বাণী

মাধব বংশীধারী বনওয়ারী গোঠ-চারী গোবিন্দ কৃষ্ণ মুরারী।
গোবিন্দ কৃষ্ণ মুরারি হে পাপ-তাপ-দুখ-হারী।।
কালরূপ কভু দৈত্য-নিধনে, চিকন কালা কভু বিহর বনে,
কভু বাজাও বেণু, খেল ধেনু-সনে,
কভু বামে রাধা প্যারী, গোপ-নারী মনোহারি, নিকুঞ্জ-লীলা-বিহারী।।
কুরুক্ষেত্র-রণে পান্ডব-মিতা, কন্ঠে অভয়বাণী ভগবদ্-গীতা,
পূর্ণ ভগবান পরম পিতা, শঙ্খ-চক্র-গদাধারী,
পাপ-তারী, কান্ডারি ত্রিভুবন সৃজনকারী।।

বাণী

মাদল বাজিয়ে এলো বাদলা মেঘ এলোমেলো
মাতলা হাওয়া এলো বনে।
ময়ূরী নাচে কালো জামের গাছে
পিয়া পিয়া বন-পাপিয়া
ডাকে গো আপন মনে।।
বেত-বনের আড়ালে ডাহুকী ডাকে,
ডাকে না এমন দিনে কেহ আমাকে,
বেণীর বিনুনী খুলে পড়ে
একলা মন টেকে না ঘরের কোণে।।
জঙ্গল পাহাড় কাঁপে বাজের আওয়াজে,
বুকের মাঝে তবু নূপুর বাজে।।
ঝিঁঝিঁ তার ডাক ভুলে
ঝিম্ ঝিম্ ঝিম্ বৃষ্টির বাজ্‌না শোনে।।

বাণী

মাগো চিন্ময়ী রূপ ধ’রে আয়।
মৃন্ময়ী রূপ তোর পূজি শ্রী দুর্গা তাই দুর্গতি কাটিল না হায়।।
	যে মহা-শক্তির হয় না বিসর্জন
	অন্তরে বাহিরে প্রকাশ যার অনুখন
মন্দিরে দুর্গে রহে না যে বন্দী সেই দুর্গারে দেশ চায়।।
আমাদের দ্বিভুজে দশভুজা-শক্তি দে পরম ব্রহ্মময়ী।
শক্তিপূজার ফল ভক্তি কি পাব শুধু হব না কি বিশ্বজয়ী?
এই পূজা-বিলাস সংহার কর্‌ যদি, পুত্র শক্তি নাহি পায়।।

বাণী

মরুর ধুলি উঠলো রেঙে রঙিন গোলাপ রাগে
বুলবুলিরা উঠলো গেয়ে মক্কার গুলবাগে।।
	খোদার প্রেমের কোন দিওয়ানা
	দ্বারে দ্বারে দেয় রে হানা,
নবীন আশার আলোক পেয়ে, ঘুমন্ত সব জাগে।।
এ কোন তরণ প্রেমিক এলো কা'বার অঙ্গনে
সবুজ পাতার নিশান দোলায় শুকনো খেজুর বনে।
	এলো নব দীনের নকীব
	চির-চাওয়া খোদার হাবীব
নিখিল পাপী-তাপী যাঁহার পায়ের পরশ মাগে।।

বাণী

মোর শ্যাম সুন্দর এসো।
প্রেমের বৃন্দাবনে এসো হে ব্রজধাম-সুন্দর এসো।।
এসো হৃদয়ে হৃদয়েশ মোর নয়নের আগে এসো হে।
মোর নব-অনুরাগে এসো শ্যাম কোটি-কাম-সুন্দর এসো।।
রস মানস গঙ্গার কূলে রসরাজ এসো এসো হে।
এসো মুরলী বাজায়ে এসো হে, এসো ময়ূর নাচায়ে এসো হে মধাব,
মধু-বনমাঝে, এসো এসো হে।।
মোর মুখের ভাষায় এসো, মোর প্রাণের আশায় এসো।
নবীন নীরদ ঘনশ্যাম রূপে রূপ-পিপাসায় এসো
এসো মদন-মোহন শোভন অভিরাম-সুন্দর এসো।।

বাণী

(মা)		খড়গ নিয়ে মাতিস রণে নয়ন দিয়ে বহে ধারা (মা)
(এমন)	একাধারে নিষ্ঠুরতা কৃপা তোরই সাজে তারা।।
			তোর করে অসুর-মুন্ডরাশি
			অধরে না ধরে হাসি
		জানিস্ মরলে তোর আঘাতে তোরই কোলে যাবে তারা।।
		মা দুই হাতে তোর বর ও অভয় আর দু’হাতে মুন্ড অসি,
		ললাটে তোর পূর্ণিমা-চাঁদ, কেশে কৃষ্ণা চতুর্দ্দশী।
			জননী-প্রায় আঘাত করে
			দিস্ মা দোলা বক্ষে ধ’রে
		পাপ-মুক্ত করার ছলে অসুর বধিস ভব-তারা।।