রাস-মঞ্চে দোল-দোল লাগে রে
বাণী
রাস-মঞ্চে দোল-দোল লাগে রে, জাগে ঘূর্ণি-নৃত্যের দোল। আজি রাস-নৃত্য নিরাশ চিত্ত জাগো রে, চল যুগলে যুগলে বন-ভবনে - আনো নিথর হেমন্ত হিম পবনে চঞ্চল হিল্লোল॥ শতরূপে প্রকাশ আজি শ্রী হরি, শত দিকে শত সুরে বাজে বাঁশরি - সকল গোপিনী আজি রাই কিশোরী, - যাবে তৃষ্ণা, পাবে কৃষ্ণের কোল॥ তরল তাল ছন্দ-দুলাল নন্দ-দুলাল নাচে রে, অপরূপ রঙ্গে নৃত্য-বিভঙ্গে অঙ্গের পরশ যাচে রে; মানস-গঙ্গা অধীর-তরঙ্গা প্রেমের-যমুনা হ’ল রে উতরোল॥
আজি এ শ্রাবণ-নিশি কাটে কেমনে
বাণী
আজি এ শ্রাবণ-নিশি কাটে কেমনে। গুরু দেয়া গরজন কাঁপে হিয়া ঘনঘন শনশন কাঁদে বায়ু নীপ-কাননে।। অন্ধ নিশীথ, মন খোঁজে কারে আঁধারে, অন্ধ নয়ন ঝরে শাওন-বারিধারে। ভাঙিয়া দুয়ার মম এসো এসো প্রিয়তম, শ্বসিছে বাহির ঘর ভেজা পবনে।। কার চোখে এত জল ঝরে দিক্ প্লাবিয়া, সহিতে না পারি’ কাঁদে ‘চোখ গেল’ পাপিয়া। কাহার কাজল-আঁখি চাহি’ মোর নয়নে ঝুরেছিল একা রাতে কবে কোন্ শাওনে, আজি এ বাদল ঝড়ে সেই আঁখি মনে পড়ে, বিজলি খুঁজিছে তারে নভ-আঙনে।।
কিশোরী সাধিকা রাধিকা শ্রীমতী
বাণী
কিশোরী সাধিকা রাধিকা শ্রীমতী। চির-কিশোর আরাধিকা শ্রীমতী।। কমলা গোলোকে গোপিনী ভুলোকে, সেবিকা প্রকৃতি পরমা তপতী।। শ্যাম ভুবন কালো রাই অরুণ আলো, হরি পূজারিণী প্রেম মূর্তিমতী।। ব্রজধাম বাসিনী লীলা বিলাসিনী, শ্যাম নাম ভাষিণী বিরহ ভারতী।। শ্যাম মেঘ গলে রাই বিজলি দোলে, শ্যাম পত্র কোলে রাই ফুল আরতি।। লয়ে যাঁহার নাম হরি হন রাধা শ্যাম, সুর নর অবিরাম করে যাঁর প্রণতি।।