বাণী

	মমতাজ মমতাজ তোমার তাজমহল —
যেন 	ফিরদৌসের একমুঠো প্রেম,
	বৃন্দাবনের একমুঠো প্রেম, আজো করে ঝলমল।।
	কত সম্রাট হ’ল ধূলি স্মৃতির গোরস্তানে —
	পৃথিবী ভুলিতে নারে প্রেমিক শাহ্‌জাহানে,
	শ্বেত মর্মরে সেই বিরহীর ক্রন্দন –মর্মর গুঞ্জরে অবিরল।।
	কেমনে জানিল শাজাহান – প্রেম পৃথিবীতে ম’রে যায়,
তাই	পাষাণ প্রেমের স্মৃতি রেখে গেল পাষাণে লিখিয়া হায়!
যেন	তাজের পাষাণ অঞ্জলি ল’য়ে নিঠুর বিধাতা পানে
	অতৃপ্ত প্রেম বিরহী আত্মা আজো অভিযোগ হানে!
বুঝি	সেই লাজে বালুকায় মুখ লুকাইতে চায় শীর্ণা যমুনা জল।।

বাণী

পুরুষ		:	মন নিয়ে আমি লুকোচুরি খেলা খেলি প্রিয়ে।
স্ত্রী		:	ধরিতে পারি না পেতে তাই প্রেম ফাঁদ —
			তুমি মেঘ আমি চাঁদ, ফের গো কাঁদিয়ে।।
পুরুষ		:	মন্দ বায় আমি গন্ধ লুটি শুধু —
			চাই না আমি সে মধু;
স্ত্রী		:	চাইনে চাইনে বঁধু —
			তাহে নাই সুখ নাই, আমি পরশ যে চাই।
পুরুষ		:	স্বপন-কুমার ফিরি যে আমি মন ভুলিয়ে।।
উভয়ে	:	চল তবে যাই মোরা স্বপনের দেশে
			জোছনায় ভেসে —
			নন্দন-পারিজাত ফুল ফুটিয়ে।।

বাণী

মাতল গগন-অঙ্গনে ঐ আমার রণ-রঙ্গিণী মা।
সেই মাতনে উঠল দুলে ভূলোক দ্যুলোক গগন-সীমা।।
	আঁধার-অসুর-বক্ষপানে
	অরুণ-আলোর খড়গ হানে,
মহাকালের ডম্বরূতে উঠল বেজে মা’র মহিমা।।
সৃষ্টি-প্রলয় যুগল নূপুর বাজে শ্যামার যুগল পায়ে,
গড়িয়ে পড়ে তারার মালা উল্কা হয়ে গগন-গায়ে।
লক্ষ গ্রহের মুন্ডমালা দোলে গলে দোলে ঐ
বজ্র-ভেরীর ছন্দ-তালে নাচে শ্যামা তাথৈ থৈ,
অগ্নি-শিখায় ঝলকে ওঠে খড়গ-ঝরা লাল শোণিমা।।

বাণী

মা! আমার মনে আমার বনে
		ফোটে যত কুসুম দল
সে ফুল মাগো তোরই তরে
		পূজ্‌তে তোরই চরণতল।।

নাটকঃ ‘বিদ্যাপতি’

বাণী

মহুয়া ফুলের মদির ঘন সুবাসে,
নয়ন ঝিমিয়ে আসে।।
মাতাল পাপিয়া ‘পিয়া পিয়া’ ডাকে
দোলন-চাঁপার ঝুলন শাখে,
ঝিরিঝিরি হাওয়ায় মন উদাসে।।
নিদাঁলি ছাওয়া চৈতালি হাওয়া,
স্বপনের ঘোর লাগে আকাশে
মৌমাছির পাখা জড়িয়ে আসে।।

বাণী

মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু-মুসলমান।
মুসলিম তার নয়ন-মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ।।
	এক সে আকাশ মায়ের কোলে
	যেন রবি শশী দোলে,
এক রক্ত বুকের তলে, এক সে নাড়ির টান।।
এক সে দেশের খাই গো হাওয়া, এক সে দেশের জল,
এক সে মায়ের বক্ষে ফলাই একই ফুল ও ফল।
	এক সে দেশের মাটিতে পাই
	কেউ গোরে কেউ শ্মাশানে ঠাঁই
এক ভাষাতে মা’কে ডাকি, এক সুরে গাই গান।। 

নাটিকাঃ‘পুতুলের বিয়ে’