বাণী

মহুল গাছে ফুল ফুটেছে নেশার ঝোঁকে ঝিমায় পবন
গুনগুনিয়ে ভ্রমর এলো, (ওলো) ভুল করে তোর ভোলালো মন।।
	আঁউরে গেছে মুখখানি ওর
	কর লো বাতাস খুলে আঁচর
চাঁদের লোভে এলো চকোর (ও তুই) মেঘে ঢাকিসনে লো নয়ন।।
	কেশের কাঁটা বিধে পাখায়
	রাখলো ওরে বেঁধে শাখায়
মৌটুসি মৌ মদের মিঠায় (ও তুই) কপটে কর নিকট আপন।।

নাটকঃ ‌‘মহুয়া’

বাণী

মার্‌হাবা সৈয়দে মক্কী-মদনী আল্-আরবি।
বাদ্‌শারও বাদশাহ্ নবীদের রাজা নবী।।
ছিলে মিশে আহাদে, আসিলে আহমদ হয়ে
বাঁচাতে সৃষ্টি খোদার, এলে খোদার সনদ ল’য়ে,
মানুষে উদ্ধারিলে মানুষের আঘাত সয়ে —
মলিন দুনিয়ায় আনিলে তুমি যে বেহেশ্‌তী ছবি।।
পাপের জেহাদ-রণে দাঁড়াইলে তুমি একা
নিশান ছিল হাতে ‘লা-শরীক আল্লাহ্’ লেখা,
গেল দুনিয়া হতে ধুয়ে মুছে পাপের রেখা —
বহিল খুশির তুফান উদিল পুণ্যের রবি।।

বাণী

মধুর আরতি তব বিশ্ব সভাতে
নিত্য হেরি নাথ সন্ধ্যায় প্রভাতে।।
চন্দ্র, সূর্য, দীপ গগন-থালা
শ্বেত মেঘ-চন্দন, তারার মালা
মলয় সমীর পূজা-ধূপের গন্ধ
ঝরা ফুল-অঞ্জলি ধরণীর হাতে।।
শঙ্খ বাজায় তব সাগর-কল্লোল
বজ্র রবে ঘন ঘন্টার রোল
বিগ্রহ নিখিল সৃষ্টি-আঙিনায়।
(তব) শান্ত সত্ব-পাখা প্রণব-ওঙ্কার
ঝমঝম বৃষ্টিতে ঝাঁঝর ঝঙ্কার।
দেবদাসী সম কোটি গ্রহ ঘুরে ঘুরে
তোমার বন্দনা-নৃত্যে মাতে।।

বাণী

মাকে আমার এলাম ছেড়ে মা অভয়া, মাকে দেখো।
মোর তরে মা কাঁদে যদি তুমি তাকে ভুলিয়ে রেখো।।
	মায়ের যে বুক শূন্য ক’রে 
	এলাম আমি দেশান্তরে
শূন্য করে সেই খালি বুক মহামায়া তুমি থেকো।।

নাটিকাঃ ‘শ্রীমন্ত’

বাণী

মুখে কেন নাহি বলো আঁখিতে যে কথা কহো
অন্তরে যদি চাহো মোরে তবে কেন দূরে দূরে রহো।।
     প্রেম -দীপ শিখা অন্তরে যদি জ্বলে
     কেন চাহো তারে লুকাইতে অঞ্চলে
পূজিবে না যদি সুন্দরে রূপ -অঞ্জলি কেন বহো।।
ফুটিলে কুসুম -কলি রহে না পাতার তলে,
কুণ্ঠা ভুলিয়া দখিনা-বায়ের কানে কানে কথা বলে।
     যে অমৃত-ধারা উথলে হৃদয় মাঝে
     রুধিয়া তাহারে রেখো না হৃদয় লাজে
প্রাণ কাঁদে যার লাগি, তারে কেন বিরহ দহনে দহো।।

বাণী

মেঘে মেঘে অন্ধ অসীম আকাশ।
আমারি মত কাঁদে দিশাহারা
নয়ন পুতলি চাঁদে হারায়ে
হারায়ে তারি নয়ন তারা।।
আমার ভুবন আঁধারে ভরিয়া
নয়ন মণি মোর কে নিল হরিয়া
প্রিয় নাম ধরে তারে খুঁজি দিকে দিকে
শূন্য গগনে শুধু ঝরে বারি ধারা।।
হে আলোর রাজা বল বল মোরে
মোর আঁখি পুতলি কেন নিলে হ’রে
তব উৎসব সভা হ’তো না কি উজল
আমার আঁখির আলো ছাড়া।।