ভুলে রইলি মায়ায় এসে ভবে
বাণী
দ্বৈত : ভুলে রইলি মায়ায় এসে ভবে তুই ভুলবি ভুলের খেলা কবে॥ স্ত্রী : নিবু নিবু তোর জীবন-বাতি শেষ হলো সুখ-রাতি, পুরুষ : রাত পোহালে সুখের সাথী সঙ্গে নাহি রবি॥ স্ত্রী : যাঁর কৃপায় তুই রইলি সুখে ডাক্লি না রে তারে পুরুষ : তুই কি নিয়ে হায় তাহার কাছে যাবি পরপারে। স্ত্রী : জমালি যা তুই জীবন ভ’রে পিছু প’ড়ে রবে পুরুষ : দারাসুত লবে বিভব রতন পাপের বোঝা নাহি লবে॥ স্ত্রী : স্রোতের মতো সময যে যায় নিয়ে শরণ প্রভুর পায় পুরুষ : কৃপা-সিন্ধুর কৃপা পেলে ত’রে যাবি তুই তবে॥
আমি মুসলিম যুবা
বাণী
পুরুষ : (আমি) মুস্লিম যুবা, মোর হাতে বাঁধা আলির জুল্ফিকার। স্ত্রী : (আমি) মুস্লিম নারী জ্বালিয়া চেরাগ ঘুচাই অন্ধকার।। পুরুষ : ধরিয়া রাখিতে দীনের নিশান আনন্দে করি জান কোরবান, স্ত্রী : কত ছেলে মোর শহীদ হয়েছে মরুতে কারাবালার। আমি নন্দিনী মা ফাতেমার।। পুরুষ : য়ুরোপ-এশিয়া-আফ্রিকা জুড়ে ছড়ানু খোদার বাণী, স্ত্রী : মোর একা গৃহ-মক্কাতে আমি আনি জম্জম্ পানি। পুরুষ : (আমি) জিনিব পৃথিবী আছে মোর আশা স্ত্রী : (আমি) প্রাণে দেই তেজ, বুকে ভালোবাসা, পুরুষ : আমি মুস্লিম যুবা স্ত্রী : আমি মুস্লিম নারী, উভয়ে : দুইধারী তলোয়ার।।
শ্যামা বড় লাজুক মেয়ে
বাণী
শ্যামা বড় লাজুক মেয়ে কেবলই সে লুকাতে চায়। আলো-আঁধার পর্দা টেনে বালিকা সে পালিয়ে বেড়ায়।। নিখিল ভুবন আছে তারে ঘিরে আমার মেয়ে তবু বসন খুঁজে ফিরে, তারে যে দেখে সে এক নিমেষে তারি মাঝে লয় হয়ে যায়।। তাই কেবলি সে লুকাতে চায়।। কোটি শিব ব্রহ্মা হরি অনন্তকাল গভীর ধ্যানে, তার সে লুকোচুরি খেলায় পায় না দিশা পায় না মনে। রবি শশী গ্রহতারার ফাঁকে যে দেখেছে পালিয়ে যেতে মাকে, (সে) আপনাকে আর পায় না খুঁজে মায়াবিনীর মহামায়ায়।।
কৃষ্ণ কৃষ্ণ বল্ রসনা
বাণী
কৃষ্ণ কৃষ্ণ বল্ রসনা রাধা রাধা বল্, রাধাকৃষ্ণ রাধাকৃষ্ণ রাধাকৃষ্ণ বল্।। যোগে খোঁজেন শিব কৃষ্ণ-গোবিন্দে ব্রহ্মা পূজেন রাধা-চরণারবিন্দে, অধরা যুগল চাঁদে ধরিল প্রেমের ফাঁদে গোপ গোপীদল।। (মোর) শ্রীকৃষ্ণে থাকে যেন অটল মতি সেই মতি দেন্ মোর রাধা শ্রীমতী, মন-বৃন্দাবনে ফোটে কৃষ্ণ নামের ফুল — ঝরায়ে সে-ফুল রাই দেন সবে প্রেম-ফল।। রাধাকৃষ্ণ বল্ ওরে নর-নারী সংসার বনে তোরা যেন শুক-শারি, তার, পরানে নিত্য রাস-রসের উল্লাস — যাহার হৃদয়ে দোলে মূরতি যুগল।।