মোরা কুসুম হয়ে কাঁদি কুঞ্জবনে
বাণী
মোরা কুসুম হয়ে কাঁদি কুঞ্জবনে সুন্দর শ্যাম হে আমি মরিতে চাহি ঝরি' তব চরণে সুন্দর শ্যাম হে। ওগো সুন্দর শ্যাম হে।। মোর ক্ষণিক এ জীবন নিশি শেষে প্রিয় ঝ'রে যাব গো স্রোতে ভেসে বঁধু কাছে এসে ছুয়ো ভালবেসে জাগায়ো প্রেম-মধু গোপন মনে সুন্দর শ্যাম হে।। তব সরস পরশ দিয়ে মনোহর মোর এ তনু রঙে রসে পূর্ণ করো আমি তোমার বুকে রবো পরম সুখে ঝরিব প্রিয়, চাহি' তব নয়নে সুন্দর শ্যাম হে।। মোর বিদায় বেলা ঘনায়ে আসে মোর প্রাণ কাদেঁ মিলন-পিয়াসে এই বিরহ মম ওগো প্রিয়তম, মিটিবে সে কোন শুভ লগনে, সুন্দর শ্যাম হে।।
মালা যদি মোর ধূলায় মলিন হয়
বাণী
মালা যদি মোর ধূলায় মলিন হয় ব'সে আছি তাই অঞ্চলে নিয়ে কুসুমেরি সঞ্চয়।। ফুলহার যদি কর অবহেলা তাই ভাবি আর ব'য়ে যায় বেলা হৃদয়ে থাকুক লুকানো আমার হৃদয়ের পরিচয়।। বিফল যদি গো হয় পূজা নিবেদন মন্দির-দ্বারে দাঁড়াইয়া তাই পাষাণেরই নারায়ণ।। কেন কাছে আসি, এসে ফিরে যাই যদি ফেল জেনে ভয় মানি তাই সকলি সহিব, সহিতে নারিব হৃদয়ের পরাজয়।।
মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু-মুসলমান
বাণী
মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু-মুসলমান। মুসলিম তার নয়ন-মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ।। এক সে আকাশ মায়ের কোলে যেন রবি শশী দোলে, এক রক্ত বুকের তলে, এক সে নাড়ির টান।। এক সে দেশের খাই গো হাওয়া, এক সে দেশের জল, এক সে মায়ের বক্ষে ফলাই একই ফুল ও ফল। এক সে দেশের মাটিতে পাই কেউ গোরে কেউ শ্মাশানে ঠাঁই এক ভাষাতে মা’কে ডাকি, এক সুরে গাই গান।।
নাটিকাঃ‘পুতুলের বিয়ে’
মেঘ-মেদুর গগন কাঁদে হুতাশ পবন
বাণী
মেঘ-মেদুর গগন কাঁদে হুতাশ পবন কে বিরহী রহি’রহি’দ্বারে আঘাত হানো। শাওন ঘন ঘোর ঝরিছে বারি অঝোর কাঁপিছে কুটির মোর দীপ নেভানো।। বজ্রে বাজিয়া ওঠে তব সঙ্গীত, বিদ্যুতে ঝলকিছে আঁখি-ইঙ্গিত, চাঁচর চিকুরে তব ঝড় দুলানো, ওগো মন ভুলানো।। এক হাতে, সুন্দর, কুসুম ফোটাও! আর হাতে নিষ্ঠুর মুকুল ঝরাও। হে পথিক, তব সুর অশান্ত বায় জন্মান্তর হতে যেন ভেসে আসে হায়! বিজড়িত তব স্মৃতি চেনা অচেনায় প্রাণ কাঁদানো।।