বাণী

সাজিয়াছ যোগী বল কার লাগি’
		তরুণ বিবাগী
	হের তব পায়ে
	কাঁদিছে লুটায়ে
নিখিলের প্রিয়া তব প্রেম মাগি’
		তরুণ বিবাগী।।
ফাল্গুন কাঁদে
দুয়ারে বিষাদে
	‌খোলো দ্বার খোলো!
	যোগী, যোগ ভোলো!
	এত গীত হাসি
	সব আজি বাসি,
উদাসী গো জাগো! নব অনুরাগে
		জাগো অনুরাগী
		তরুণ বিবাগী।।

বাণী

সমবেত	:	সারাদিন পিটি কার দালানের ছাদ গো
			পাত ভ’রে ভাত পাই না, ধ’রে আসে হাত গো॥
১ম		:	তোর ঘরে আজ কি রান্ন হায়েছে?
২য়		:	ছেলে দুটো ভাত পায়নি, পথ চেয়ে রয়েছে।
৩য়		:	আমিও ভাত রাঁধিনি, দেখ্ না চুল বাঁধিনি
			শাশুড়ি মান্ধাতার বুড়ি মন্দ কথা কয়েছে।
৪র্থ		:	আমার ননদ বড় দজ্জাল বজ্জাত গো।
সমবেত	:	সারাদিন পিটি কার দালানের ছাদ গো
			পাত ভ’রে ভাত পাই না, ধ’রে আসে হাত গো॥
১ম		:	এত খায় তবু ওদের বউগুলো সুঁট্‌কো
২য়		:	ছেলেগুলো প্যাঁকাটি, বাবুগুলো মুট্‌কো।
৩য়		:	এরা কাগজের ফুল, এরা চোখে চাঁদ দেখে না।
৪র্থ		:	ইটের ভিতরে কীটের মত কাটায় এরা রাত গো।
সমবেত	:	সারাদিন পিটি কার দালানের ছাদ গো
			পাত ভ’রে ভাত পাই না, ধ’রে আসে হাত গো॥

চলচ্চিত্রঃ ‘চৌরঙ্গী’

বাণী

সকরুণ নয়নে চাহ আজি মোর বিদায়-বেলা
ভুলিতে দাও বিদায়-দিনে হেনেছ যে অবহেলা॥
হাসিয়া কহ কথা আজ হাসিতে যেমন আগেতে
হেরিবে মোর জীবন-সাঁঝে গোধূলি রঙের খেলা॥
হে বন্ধু, বন্ধুর পথে কে কাহার হয়েছে সাথি
তেমনি থাকিয়া যায় সব যাবার যে যায় সে একেলা॥

বাণী

স্নিগ্ধ শ্যাম কল্যাণ রূপে রয়েছ মোদেরে ঘেরি
তব অনন্ত করুণা ও স্নেহ নিশিদিন নাথ হেরি।।
	তব চন্দন-শীতল কান্তি
	সৌম্য-মধুর তব প্রশান্তি
জড়ায়ে রয়েছে ছড়ায়ে রয়েছে অঙ্গে ত্রিভুবনেরই।।
বাহিরে তুমি বন্ধু স্বজন আত্মীয় রূপী মম
অন্তরে তুমি পরমানন্দ প্রিয় অন্তরতম।
	নিবেদন করে তোমাতে যে প্রাণ
	সেই জানে তুমি কত মহান
যেমনি সে ডাকে সড়া দাও তাকে তিলেক কর না দেরি।।

১. চির

বাণী

সাবিত্রী সমান হও, লহ লহ এই আশিষ।
শ্বশুর শাশুড়ির মা বাপের, কুলের তারা হয়ে হাসিস।।
রামের মত স্বামী পাস, সতী হ’স সীতার সম
দশরথ কৌশল্যার মত শ্বশুর শাশুড়ি অনুপম।
লক্ষ্মণ সম দেবর পেয়ে সুখের সায়রে ভাসিস।।
গোয়ালে গরু, মরায়ে ধান সিঁথেয় সিঁদুর, মুখে পান
আল্‌তা পায়ে চির-এয়োতি যায় সুখে দিন এক সমান
অন্নপূর্ণা জগৎ জীবের মা হয়ে ফিরে আসিস।।
সভা-উজ্জ্বল জামাই পাস ভুবন-উজ্জ্বল দুঃখ পাস
ধরার মত সহ্য পাস জন্মায়স্তে কাল কাটাস।
পাকা চুলে পরিস্ সিঁদুর হয়ে থাকিস্ স্বামীর গো।
বেঁচে থাকিস্ যতকাল অক্ষয় থাক তোর হাতের নো।
পুত্র দিয়ে স্বামীর কোলে গঙ্গাজলে দেহ রাখিস।।

নাটিকাঃ ‘পুতুলের বিয়ে’

বাণী

স্বপনেএসেছিল মৃদু-ভাষিণী
মৃদু-ভাষিণী মধু-হাসিনী।
রূপের তৃষা মোর রূপ ধ'রে এসেছিল
কল্পনা মনোবন-বাসিনী।।
যে পরম সুন্দর আছে মোর অন্তরে
তারি অভিসারে আসে উদাসিনী।।