)।।
শিয়রে		বসি চুপি চুপি চুমিলে নয়ন
মোর		বিকশিল আবেশে তনু নীপ-সম, নিরুপম, মনোরম।।
মোর		ফুলবনে ছিল যত ফুল
			ভরি ডালি দিনু ঢালি’ দেবতা মোর
হায়		নিলে না সে ফুল, ছি ছি বেভুল,
			নিলে তুলি’ খোঁপা খুলি’ কুসুম-ডোর।
স্বপনে		কী যে কয়েছি তাই গিয়াছ চলি’
জাগিয়া	কেঁদে ডাকি দেবতায় প্রিয়তম, প্রিয়তম, প্রিয়তম।।

বাণী

মহুল গাছে ফুল ফুটেছে নেশার ঝোঁকে ঝিমায় পবন
গুনগুনিয়ে ভ্রমর এলো, (ওলো) ভুল করে তোর ভোলালো মন।।
	আঁউরে গেছে মুখখানি ওর
	কর লো বাতাস খুলে আঁচর
চাঁদের লোভে এলো চকোর (ও তুই) মেঘে ঢাকিসনে লো নয়ন।।
	কেশের কাঁটা বিধে পাখায়
	রাখলো ওরে বেঁধে শাখায়
মৌটুসি মৌ মদের মিঠায় (ও তুই) কপটে কর নিকট আপন।।

নাটকঃ ‌‘মহুয়া’

বাণী

মদির আঁখির সুধায় সাকি		ডুবাও আমার এ তনু মন
আজিকে তোমায় ও আমায়		বেদনার বাসর জাগরণ।
মঙ্গালস ও আঁখি তব,			সাকি, দিল দোলা প্রাণে।।
বাদল-ছাওয়া এ গুল-বাগিচায়	বুলবুল কাঁদে গজল গানে।।
গোলাবী গুলের নেশা			ছিল মোর ফুলেল ফাগুনে।
শুকায়ে গিয়াছে ফুলবন,		নাই গোলাব গুলিস্তানে।।
শুনি, সাকি তোমার কাছে		ব্যথা ভোলার দারু আছে —
হিয়া কোন অমিয়া যাচে		জান তুমি, খোদা জানে।।
দুখের পশরা লয়ে			বিফল কাঁদিয়া বৃথা (সাকি)।
সকলি গিয়াছে যখন			যাক ঈমান শ্যরাব পানে।।

বাণী

(মা)		খড়গ নিয়ে মাতিস রণে নয়ন দিয়ে বহে ধারা (মা)
(এমন)	একাধারে নিষ্ঠুরতা কৃপা তোরই সাজে তারা।।
			তোর করে অসুর-মুন্ডরাশি
			অধরে না ধরে হাসি
		জানিস্ মরলে তোর আঘাতে তোরই কোলে যাবে তারা।।
		মা দুই হাতে তোর বর ও অভয় আর দু’হাতে মুন্ড অসি,
		ললাটে তোর পূর্ণিমা-চাঁদ, কেশে কৃষ্ণা চতুর্দ্দশী।
			জননী-প্রায় আঘাত করে
			দিস্ মা দোলা বক্ষে ধ’রে
		পাপ-মুক্ত করার ছলে অসুর বধিস ভব-তারা।।

বাণী

উভয়	:	মোরা ছিলাম একা আজি মিলিনু দুজন।
		পাপিয়ার পিয়া বোল্ কপোত-কূজন।।
বর	:	তুমি সবুজের স্রোত এলে ঊষর দেশে
বধূ	:	তুমি বিধাতার-বর এলে বরের বেশে,
বর	:	তুমি গৃহে কল্যাণ
বধূ	:	তুমি প্রভু মম ধ্যান,
উভয়	:	সুন্দরতর হ’ল সুন্দর ত্রিভুবন।।

নাটিকাঃ ‘প্রীতি-উপহার’