বাণী

মাকে আদর করে কালী বলি সে সত্যি কালো নয় রে।
তার ঈষৎ হাসির এক ঝলকে জগৎ আলো হয় রে,
			ত্রি-জগৎ আলো হয় রে।।
(কালো নয় কালো নয়, চরণে যার মহাকাল
পায়ের নখে চাঁদের মালা, কালো নয় কালো নয়)
			সত্যি কালো নয় রে।।
(আমরা) আপনভোলা পাগলী গিরিবালা
মুন্ডামালায় মনে করে কুন্দফুলের মালা;
(রয়) মরা-ছেলে বুকের ধ’রে শ্মশানে তন্ময় রে,
রয় শ্মশানে তন্ময় রে।
শ্মশানে সে থাকে ব’লে ভয়ঙ্করী নয় রে!
(ভবের) খেলা-শেষে সকলেরে দেয় সে বরাভয় রে।।
(সে) মারে যাকে, মালা করে তারেও পরে রয় রে!
(সেই) তামসিকও যায়রে তরে (মাকে) তামসী যে কয় রে।।

বাণী

পুরুষ		:	মন নিয়ে আমি লুকোচুরি খেলা খেলি প্রিয়ে।
স্ত্রী		:	ধরিতে পারি না পেতে তাই প্রেম ফাঁদ —
			তুমি মেঘ আমি চাঁদ, ফের গো কাঁদিয়ে।।
পুরুষ		:	মন্দ বায় আমি গন্ধ লুটি শুধু —
			চাই না আমি সে মধু;
স্ত্রী		:	চাইনে চাইনে বঁধু —
			তাহে নাই সুখ নাই, আমি পরশ যে চাই।
পুরুষ		:	স্বপন-কুমার ফিরি যে আমি মন ভুলিয়ে।।
উভয়ে	:	চল তবে যাই মোরা স্বপনের দেশে
			জোছনায় ভেসে —
			নন্দন-পারিজাত ফুল ফুটিয়ে।।

বাণী

	মসজিদে ঐ শোন্ রে আজান, চল নামাজে চল্ ।
	দুঃখে পাবি সান্ত্বনা তুই বক্ষে পাবি বল।।
	ময়লা-মাটি লাগবে যা তোর দেহ-মনের মাঝে —
	সাফ হবে সব, দাঁড়াবি তুই যেম্‌নি জায়নামাজে;
(চল্)	রোজগার তুই করবি যদি আখেরের ফসল।।
	হাজার কাজের অছিলাতে নামাজ করিস কাজা
	খাজনা তারি দিলি না, যে দ্বীন-দুনিয়ার রাজা
তাঁরে	পাঁচ বার তুই করবি মনে, তাতেও এত ছল্।।
	কার তরে তুই মরিস খেটে; কে হবে তোর সাথী
	বে-নামাজীর আঁধার গোরে কে জ্বালাবে বাতি
(চল্)	খোদার নামে শির লুটায়ে জীবন কর্‌ সফল।।

বাণী

মোর প্রিয়া 	হবে এসো রানী দেব খোঁপায় তারার ফুল
	কর্ণে দোলাব তৃতীয়া তিথির চৈতী চাঁদের দুল।।
		কণ্ঠে তোমার পরাবো বালিকা
		হংস –সারির দুলানো মালিকা
	বিজলী জরীণ ফিতায় বাঁধিব মেঘ রঙ এলো চুল।।
	জোছনার সাথে চন্দন দিয়ে মাখাব তোমার গায়
	রামধনু হতে লাল রঙ ছানি’ আলতা পরাবো পায়।
		আমার গানের সাত সুর দিয়া
		তোমার বাসর রচিব প্রিয়া।
	তোমারে ঘিরিয়া গাহিবে আমার কবিতার বুলবুল।।

বাণী

মহুয়া বনে বন-পাপিয়া
একলা ঝুরে নিশি জাগিয়া।।
ফিরিয়া কবে প্রিয় আসিবে
ধরিয়া বুকে কহিবে প্রিয়া।।
শুনি নীরবে, গগনে বসি’
কহ যে কথা বিরহী শশী,
তব রোদনে বঁধূ, এ মনে
যমুনা বহে কূল-প্লাবিয়া।।

বাণী

মাকে আমার এলাম ছেড়ে মা অভয়া, মাকে দেখো।
মোর তরে মা কাঁদে যদি তুমি তাকে ভুলিয়ে রেখো।।
	মায়ের যে বুক শূন্য ক’রে 
	এলাম আমি দেশান্তরে
শূন্য করে সেই খালি বুক মহামায়া তুমি থেকো।।

নাটিকাঃ ‘শ্রীমন্ত’