বাণী

আজো বোলে কোয়েলিয়া
চাঁপাবনে প্রিয় তোমারি নাম গাহিয়া।।
তব স্মৃতি ভোলেনি চৈতালি সমীরণ,
আজো দিকে দিকে খুঁজে ফেরে কাঁদিয়া।।
নিশীথের চাঁদ আজো জাগে
ওগো চাঁদ, তব অনুরাগে।
জলধারা উথলে যমুনার সৈকতে
খোঁজে তরুলতা ফুল আঁখি মেলিয়া।।

বাণী

হে মোহাম্মদ এসো এসো আমার প্রাণে আমার মনে।
এসো সুখে এসো দুখে আমার বুকে মোর নয়নে।।
আমার দিনের সকল কাজে
যেন তোমার স্মৃতি বাজে,
এসো আমার ঘুমের মাঝে —
	এসো আমার জাগরণে।।
কোরান দিলে, দিলে ঈমান, বেহেশ্‌তের দিশা দিলে,
পাপে তাপে মগ্ন আমায় খোদার রাহে ডেকে নিলে।
	তোমায় আমি ভুলব কিসে
	আছ আমার রুহে মিশে,
আমি তোমার প্রেমের পাগল রেখো আমায় ঐ চরণে।।

বাণী

ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি?
ভোরের হাওয়ায় কান্না পাওয়ায় তব ম্লান ছবি
		নীরব কেন কবি।।
যে বীণা তোমার কোলের কাছে
বুক-ভরা সুর ল’য়ে জাগিয়া আছে,
তোমার পরশে ছড়াক্‌ হরষে
আকাশে-বাতাসে তা’র সুরের সুরভি
		নীরব কেন কবি।।
তোমার যে প্রিয়া গেল বিদায় নিয়া অভিমানে রাতে —
গোলাপ হয়ে কাঁদে তাহারই কামনা উদাস-প্রাতে।
ফিরে যে আসিবে না ভোলো তাহারে
চাহ তাহার পানে দাঁড়ায়ে যে দ্বারে,
অস্ত-চাঁদের বাসনা ভুলাতে
অরুণ-অনুরাগে উদিল রবি
		নীরব কেন কবি।।

বাণী

এলো রমজানেরি চাঁদ এবার দুনিয়াদারি ভোল
সারা বরষ ছিলি গাফেল এবার আঁখি খোল।।
	এই একমাস রোজা রেখে
	পরহেজ থাক গুনাহ থেকে
কিয়ামতের নিয়ামত তোর ঝুলি ভরে তোল।।
বন্দী রহে এই মাসে শয়তান মালাউন
(তার) এই মাসে যা করবি সওয়াব দর্জা হাজার গুণ।
	ভোগ বিলাসে মাখলি যে পাঁক
	রমজানে তা হবে রে সাফ
এফতারে তোর কর রে সামান আল্লা রসুল বোল।।

বাণী

(সে) ধীরে ধীরে আসি'
আধো ঘুমে বাজাল বাঁশি।
	ফুল-রাখি দিল বাঁধি হাসি।।
জাগিয়া নিশি-ভোরে
না হেরি বাঁশির কিশোরে,
	চাঁদ-তরী বেয়ে গেল ভাসি।।

বাণী

হেড মাস্টারের ছড়ি, সেকেন্ড মাস্টারের দাড়ি
থার্ড মাস্টারের টেড়ি, কারে দেখি কারে ছাড়ি।
হেড-পণ্ডিতের টিকির সাথে ওদের যেন আড়ি।
	দাঁড়াইয়া ঐ হাই বেঞ্চে
	হাসি রে মুখ ভেংচে ভেংচে,
খোঁড়া সেকেন্ড পণ্ডিত যায় লেংচে হুঁকো হাতে বাড়ি
তার মুখ নয় তেলো হাড়ি, মোর হেসে ছিড়ে যায় নাড়ি।

নাটিকাঃ ‘পুতুলের বিয়ে’