বাণী

আল্লাজী গো, আমি বুঝি না রে তোমার খেলা।
তাই দুঃখ পেলে ভাবি — বুঝি হানিলে হেলা।। 
কুমার যখন হাঁড়ি গড়ে, কাঁদে মাটি —
ভাবে, কেন পোড়ায় আমায় চড়িয়ে ভাটি;
ফুলদানি হয় পোড় খেয়ে সেই মাটির ঢেলা।। 
মা শিশুরে ধোয়ায় মোছায়, শিশু ভাবে —
ছাড়া পেলে, মা ফেলে সে পালিয়ে যাবে।
মোরা, দোষ করে তাই দুষি তোমায় সারা বেলা।।
আমরা তোমার বান্দা, খোদা তুমি জানো —
কেন হাসাও, কেন কাঁদাও, আঘাত হানো।
যে গড়তে জানে তাঁরই সাজে ভেঙে ফেলা।।

বাণী

ঐ জল্‌কে চলে লো কার ঝিয়ারি। 
রূপ চাপে না তার নীল শাড়ি।। 
এমন মিঠি বিজলি দিঠি শেখালে তায় কে গো? 
রূপে ডুবু ডুবু রবির রঙ-ভরা ছবির, ছোঁয়াচ লেগেছে গো। 
মন মানে না, আর কি করি ! 
চলে পিছনে ছুটে’ তারি।। 
নাচে বুলবুলি ফিঙে ঢেউয়ে নাচে ডিঙে 
মাঠে নাচে খঞ্জন; 
তার দু’টি আঁখি-তারা নেচে হতো সারা —
দেখেছে বল কোন জন? 
আঁখি নিল যে মোর মন্‌ কাড়ি’ —
ঘরে থাকিতে আর নারি লো।। 
গোলাপ বেলী যুঁই-চামেলি - কোন্‌ ফুল তারি তুল্‌ গো
তার যৌবন-নদী বয় নিরবধি ভাসায়ে দু’ কূল গো 
নিল ভাসায়ে প্রাণ আমারি 
রূপে দু’কূল–ছাপা গাঙ্‌ তারি।।

বাণী

আজি		গানে গানে ঢাক্‌ব আমার গভীর অভিমান।
		কাঁটার ঘায়ে কুসুম ক’রে ফোটাব মোর প্রাণ।।
			ভুলতে তোমার অবহেলা
			গান গেয়ে মোর কাট্‌বে বেলা,
		আঘাত যত হান্‌বে বীণায় উঠ্‌বে তত তান।।
			ছিড়লে যে ফুল মনের ভুলে
			আমি গাঁথব মালা সেই ফুলে,
(ওগো)		আস্‌বে যখন বন্ধু তোমার কর্‌ব তা’রে দান।।
(আজি)		কথায় কথায় মিলায়ে মিল
		কবি রে, তোর ভরল কি দিল্‌,
তোর		শূন্য হিয়া, শূন্য নিখিল মিল পেল না প্রাণ।।

বাণী

তৌহিদেরি বান ডেকেছে সাহারা মরুর দেশে
দুনিয়া জাহান ডুবু-ডুবু সেই স্রোতে যায় ভেসে।।
সেই জোয়ারে আমার নবী পারের তরী নিয়ে
'আয় কে যাবি পারে'-ডাকে দ্বারে দ্বারে গিয়ে
যে চায় না তারেও নেয় সে নায়ে আপনি ভালবেসে।।
পথ দেখায় সে ঈদের চাঁদের পিদিম নিয়ে হাতে
হেসে,হেসে,দাঁড় টানে চা’র আসহাব তাঁরি সাথে।
নামাজ-রোজার,ফুল-ফসলে শ্যামল হ’ল মরু
প্রেমের রসে উঠল পুরে নীরস মনের তরু
খোদার রহম এলো রে আখেরি নবীর বেশে।।

বাণী

মম প্রাণ-শতদল হোক প্রণামী-কমল (ওগো) তব চরণে
আমার এ হৃদয় নাথ হোক তন্ময় তোমারি স্বরণে তোমারি স্বরণে॥
তব পূজার বেদী হোক আমার এ মন
হোক্ আরতি-প্রদীপ মোর এ দুটি নয়ন
নাথ, লহ মোরে পায় তোমারি সেবায় জীবনে-মরণে॥
মম দুঃখে সুখে মম তৃষিত বুকে তুমি বিরাজ,
মোর সকল কাজে বীণা-বেণু সম নিশিদিন বাজো॥
মোর দেহখানি, নাথ চন্দন প্রায়
হোক্ ক্ষয় তব মন্দির-পাষাণ-শিলায়,
পাই যেন লয়, নাথ, তব সৃষ্টির রূপে বরণে॥

বাণী

(তোমায়)		যেমন ক’রে ডেকেছিল আরব মরুভূমি।
		ওগো আমার নবী প্রিয় আল্ আরবি —
		তেমনি ক’রে ডাকি যদি আস্‌বে না কি তুমি।।
		যেমন	কেঁদে’ দজলা ফোরাত নদী
			ডেকেছিল নিরবধি,
		হে মোর মরুচারী নবুয়তধারী!
		তেমনি ক’রে কাঁদি যদি আস্‌বে না কি তুমি।।
		(যেমন)	মদিনা আর হেরা পাহাড়
			জেগেছিল আশায় তোমার,
		হে হজরত মম, হে মোর প্রিয়তম!
		তেমনি ক’রে জাগি যদি আস্‌বে না কি তুমি।।
			মজলুমেরা কাবা ঘরে
			কেঁদেছিল যেমন ক’রে,
		হে আমিনা-লালা, হে মোর কম্‌লিওয়ালা!
		তেমনি ক’রে চাহি যদি আস্‌বে না কি তুমি।।