বাণী

পলাশ ফুলের গেলাস ভরি’ পিয়াব অমিয়া তোমারে প্রিয়া
চাঁদিনী রাতের চাঁদোয়া তলে বুকের আঁচল দিব পাতিয়া।।
নয়ন-মণির মুকুরে তোমার দুলিবে আমার সজল ছবি
সবুজ ঘাসের শিশির ছানি মুকুতা মালিকা দিব গাঁথিয়া।।
		ফিরোজা আকাশ আবেশে ঝিমায়
		দীঘির বুকে কমল ঘুমায়
নীরব যখন পাখির কূজন আমরা দু’জন রব জাগিয়া।।

বাণী

আজ উদার আকাশে ছুটির শঙ্খ-ঘণ্টা বাজায় কে।
প্রবাসীর মন উচাটন, শোনে — ‘দীপ জ্বাল্, উলু দে’।।
	আর মন লাগে নাকো কাজে,
	শ্রবণের কাছে চুড়ি-কঙ্কণ বাজে।
এলোমেলো বায়ে এলো, কবরীর সৌরভ এলো যে।।
কোথা আনন্দ-নন্দিনী কার চন্দন বুঝি ঘষে;
মন মেতে ওঠে মৌমাছি-সম, নন্দন-মধু রসে।
	তৃতীয়া চাঁদের রসকলি পরি’
	বৈষ্ণবী সেজে এলো বিভাবরী;
বাউল-হৃদয়! চল্ রে বাহিরে, হাতে একতারা নে।।

বাণী

বাসন্তী রং শাড়ি প’রো খয়ের রঙের টিপ্‌।
সাঁঝের বেলায় সাজবে যখন জ্বাল্‌বে যখন দীপ্॥
	দুলিয়ে দিও দোলন্ খোঁপায়
	আমের মুকুল বকুল চাঁপায়,
মেখ্‌লা ক’রো কটি-তটে শিউরে-ওঠা নীপ্॥
কর্ণ-মূলে দুল দুলিও দুলাল চাঁপার কুঁড়ি,
বন্-অতসীর কাঁকন প’রো, কনক-গাঁদার চুড়ি।
	আধখানা চাঁদ গরব ভরে
	হাসে হাসুক আকাশ ’পরে,
তুমি বাকি আধখানা চাঁদ ধরার মণি-দীপ্॥

বাণী

এরি লাগি তপস্যা কি করে আঁধার রাতি।।
সই দেখলো চেয়ে রূপ-সায়রে জ্বলে এ কোন্ বাতি
লক্ষ চাঁদের জোছনা হেথা কে রেখেছে পাতি’?

নাটক : ‘মধুমালা’ (স্বপনপরীর গান)

বাণী

সে চ'লে গেছে ব'লে কি গো স্মৃতিও হায় যায় ভোলা
ওগো মনে হ'লে তারি কথা আজো মর্মে সে মোর দেয় দোলা।।
	ঐ প্রতিটি ধূলি কণায়
	আছে তার ছোঁওয়া লেগে হেথায়,
আজো তাহারি আসার আশায়, রাখি মোর ঘরেরই সব দ্বার খোলা।।
	হেথা সে এসেছিল যবে
	ঘর ভরেছিল ফুল-উৎসবে,
মোর কাজ ছিল শুধু ভবে তার হার গাঁথা আর ফুল তোলা।।
	সে নাই ব'লে বেশি ক'রে
	শুধু তার কথাই মনে পড়ে,
হেরি তার ছবি ভুবন ভ'‌রে তারে ভুলিতে মিছে বলা।।

বাণী

ও কে বিকাল বেলা ব’সে নিরালা বাঁধিছে কেশ।
হেরি’ আর্শিতে নিজেরই চারু-মুখ (চোখে) জাগে আবেশ।।
বসনের শাসন নাই অঙ্গে তাহার
উথ্‌লে পড়ে মুক্ত-দেহে যৌবন-জোয়ার,
খুলে’ খুলে’ পড়ে কেশের কাঁটা বেণীর লেশ।।
আঙুলগুলি নাচের ভঙ্গিতে,
খেলে বেড়ায় বেণীর বিনুনিতে।
কভু বাঁকায় ভুরু কভু বাঁকায় গ্রীবা
ঠিক্‌রে পড়ে আয়নায় রূপের বিভা,
জাগে সহসা গালে তা’র সিঁদুর-ডিবার রঙের রেশ।।