ওগো পূজার থালায় আছে আমার ব্যথার শতদল
বাণী
ওগো পূজার থালায় আছে আমার ব্যথার শতদল। হে দেবতা রাখ সেথা তোমার পদতল।। নিবেদনের কুসুম সহ লহ হে নাথ, আমায় লহ যে আগুনে আমায় দহ সেই আগুনে আরতি-দীপ জ্বেলেছি উজল।। যে নয়নের জ্যোতি নিলে কাঁদিয়ে পলে পলে, মঙ্গল-ঘট ভরেছি নাথ, সেই নয়নের জলে। যে চরণে করো আঘাত প্রণাম লহ সেই পায়ে নাথ রিক্ত তুমি করলে যে হাত, হে দেবতা! লও সে হাতে অর্ঘ্য-সুমঙ্গল।।
মেঘের হিন্দোলা দেয় পূব-হাওয়াতে দোলা
বাণী
মেঘের হিন্দোলা দেয় পূব-হাওয়াতে দোলা। কে দুলিবি এ-দোলায় আয় আয় ওরে কাজ-ভোলা॥ মেঘ-নটীর নূপুর ঐ বাজে ঝুমুর ঝুমুর, শীর্ণা-তনু ঝর্না তরঙ্গ-উতরোলা॥ ফুল-পসারিণী ঐ দুলিছে বনানী বিনিমূলে বিলায় সে সুরভি, ফুল ছানি। আজ ঘরে ঘরে ফুল-দোল্ সব বন্ধ দুয়ার খোলা॥ জলদ-মৃদঙ বাজে গভীর ঘন আওয়াজে, বাদলা-নিশীথ দুলে ঐ তিমির-কুন্তলা॥
ম্লান আলোকে ফুটলি কেন গোলক-চাঁপার ফুল
বাণী
ম্লান আলোকে ফুটলি কেন গোলক-চাঁপার ফুল। ভূষণহীনা বনদেবী কার হ'রি তুই দুল।। হার হ'বি কার কবরীতে সন্ধ্যারানী দূর নিভৃতে, ব'সে আছে অভিমানে ছড়িয়ে এলোচুল।। মাটির ধরার ফুলদানিতে তোর হবে কি ঠাঁই, আদর কে আর করবে তোরে, বসন্ত যে নাই হায় বসন্ত নাই। গোলক-চাঁপা খুঁজিস কারে — সে দেবতা নাই রে হেথা শূন্য যে আজি গোকুল।।
ওরে বনের ময়ূর কোথায় পেলি এমন চিত্রপাখা
বাণী
ওরে বনের ময়ূর কোথায় পেলি এমন চিত্রপাখা তোর পাখাতে হরির স্মৃতি পাখার শ্রী কি আঁকা॥ তারই মতন হেলে দুলে নাচিস্ রে তুই পেখম খুলে তনুতে তোর ওরে শ্যামের আঁখির নীলাঞ্জন মাখা॥ হারিয়ে নব কিশোরে, দিবা-নিশি ঘুরি তাই কি শ্যামের বিভূতি তুই আনলি ক’রে চুরি। সান্ত্বনা কি দিতে মোরে শ্যামল রেখে গেছে তোরে তাইতো তোরে হেরি ওরে যায় না কাঁদন্ রাখা॥