বন্ধু আজো মনে রে পড়ে আম কুড়ানো খেলা
বাণী
বন্ধু, আজো মনে রে পড়ে আম কুড়ানো খেলা। আম কুড়াইবার যাইতাম দুইজন নিশি-ভোরের বেলা।। জোষ্ঠি মাসের গুমোঁট রে বন্ধু আস্ত নাকো নিদ রাত্রে আস্ত নাকো নিদ্ আম-তলায় এক চোর আইস্যা কাঁট্ত প্রাণে সিঁদ্ (আর) নিদ্রা গেলে ফেল্ত সে চোর আঙিনাতে ঢেলা।। আমরা দুইজন আম কুড়াইতাম, ডাক্ত কোকিল গাছে, ভোলো যদি — বিহান বেলার সূয্যি সাক্ষী আছে, (তুমি) পায়ের কাছে আম ফেইল্যা গায়ে দিতে ঠেলা।। আমার বুকের আঁচল থাইক্যা কাইড়া নিতে আম, বন্ধু, আজও পাই নাই দাসী সেই না আমের দাম, (আজ) দাম চাইবার গিয়া দেখি তুমি দিছ মেলা।। নিশি জাইগ্যা বইস্যা আছি, জোষ্ঠি মাসের ঝড়ে সেই না গাছের তলায় বন্ধু এখনো আম পড়ে তুমি কোথায় আমি কোথায় দুইজনে একেলা।।
কোথায় গেলি মাগো আমার
বাণী
কোথায় গেলি মাগো আমার খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রেখে ক্লান্ত আমি খেলে খেলে এ সংসারে ও-মা ধুলা মেখে।। বলেছিলি সন্ধ্যা হ'লে ধুলা মুছে নিবি কোলে ও-মা ছেলেরে তুই গেলি ছ'লে পাইনে সাড়া ডেকে' ডেকে'।। এ কি খেলার পুতুল মা গো দিয়েছিলি মন ভুলাতে আধেক তাহার হারিয়ে গেছে আধেক ভেঙে আছে হাতে। এ পুতুলও লাগছে মা ভার তোর পুতুল তুই নে গো এবার এখন সন্ধ্যা হলো ও-মা সন্ধ্যা হলো নামলো আঁধার ঘুম পাড়া মা আঁচল ঢেকে।।
নিখিল ঘুমে অচেতন সহসা শুনিনু আজান
বাণী
নিখিল ঘুমে অচেতন সহসা শুনিনু আজান শুনি’ সে তকবিরের ধ্বনি আকুল হল মন-প্রাণ বাহিরে হেরিনু আসি বেহেশতী রৌশনীতে রে ছেয়েছে জমিন ও আসমান আনন্দে গাহিয়া ফেরে ফেরেশ্তা হুর গেলেমান — এলো কে, কে এলো ভুলোকে! দুনিয়া দুলিয়া উঠিল পুলকে।। তাপীর বন্ধু, পাপীর ত্রাতা, ভয়-ভীত পীড়িতের শরণ-দাতা মুকের ভাষা নিরাশার আশা, ব্যথার শান্তি, সান্ত্বনা শোকে এলো কে ভোরের আলোকে।। দরুদ পড় সবে : সাল্লে আলা, মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা। কেহ বলে, এলো মোর কম্লিওয়ালা — খোদার হাবীব কেহ কয় নিরালা মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা। কেহ বলে, আহমদ নাম মধু ঢালা — মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা। মজনুঁরও চেয়ে হল দীওয়ানা সবে, নাচে গায় নামের নেশায় ঝোঁকে।।
ও শাপ্লা ফুল নেবো না
বাণী
মেয়েঃ ও শাপ্লা ফুল নেবো না বাবলা ফুল এনে দে নইলে দেবো না বাঁশি ফিরিয়ে। ছেলেঃ খুলে বেণীর বিনুনী, খোঁপার চিরুনি হাতে দে, যাব খানিক জিরিয়ে। মেয়েঃ বন-পায়রার পালক দে কুড়িয়ে, ছেলেঃ তোর চোখের চাওয়া পায়রা দিল উড়িয়ে, দুজনেঃ মোদের ঝগড়া দেখে হালকা হাওয়া বহে ঝিরঝিরিয়ে। ছেলেঃ তোর জোড়া ভুরু-ধনুক মোর নাসিকা বাঁশি লো মেয়েঃ চাঁদের চেয়ে ভালো লাগে কালো রূপের হাসি রে তোর কালো রূপের হাসি ছেলেঃ ওই কালো চোখের হাসি। মেয়েঃ তুই যাদু করে মন দিলি দুলিয়ে দুজনেঃ মোদের কথা শুনে শিরিষ পাতা ওঠে শিরশিরিয়ে॥
সিনেমাঃ ‘অভিনয় নয়’