বাণী

আমি পূরব দেশের পুরনারী (গো)।
গাগরি ভরিয়া এনেছি গো অমৃত-বারি।।
পদ্মকুলের আমি পদ্মিনী-বধূ
এনেছি শাপলা-পদ্মের মধু
ঘন বন ছায়ায় শ্যামলী মায়ায়
শান্তি আনিয়াছি ভরি’ হেমঝারি।।
আমি শঙ্খ-নগর হতে আনিয়াছি শাখা, অভয়শঙ্খ,
ঝিল্‌ ছেনে এনেছি সুনীল কাজল গো —
বিল্‌ ছেনে অনাবিল চন্দন-পঙ্ক (এনেছি)।
এনেছি, শত ব্রত-পার্বণ-উৎসব
এনেছি, সারস হংসের কলরব
এনেছি, নব আশা-ঊষার সিন্দুর
মেঘ-ডম্বরু সাথে মেঘ-ডুমুর শাড়ি।।

বাণী

তোমার সজল চোখে লেখা মধুর গজল গান।
চেয়ে চেয়ে তাই দেখে গো আমার দু’নয়ান।।
	আমার পুঁথির আখর যত
	তোমার মালার মোতির মত,
তাই দেখি আর পাঠ ভুলে যাই, আকুল করে প্রাণ।।
যেমন	বুলবুলি আর রঙিন গোলাব
	লায়লী-মজনু দুইজনে ভাব,
ওদের প্রেমে ধূলির ধরা হল গুলিস্তান।।

নাটিকা: ‘লায়লী-মজনু’

বাণী

শূন্য আজি গুল-বাগিচা যায় কেঁদে দখিন হাওয়া।
রাঙা গুলের বাজার আজি স্মৃতির কাটায় ছাওয়া।।
ধূলি ঢাকা ফুল সমাধি আজি সে গুলিস্তানে
ছিল যথায় খুশির জলসা বুলবুলির গজল গাওয়া।।
শুকনো পাতায় ছেয়েছে আজ সাকির চরণ রেখা
নাহি সেথায় বঁধুর লাগি বঁধূর আসা-যাওয়া।।
নাহি মিঠা পানির নহর আছে প'ড়ে বালুচর
এ যেন গো হৃদয়ের ভরা-ডুবির পথ বাওয়া।।

বাণী

প্রাণে জাগে হিন্দোল গানে জাগে হিল্লোল,
প্রেমের চামেলি বনে জাগিল মুকুল্।
মনের গোপন রাগে রঙিন স্বপন জাগে,
ফুল-ভরা গুল্‌বাগে বুলে বুল্‌বুল্‌।।
রূপে ধরা ঝলমল্ রসে ভরা টলমল্,
ঢলো ঢলো অনুরাগে আঁখি ঢুলুঢুল্।
পাপিয়ার কলগানে কোকিলের কুহুতানে,
যৌবনে মৌবনে দিল্ মস্‌গুল।।

রেকর্ড নাটিকাঃ কাফন-চোরা

বাণী

		যেদিন লব বিদায় ধরা ছাড়ি প্রিয়ে।
		ধুয়ো ‘লাশ’ আমার লাল পানি দিয়ে।।
শেয়র:	শারাবী জমশেদী গজল ‘জানাজায়’ গাহিও আমার
		দিবে গোর খুঁড়িয়া মাটি খারারী ঐ শারাব-খানার!
		‘রোজ-কিয়ামতে’ তাজা উঠব জিয়ে।।
শেয়র:	এমনি পিইব শারাব ভেসে যাব তাহার স্রোতে,
		উঠিবে খুশবু শারাবের আমার ঐ গোরের পার হতে;
		টলি’ পড়বে পথিক সে নেশায় ঝিমিয়ে।।

বাণী

আজকে না হয় একটি কথা কইলে আবার মোর সাথে।
ওগো একটু না হয় বসলে এসে এই পাথরের পৈঠাতে।।
	শুধুই কি গো আমার আঁখি
	ঝিমায় মদির স্বপ্ন মাখি’,
ওগো তোমার কি চোখ ধরে নাকো ঢুলতে নেশার মৌতাতে।।
আজকে তোমার নয়ন আমার নয়ন হেরি’ লজ্জা পায়,
আজকে তোমার মুখের কথা শুধু্ই কি গো মুখ রাঙায়?
	ফাগুন হাওয়ার দোদুল দোলায়
	এই যে এসে দোল দিয়ে যায় —
ওগো মোরাই কি গো দুল্‌ব শুধু মান বিরহের দোল্‌নাতে।।