আমি নামের নেশায় শিশুর মতো
বাণী
আমি নামের নেশায় শিশুর মতো ডাকি গো মা ব'লে নাই দিলি তুই সাড়া মা গো নাই নিলি তুই কোলে।। শুনলে 'মা' নাম জেগে উঠি ব্যাকুল হয়ে বাইরে ছুটি মাগো ঐ নামে মোর নয়ন দু'টি ভ'রে ওঠে জলে।। ও নাম আমার মুখের বুলি ও নাম খেলার সাথি ও নাম বুকে জড়িয়ে ধ'রে পোহাই দুখের রাতি। মা হারানো শিশুর মতো যপি ও নাম অবিরত মা ঐ নামের মন্ত্র আমার বুকে কবচ হয়ে দোলে।।
আয় নেচে নেচে আয় রে বুকে দুলালী মোর
বাণী
আয় নেচে নেচে আয় রে বুকে দুলালীমোর কালো মেয়ে দগ্ধ দিনেরবুকে যেমন আসে শীতল আঁধার ছেয়ে।। আমার হৃদয়-আঙিনাতে খেলবি মা তুই দিনে রাতে মোর সকল দেহ নয়ন হয়ে দেখবে মা তাই চেয়ে চেয়ে।। হাত ধরে মোর নিয়ে যাবি তোর খেলাঘর দেখবি মা এইটুকু তুই মেয়ে আমার কেমন করে হ’স অসীমা। লুটে নিবি চতুর্ভূজা আমার স্নেহ প্রেম-পূজা (মা) নাম ধরে তোর ডাকব মা যেই যেথায় থাকিস আসবি ধেয়ে।।
তুমি হাতখানি যবে রাখ মোর হাতের পরে
বাণী
তুমি হাতখানি যবে রাখ মোর হাতের পরে মোর কণ্ঠ হ’তে সুরের গঙ্গা ঝরে।। তব কাজল-আঁখির ঘন পল্লব তলে বিরহ মলিন ছায়া মোর যবে দোলে তব নীলাম্বরীর ছোঁয়া লাগে যেন সেদিন নীলাম্বরে।। যেদিন তোমারে পাই না কাছে গো পরশন নাহি পাই, মনে হয় যেন বিশ্ব ভুবনে কেহ নাই, কিছু নাই। অভিমানে কাঁদে বক্ষে সেদিন বীণ আকাশ সেদিন হয়ে যায় বাণী হীন যেন রাধা নাই, আর বৃন্দাবনে গো সব সাধ গেছে ম’রে।।
ঐ নন্দন নন্দিনী দয়িতা চির-আনন্দিতা
বাণী
ঐ নন্দন নন্দিনী দয়িতা, চির-আনন্দিতা। যেন প্রথম কবির প্রথম লেখা কবিতা ॥ তব চরণের নূপুরধ্বনি মধুকর গুঞ্জর তোলে যে রণি, মন মোর ভোলে হেরি তোমারে যে গো ঐ যে যৌবন-গর্বিতা ॥ দোলায় দোদুল দুল তব নৃত্য আবেশে আকুল হয় মোর চিত্ত, নৃত্যশেষে তব পায়ের নূপুর গ্রহ তারকায় রয় আকাশের সুদূর, সুরলোক উর্বশী তুমি যে আমার রও চির-অনিন্দিতা ॥