ওলো ননদিনী বল্
বাণী
ওলো ননদিনী বল্ কপট নিপট কালা, নিঠুর খল্॥ তার নাই ভয় নাই লজ্জা শরম লইয়া যুবতীর ধরম গো খেলে সে নিঠুর খেলা, চতুর চপল্॥ না শুনে লো তোদের গালি মাখলাম কুলে কালার কালি গো সে মুখে সরল বনমালী, অন্তরে গরল॥ তার শত জনে মন বাঁধা, রাতে চন্দ্রা দিনে রাধা (তারে) কঠিন কথা শুনাইব চল্লো গোঠে চল্॥ কৃষ্ণ ব’লে অবিরত দে লো গালি পারিস যত ননদী কয় বুঝেছি বউ (কৃষ্ণ) নাম শোনারই ছল ও বউ কৃষ্ণ নাম তোর ভাল লাগে তাই কৃষ্ণ (ও তোর) নাম শোনারই ছল॥
বলেছিলে তুমি তীর্থে আসিবে
বাণী
বলেছিলে তুমি তীর্থে আসিবে আমার তনুর তীরে। তুমি আসিলে না, (হায়!) আশার সূর্য ডুবিল সাগর-নীরে।। চলে যাই যদি, চিরদিন মনে তোমার সে-কথা রহিবে স্মরণে শুধু সেই কথা শোনার লাগিয়া হয়তো আসিব ফিরে।। শুধু সেই আশে হয়তো এ তনু মরণে হবে না লীন পথ চেয়ে চেয়ে, তব নাম গেয়ে বাজাব বিরহ-বীণ। হের গো, আমার যাবার সময় হলো তোমার সে-কথা মিথ্যা হবে না বলো, কোন শুভক্ষণে নিমেষের তরে জড়াবে কন্ঠ ঘিরে।।
এসো এসো বন ঝরনা
বাণী
এসো এসো বন ঝরনা উচ্ছল-চল-চরণা। সর্পিল ভঙ্গে লুটায়ে তরঙ্গে ফেন-শুভ্র-ওড়না।। পাষাণ জাগায়ে এসো নির্ঝরিণী এসো প্রাণ-চঞ্চলা জল-হরিণী মরু-তৃষিতের বুকে ঢালো ধারা জল-শ্যাম মেঘ-বরণা।। এসো বুনো পথ বেয়ে অকারণ গান গেয়ে, গভীর অরণ্যের মৌনব্রত ভেঙে ভয়হীন পাহাড়ি মেয়ে। নৃত্য পরা পায়ে ছন্দ আনো আনন্দ আনো মৃত প্রাণ জাগানো, অনাবিল হাসির ঝরাফুল ছড়ায়ে এসো মঞ্জুলা মনোহরণা।।