সখি সাপের মণি বুকে করে কেঁদে নিশি যায়
বাণী
সখি সাপের মণি বুকে করে কেঁদে নিশি যায় কাল-নাগিনী ননদিনী দেখতে পাছে পায় (লো সখি)।। সই প্রানের গোপন কথা মম পিঞ্জরেরি পাখির সম পাখা ঝাপটিয়া কাঁদে বাহির হতে চায়।। পাড়ার বৌ-ঝি যদি জলের ঘাটে কানে কথা কয় আমার কথাই কইলো বুঝি মনে জাগে ভয় (সখি) আমি চাইতে নারি চোখে চোখে পাছে মনের কথা জানে লোকে। আমার একি হলো দায় সখি লুকানো না যায় সখি কাঙাল যেমন পেয়ে রতন থুইতে ঠাঁই না পায়।।
সুন্দর অতিথি এসো এসো কুসুম-ঝরা বনপথে
বাণী
সুন্দর অতিথি এসো, এসো, কুসুম-ঝরা বনপথে, তোমার আশায় মুকুলগুলি চেয়ে আছে প্রভাত হ'তে।। তোমার আসার অনুরাগে পাতায় পাতায় শিহর লাগে কণ্ঠে কুহুর কুজন জাগে ভাসলো আকাশ আলোর স্রোতে।। চলতে যদি বেদনা পায় তব কোমল চরণ-কমল বন-বীথিকার পথ-ধূলি ঝরা পল্লব পাপড়ি-দল। পেয়ে আজি আসার আভাস উতল হ'ল মন্দ বাতাস চেয়ে আছে উদাসী আকাশ আসবে কবে সোনার রথে।।
সারাদিন পিটি কার দালানের ছাদ গো
বাণী
সমবেত : সারাদিন পিটি কার দালানের ছাদ গো পাত ভ’রে ভাত পাই না, ধ’রে আসে হাত গো॥ ১ম : তোর ঘরে আজ কি রান্ন হায়েছে? ২য় : ছেলে দুটো ভাত পায়নি, পথ চেয়ে রয়েছে। ৩য় : আমিও ভাত রাঁধিনি, দেখ্ না চুল বাঁধিনি শাশুড়ি মান্ধাতার বুড়ি মন্দ কথা কয়েছে। ৪র্থ : আমার ননদ বড় দজ্জাল বজ্জাত গো। সমবেত : সারাদিন পিটি কার দালানের ছাদ গো পাত ভ’রে ভাত পাই না, ধ’রে আসে হাত গো॥ ১ম : এত খায় তবু ওদের বউগুলো সুঁট্কো ২য় : ছেলেগুলো প্যাঁকাটি, বাবুগুলো মুট্কো। ৩য় : এরা কাগজের ফুল, এরা চোখে চাঁদ দেখে না। ৪র্থ : ইটের ভিতরে কীটের মত কাটায় এরা রাত গো। সমবেত : সারাদিন পিটি কার দালানের ছাদ গো পাত ভ’রে ভাত পাই না, ধ’রে আসে হাত গো॥
চলচ্চিত্রঃ ‘চৌরঙ্গী’