বাণী

মধুর আরতি তব বিশ্ব সভাতে
নিত্য হেরি নাথ সন্ধ্যায় প্রভাতে।।
চন্দ্র, সূর্য, দীপ গগন-থালা
শ্বেত মেঘ-চন্দন, তারার মালা
মলয় সমীর পূজা-ধূপের গন্ধ
ঝরা ফুল-অঞ্জলি ধরণীর হাতে।।
শঙ্খ বাজায় তব সাগর-কল্লোল
বজ্র রবে ঘন ঘন্টার রোল
বিগ্রহ নিখিল সৃষ্টি-আঙিনায়।
(তব) শান্ত সত্ব-পাখা প্রণব-ওঙ্কার
ঝমঝম বৃষ্টিতে ঝাঁঝর ঝঙ্কার।
দেবদাসী সম কোটি গ্রহ ঘুরে ঘুরে
তোমার বন্দনা-নৃত্যে মাতে।।

বাণী

মুছাফির! মোছ্ রে আঁখি-জল
		ফিরে চল আপনারে নিয়া
আপনি ফুটেছিল ফুল
		গিয়াছে আপ্‌নি ঝরিয়া।।
রে পাগল! একি দুরাশা,
জলে তুই বাঁধ্‌বি রে বাসা!
মেটে না হেথায় পিয়াসা
		হেথা নাই তৃষা-দরিয়া।।
বরষায় ফুটল না বকুল
পউষে ফুট্‌বে কি সে ফুল (রে)
এ পথে ঝরে সদা ভুল
		নিরাশার কানন ভরিয়া।।
রে কবি! কতই দেয়ালি
জ্বালিলি তোর আলো জ্বালি’
এলো না তোর বনমালী
		আধাঁর আজ তোরই দুনিয়া।।

বাণী

মোহররমের চাঁদ এলো ঐ কাঁদাতে ফের দুনিয়ায়।
ওয়া হোসেনা ওয়া হোসেনা তারি মাতম শোনা যায়।।
কাঁদিয়া জয়নাল আবেদীন বেহোশ হল কারবালায়
বেহেশ্‌তে লুটিয়ে কাঁদে আলী ও মা ফাতেমায়।।
কাশেমের ঐ লাশ লয়ে কাঁদে বিবি সাকিনা।
আস্‌গরের ঐ কচি বুকে তীর দেখে কাঁদে খোদায়।।
কাঁদে বিশ্বের মুসলিম আজি গাহে তারি মর্সিয়া।
ঝরে হাজার বছর ধরে অশ্রু তারি শোকে হায়।।

বাণী

মন লহ নিতি নাম রাধা শ্যাম গাহো হরি গুণ গান।
তব ধন জন প্রাণ, যাহার কৃপার দান
জপ তারি নাম জয় ভগবান জয় ভগবান।।
জনক-জননীর স্নেহে তাঁহার হেরিস্‌ তুই স্নেহময়,
ভাই ভগিনীর প্রীতিতে যাঁর, শান্ত মধুর পরিচয়।
প্রণয়ী বন্ধুর মাঝে, যাঁর প্রেম রূপ বিরাজে;
পুত্র কন্যা-রূপে সেই জুড়ায় তাপিত পরান।।
তৃষ্ণা ক্ষুধায় সেই কৃষ্ণেরি লীলা,
হাসে শ্যাম শস্যে কুসুমে রঙিলা;
তরঙ্গে ছলছল আঁখি জল-নীলা,
	কল-ভাষা নদী-কলতান।
দেয় দুখ্‌ শোক সেই, পুন সেই করে ত্রাণ।
জয় ভগবান, জয় ভগবান, জয় ভগবান।।

বাণী

মার্‌হাবা সৈয়দে মক্কী-মদনী আল্-আরবি।
বাদ্‌শারও বাদশাহ্ নবীদের রাজা নবী।।
ছিলে মিশে আহাদে, আসিলে আহমদ হয়ে
বাঁচাতে সৃষ্টি খোদার, এলে খোদার সনদ ল’য়ে,
মানুষে উদ্ধারিলে মানুষের আঘাত সয়ে —
মলিন দুনিয়ায় আনিলে তুমি যে বেহেশ্‌তী ছবি।।
পাপের জেহাদ-রণে দাঁড়াইলে তুমি একা
নিশান ছিল হাতে ‘লা-শরীক আল্লাহ্’ লেখা,
গেল দুনিয়া হতে ধুয়ে মুছে পাপের রেখা —
বহিল খুশির তুফান উদিল পুণ্যের রবি।।

বাণী

মম প্রাণ নিয়ে নিঠুর খেল এ কি খেলা (হায়)।
ক্ষণে ভালোবাসা হায় ক্ষণে অবহেলা।।
সকালে গাঁথিয়া মালা পায়ে দল বিকালে তায়।
তেমনি দলিতে চাহ আমার পরান কি হায়।
সহিতে পারি না আর এই হেলাফেলা।
জলরূপী একি কোন্ মরীচিকা তুমি কি গো।
ডেকে এনে মরুভুমে বধিবে এ বনমৃগ।
বুঝিয়াছি কখন হায় ফুরায়েছে বেলা।।