আজ যুগের পরে ঘরে ফিরে
বাণী
আজ যুগের পরে ঘরে১ ফিরে মায়ের কথা পড়লো মনে। শূন্য ঘরে মন বসে না গুমরে মরে হিয়ার বনে।। আজো সে ঘর সবাই আছে, মা কেবলই নেই গো কাছে, — ঐ দাওয়া আর ঐ কানাচে আজো মায়ের স্বরটি রনে।। যত্ন কারুর সইতে নারি, কণ্ঠ ছিঁড়ে কান্না আসে; ওষ্ঠ চেপে যায় না রাখা, রূপ যে তোমার চক্ষে ভাসে! পাইনি মাগো সাতটি বরষ একটুকু ক্ষীণ স্নেহের পরশ, — (ও মা) ‘বুনো’ তোমার হ’ল না বশ চল্লো ফিরে ফের বিজনে। হার্লো স্নেহ বাঁধন-হারার বাঁধ্তে নিয়ে ডোর-সৃজনে।।
১. ঘরকে
যা সখি যা তোরা গোকুলে ফিরে
বাণী
যা সখি যা তোরা গোকুলে ফিরে। যে পথে শ্যামরায় চ’লে গেছে মথুরায় কাঁদিতে দে ল’য়ে সেই পথ ধূলিরে॥ এ তো ধূলি নয়, ধূলি নয় হরি-চরণ-চিহ্ন-আঁকা এ যে হরি-চন্দন ধূলি নয়, ধূলি নয় এই ধূলি মাখিয়া, হ’য়ে পাগলিনী ফিরিব ‘শ্যাম শ্যাম’ ডাকিয়া। হব যোগিনী এই ধূলি-তিলক-আঁকিয়া॥ (সখি গো) শুনিয়াছি দূতি মুখে, প্রিয়তম আছে সুখে সেই মম পরম প্রসাদ। ভুলিয়া এ রাধিকায়, সে যদি সুখ পায় তার সে সুখে সাধিব না বাদ॥ আমার দীরঘ শ্বাসে উৎসব-বাতি তার যদি নিভে যায়। তাই ওলো ললিতা আমি হব ধূলি-দলিতা যাব না লো তার মথুরায়॥ আমি মথুরায় যাব, না গেলে মথুরাতে মোর শ্যামে আর ফিরে পাব না। (সখি গো) হারানো মানিক কভু ফিরে লোকে পায় হারানো হৃদয় ফিরে নাহি পাওয়া যায়॥