মিনতি রাখো রাখো পথিক থাকো থাকো
বাণী
মিনতি রাখো রাখো পথিক থাকো থাকো, এখনি যেয়ো না গো, না না না। ক্ষণিক অতিথি বিদায়ের গীতি এখনি গেয়ো না গো, না না না।। চৈতী পূর্ণিমা চাঁদের তিথি, পুষ্প পাগল এ বনবীথি, ধূলায় ছেয়ো না গো, না না না।। বলি বলি ক'রে হয়নি যা বলা, যে কথা ভরিয়াছিল বুকের তলা; সে কথা না শুনে সুন্দর অতিথি হে যেতে চেয়ো না গো, না না না।।
কে বিদেশি বন-উদাসী
বাণী
কে বিদেশি বন-উদাসী' বাঁশের বাঁশি বাজাও বনে। সুর-সোহাগে তন্দ্রা লাগে কুসুম-বাগের গুল-বদনে।। ঝিমিয়ে আসে ভোমরা-পাখা যুথীর চোখে আবেশ মাখা কাতর ঘুমে চাঁদিমা রাকা ভোর গগনের দর-দালানে দর-দালানে ভোর গগনে।। লজ্জাবতীর লুলিত লতায় শিহর লাগে পুলক-ব্যথায় মালিকা সম বঁধুরে জড়ায় বালিকা-বঁধু সুখ-স্বপনে।। বৃথাই গাঁথি কথার মালা লুকাস কবি বুকের জ্বালা, কাঁদে নিরালা বনশিওয়ালা তোরি উতলা বিরহী মনে।।
আল্লাহ্ রসুল জপের গুণে
বাণী
আল্লাহ্ রসুল জপের গুণে কি হ'ল দেখ চেয়ে — সদা ঈদের দিনের খুশিতে তোর পরাণ আছে ছেয়ে।। আল্লাহ্র রহমত ঝরে ঘরে বাইরে তোর উপরে, আল্লাহ্ রসুল হয়েছেন তোর জীবন-তরীর নেয়ে।। দুখে সুখে সমান খুশি নাই ভাবনা ভয়, তুই দুনিয়াদারী করিস তবু আল্লাহ্তে মন রয়। মরণকে আর ভয় নাই তোর, খোদার প্রেমে পরাণ বিভোর, তিনি দেখেন তোর সংসার, তোরই ছেলেমেয়ে।।
মনের রঙ লেগেছে বনের পলাশ
বাণী
মনের রঙ লেগেছে বনের পলাশ জবা অশোকে রঙের ঘোর জেগেছে পারুল কনক-চাঁপার চোখে।। মুহু মুহু বোলে কুহু কুহু কোয়েলা, মুকুলিত আমের ডালে গাল রেখে ফুলের গালে। দোয়েলা দোল দিয়ে যায়, ডালিম ফুলের নব-কোরকে।। ফুলের পরাগ ফাগের রেণু ঝুরু ঝুরু ঝরিছে গায়ে ঝিরি ঝিরি চৈতী বায়ে বকুল বনে ঝিমায় মধুপ মদির নেশার ঝোঁকে।। হরিত বনে হরষিত মনে হোরির হর্রা জাগে রঙিলা অনুরাগে নূতন প্রণয়-সাধ জাগে চাঁদের রাঙা আলোকে।।