বাণী

মাগো চিন্ময়ী রূপ ধ’রে আয়।
মৃন্ময়ী রূপ তোর পূজি শ্রী দুর্গা তাই দুর্গতি কাটিল না হায়।।
	যে মহা-শক্তির হয় না বিসর্জন
	অন্তরে বাহিরে প্রকাশ যার অনুখন
মন্দিরে দুর্গে রহে না যে বন্দী সেই দুর্গারে দেশ চায়।।
আমাদের দ্বিভুজে দশভুজা-শক্তি দে পরম ব্রহ্মময়ী।
শক্তিপূজার ফল ভক্তি কি পাব শুধু হব না কি বিশ্বজয়ী?
এই পূজা-বিলাস সংহার কর্‌ যদি, পুত্র শক্তি নাহি পায়।।

বাণী

মার্‌হাবা সৈয়দে মক্কী-মদনী আল্-আরবি।
বাদ্‌শারও বাদশাহ্ নবীদের রাজা নবী।।
ছিলে মিশে আহাদে, আসিলে আহমদ হয়ে
বাঁচাতে সৃষ্টি খোদার, এলে খোদার সনদ ল’য়ে,
মানুষে উদ্ধারিলে মানুষের আঘাত সয়ে —
মলিন দুনিয়ায় আনিলে তুমি যে বেহেশ্‌তী ছবি।।
পাপের জেহাদ-রণে দাঁড়াইলে তুমি একা
নিশান ছিল হাতে ‘লা-শরীক আল্লাহ্’ লেখা,
গেল দুনিয়া হতে ধুয়ে মুছে পাপের রেখা —
বহিল খুশির তুফান উদিল পুণ্যের রবি।।

বাণী

		মোরা বিহান-বেলা উঠে রে ভাই চাষ করি এই মাটি।
		যে মাটির বুকে আছে পাকা ধানের সোনার কাঠি॥
		ফসল বুনে রোদের তাতে উঠি যখন ঘেমে
		সদয় হয়ে আকাশ বেয়ে বৃষ্টি আসে নেমে
(ওরে)		মুচকি হেসে বৌ এনে দেয় পান্তা ভাতের বাটি॥
		আশ মেটে না চারা ধানের পানে চেয়ে চেয়ে
		মরাই ভ’রে থাকবে ওরাই আমার ছেলে মেয়ে।
(আমি)	চাই না স্বর্গ, পাই যদি এই পাকা ধানের আটি (রে ভাই)॥
		জল নিতে যায় আড়চোখে চায় বৌ-ঝি নদীর কূলে
		খুশিতে বুক ভ’রে ওঠে, খাটুনি যাই ভুলে।
		এ মাঠ নয় ভাই বৌ পেতেছে ঠান্ডা শীতল পাটি॥

বাণী

মাকে আমার দেখেছে যে ভাইকে সে কি ঘৃণা করে।
ত্রিলোক-বাসী প্রিয় তাহার পরান কাঁদে সবার তরে॥
নাই জাতি ভেদ উচ্চ-নীচের জ্ঞান
তাহার কাছে সকলে সমান,
দেখলে গুহক চন্ডালে সে রামের মত বক্ষে ধরে॥
মা আমাদের মহামায়া পরমা প্রকৃতি
পিতা মোদের পরমাত্মা রে তাই সবার সাথে প্রীতি
মোদের সবার সাথে প্রীতি।
সন্তানে তাঁর ঘৃণা করে মাকে করে পূজা
সে পূজা তার নেয় না কভু, নেয় না দশভূজা।
(মোরা) এই ভেদ-জ্ঞান ভুলব যেদিন
মা সেই দিন আসবে ঘরে॥

১. সে পূজা তার নেয় না চতুর্ভুজা, ওরে নেয় না দশভুজা

বাণী

মম প্রাণ নিয়ে নিঠুর খেল এ কি খেলা (হায়)।
ক্ষণে ভালোবাসা হায় ক্ষণে অবহেলা।।
সকালে গাঁথিয়া মালা পায়ে দল বিকালে তায়।
তেমনি দলিতে চাহ আমার পরান কি হায়।
সহিতে পারি না আর এই হেলাফেলা।
জলরূপী একি কোন্ মরীচিকা তুমি কি গো।
ডেকে এনে মরুভুমে বধিবে এ বনমৃগ।
বুঝিয়াছি কখন হায় ফুরায়েছে বেলা।।

বাণী

মরণ ডাকে — ‘আয় রে চ’লে!’ জীবন বলে — ‘যাই গো যাই।’
জীবনে হায় পায়নি ব’লে (আমার) মরণে তাই চাই গো চাই।।
	জীবন শুধু কাঁটায় ভরা
	তাই বুঝি সে দেয়নি ধরা,
ফুল-বিছানো কবরে তার মধুর পরশ পাই গো পাই।
মরণ-বঁধূর ডাক শুনে আর জীবনে সাধ নাই গো নাই।।

নাটকঃ ‘কাফন চোরা’