বাণী

স্বপন যখন ভাঙবে তোমার দেখবে আমি নাই।
মোরে শূন্য তোমার বুকেরি কাছে খুজবে গো বৃথাই।।
	দেখবে জেগে বাহুর পরে
	আছে নীরব অশ্রু ঝ'রে
কাছ থেকেও ছিলাম দূরে যাই গো চলে যাই।।
কাঁটার মতো ছিলাম বিধে আমি তোমার বুকে,
বিদায় নিলাম চিরতরে ঘুমাও তুমি সুখে (ওগো)।
	একলা ঘরে জেগে ভোরে
	হয়তো মনে পড়বে মোরে,
দূরে স'রে হয়তো পাব অন্তরেতে ঠাঁই।।

বাণী

স্বপনে দেখেছি ভারত-জননী
			তুই যেন রাজরাজেশ্বরী।
নবীন ভারত! নবীন ভারত!
			স্তব-গান ওঠে ভুবন ভরি’।।
শস্যে ফসলে ডেকেছে মা বান
মাঠে ও খামারে ধরে নাকো ধান
মুখভরা হাসি, হসিভরা প্রাণ
			নদী ভরা যেন পণ্যতরী।।
পড়ুয়ারা পড়ে বকুল-ছায়ে
সুস্থ সবল আদুল গায়ে
মেয়েরা ফিরিছে মুক্ত বায়ে
			কল-গীতে দিক মুখর করি’।
ভুলিয়া ঈর্ষা ভোগ আসক্তি
ধরার ক্লান্ত অসুর-শক্তি
এসেছে শিখিতে প্রেম ও ভক্তি
			নব-ভারতের চরণ ধরি’।।

বাণী

সন্ধ্যা ঘনালো আমার বিজন ঘরে তব গৃহে জ্বলে বাতি।
হাসিয়া ফুরায় তব উৎসব-নিশি (প্রিয়) পোহায় না মোর রাতি ॥
	আমার আয়ুর ঝরা ফুলগুলি ল’য়ে
	দোলে তব গলে মিলনের মালা হ’য়ে,
তোমার ভবনে আলোর দীপালি জ্বলে আঁধার আমার সাথি ॥
মোর মালঞ্চে ঘুমায়ে পড়েছে কুহু, নীরব হয়েছে গান -,
তোমার কুঞ্জে গানের পাখিরা বুঝি তুলিয়াছে কলতান।
	পৃথিবীর আলো মোর চোখে নিভে আসে,
	বাজিছে বাঁশরি তোমার মিলন-রাসে;
ওপারের বাঁশি আমারে ডাকিবে কবে আছি তাই কান পাতি’ ॥

বাণী

	সেই পথে মন মম ধায়।
প্রিয়	রসুলে খোদার, নবীর সরদার —
			যে পথে চলিলেন হায়।
	পরান আমার বিকাতে চাহে
	মাহে আরব লীলাভূমে বিকাতে চাহে।
যাব	কমলিওয়ালা-পাশ ছাড়ি' গৃহবাস
			কম্বল সম্বল করি'।
পাক	রওজার ধূলি শিরে ল'ব তুলি'
			পরিব অঞ্জন করি'।
	অঙ্গে রবে ভূষণ হয়ে সদা —
	পাক রওজার ধূলি ভূষণ হয়ে সদা অঙ্গে রবে।
আমি	(ওগো) মম দুখ-ভার করিয়া উজাড়
			দিব সে-চরণে ডারি।
ওগো	যত দুখ মোর বহিবে অঝোর
			হইবে নয়ন-বারি।
	আমার যাবে গো ব'য়ে
	আমার নয়নের ধারা যাবে গো ব'য়ে,
	পাক রওজাতে নিতি লুকানো বহ্নি
			নয়নের ধারা যাবে গো ব'য়ে।

কীর্তন-সুরে নাত-ই-রসুল

বাণী

	সন্ধ্যা হলো ঘরকে চলো, ও ভাই মাঠের চাষি
	ভাটিয়ালি সুরে বাজে রাখাল ছেলের বাঁশি।।
	পিদিম নিয়ে একলা জাগে একলা ঘরের বধূ
	হৃদয়-পাতে লুকিয়ে রেখে সারা দিনের মধু;
	পথ চেয়ে সে বসে আছে কাজ হয়েছে বাসি রে তার
		কাজ হয়েছে বাসি।
(যে)	মন সারাদিন ছিল পড়ে হালের গরুর পানে,
	দিনের শেষে ঘরের জরু সেই মনকে টানে
	সেথা মেটে ঘরের দাওয়ায় লুটায় রে
	মেটে ঘরের দাওয়ায় লুটায় কালো চোখের হাসি রে ভাই
		কালো চোখের হাসি।
	পুবান হাওয়া ঢেউ দিয়ে যায় আউশ ধানের ক্ষেতে,
	এই ফসলের দেখব স্বপন শুয়ে শুয়ে রেতে;
		ও ভাই শুয়ে শুয়ে রেতে
	সকাল বেলা আবার যেন মাঠে ফিরে আসি রে
		এই মাঠে ফিরে আসি।।

বাণী

স্নিগ্ধ শ্যাম কল্যাণ রূপে রয়েছ মোদেরে ঘেরি
তব অনন্ত করুণা ও স্নেহ নিশিদিন নাথ হেরি।।
	তব চন্দন-শীতল কান্তি
	সৌম্য-মধুর তব প্রশান্তি
জড়ায়ে রয়েছে ছড়ায়ে রয়েছে অঙ্গে ত্রিভুবনেরই।।
বাহিরে তুমি বন্ধু স্বজন আত্মীয় রূপী মম
অন্তরে তুমি পরমানন্দ প্রিয় অন্তরতম।
	নিবেদন করে তোমাতে যে প্রাণ
	সেই জানে তুমি কত মহান
যেমনি সে ডাকে সড়া দাও তাকে তিলেক কর না দেরি।।

১. চির