বাণী

মোর	প্রথম মনের মুকুল
	ঝরে গেল হায় মনে মিলনের ক্ষণে।
	কপোতীর মিনতি কপোত শুনিল না,
			উড়ে গেল গহন-বনে।।
	দক্ষিণ সমীরণ কুসুম ফোটায় গো
	আমারি কাননে ফুল কেন ঝরে যায় গো
	জ্বলিল প্রদীপ সকলেরি ঘরে হায়
	নিভে গেল মোর দীপ গোধূলি লগনে।।
	বিফল অভিমানে কাঁদে ফুলমালা কণ্ঠ জড়ায়ে
	কাঁদি ধূলি-পথে একা ছিন্ন-লতার প্রায় লুটায়ে লুটায়ে।
	দারুণ তিয়াসে এসে সাগর-মুখে
	ঢলিয়া পড়িনু হায় বালুকারি বুকে
	ধোঁয়ারে মেঘ ভাবি’ ভুলিনু চাতকী
			জ্বলিয়া মরি গো বিরহ-দহনে।।

বাণী

মদির স্বপনে মম বন-ভবনে
জাগো চঞ্চলা বাসন্তিকা, ওগো ক্ষণিকা।।
মোর গগনের উল্কার প্রায়
চমকি ক্ষণেক চকিতে মিলায়
তোমার হাসির যুঁই-কণিকা।।
পুষ্প ধনু তব মন-রাঙানো
বঙ্কিম ভুরু হানো হানো।
তোমার উতল উত্তরীয়
আমার চোখে ছুঁইয়ে দিও (প্রিয়)
আমি হব (ওগো) তোমার মালার মণিকা।।

বাণী

মেঘ মেদুর বয়ষায় কোথা তুমি
ফুল ছাড়ায়ে কাঁদে বনভূমি।।
ঝুরে বারিধারা
ফিরে এসো পথহারা
কাঁদে নদী তট চুমি’।।

বাণী

মোহাম্মদ নাম যত জপি, তত মধুর লাগে।
নামে এত মধু থাকে, কে জানিত আগে।।
ঐ নামেরি মধু চাহি' মন-ভ্রমরা বেড়ায় গাহি',
আমার ক্ষুধা তৃষ্ণা নাহি ঐ নামের অনুরাগে।।
ও নাম প্রাণের প্রিয়তম, ও নাম জপি মজনু সম,
ঐ নামে পাপিয়া গাহে প্রাণের কুসুম-বাগে।।
ঐ নামে মুসাফির রাহী চাই না তখত শাহানশাহী,
নিত্য ও নাম ইয়া ইলাহী, যেন হৃদে জাগে।।

বাণী

মেঘ-বরণ কন্যা থাকে মেঘলামতীর দেশে (রে)
সেই দেশে মেঘ জল ঢালিও তাহার আকুল কেশে।।
	তাহার কালো চোখের কাজল
	শাওন মেঘের চেয়ে শ্যামল
চাউনিতে তার বিজলি ছড়ায় চমক বেড়ায় ভেসে (রে)।।
সে ব’সে থাকে পা ডুবিয়ে ঘুমতী নদীর জলে
কভু দাঁড়িয়ে থাকে ছবির মত একলা তরু-তলে (রে)।
	কদম ফুলের মালা গেঁথে
	ছড়িয়ে সে দেয় ধানের ক্ষেতে
তারে দেখতে পেলে আমার কথা (তারে) কইও ভালোবেসে।।

বাণী

	মেঘের হিন্দোলা দেয় পূব-হাওয়াতে দোলা।
কে	দুলিবি এ-দোলায় আয় আয় ওরে কাজ-ভোলা॥
		মেঘ-নটীর নূপুর
		ঐ বাজে ঝুমুর ঝুমুর,
	শীর্ণা-তনু ঝর্না তরঙ্গ-উতরোলা॥
	ফুল-পসারিণী ঐ দুলিছে বনানী
	বিনিমূলে বিলায় সে সুরভি, ফুল ছানি।
আজ	ঘরে ঘরে ফুল-দোল্ সব বন্ধ দুয়ার খোলা॥
		জলদ-মৃদঙ বাজে
		গভীর ঘন আওয়াজে,
	বাদলা-নিশীথ দুলে ঐ তিমির-কুন্তলা॥