এসো বঁধূ ফিরে এসো
বাণী
এসো বঁধূ ফিরে এসো, ভোলো ভোলো অভিমান। দিব ও-চরণে ডারি’ মোর তনু মন প্রাণ।। জানি আমি অপরাধী তাই দিবানিশি কাঁদি’, নিমেষের অপরাধের কবে হবে অবসান।। ফিরে গেলে দ্বারে আসি’ বাসি কিনা ভালোবাসি, কাঁদে আজ তব দাসী — তুমি তার হৃদে ধ্যান।। সে-দিন বালিকা-বধূ শরমে মরম-মধু পি’য়াতে পারিনি বঁধূ — আজ এসে কর পান।। ফিরিয়া আসিয়া হেথা দিও দুখ দিও ব্যথা, সহে না এ নীরবতা — হে দেবতা পাষান।।
এ কি অপরূপ রূপের কুমার
বাণী
এ কি অপরূপ রূপের কুমার হেরিলাম সখি যমুনা কূলে, তার এ সুনীল লাবনি গলিয়া গলিয়া ঢলিয়া পড়িছে গগন-মূলে ॥ যেন কমল ফুটেছে সখি, সহস্র-দল রূপে-কমল ফুটেছে, রূপের সাগর মন্থন করি’ সখি চাঁদ যেন উঠছে। সখি গো — কালো সে রূপের মাঝে হয়ে যায় হারা কোটি আলো-রাধিকা-রবি, শশী, তারা, প্রেম-যমুনার তীরে সই আমি রিবধি দেখি তারে, দেখি আর চেয়ে রই। আমি এই রূপ চেয়ে থাকি সখি জনমে জনমে জীবনে মরণে এই রূপ চেয়ে থাকি। ঐ মোহন কালোর গহন কাননে হারাইয়া যাক আঁখি ॥
এসো চির-জনমের সাথি
বাণী
এসো চির-জনমের সাথি। তোমারে খুঁজেছি দূর আকাশে জ্বালায়ে চাঁদের বাতি।। খুঁজেছি প্রভাতে গোধূলি-লগনে মেঘ হয়ে আমি খুঁজেছি গগনে, ঢেকেছে ধরণী আমার কাঁদনে অসীম তিমির রাতি।। ফুল হয়ে আছে লতায় জড়ায়ে মোর অশ্রুর স্মৃতি, বেণু বনে বাজে বাদল-নিশীথে আমারি করুণ-গীতি। শত জনমের মুকুল ঝরায়ে ধরা দিতে এলে আজি মধু-বায়ে, ব’সে আছি আশা-বকুলের ছায়ে বরণের মালা গাঁথি’।।
এসো মুরলীধারী বৃন্দাবন-চারী
বাণী
এসো মুরলীধারী বৃন্দাবন-চারী গোপাল গিরিধারী শ্যাম। তেমনি যমুনা বিগলিত-করুণা কুলু কুলু কুলু স্বরে ডাকে অবিরাম।। কোথায় গোকুল-বিহারী শ্রীকৃষ্ণ চাহিয়া পথ পানে ধরণী সতৃষ্ণ, ডাকে মা যশোদায় নীলমণি আয় আয় ডেকে যায় নন্দ শ্রীদাম।। ডাকে প্রেম-সাধিকা আজো শত রাধিকা গোপ-কোঙারি, এসো নওল-কিশোর কুল-লাজ-মান-চোর ব্রজ-বিহারী। পরি’ সেই পীতধড়া, সেই বাঁকা শিখী চূড়া বাজায়ে বেণূ আরবার এসো গোঠে, খেল সেই ছায়া-বটে চরাও ধেনু কদম তমাল-ছায়ে এসো নূপুর পায়ে ললিত বঙ্কিম ঠাম।।
এলো ঐ বনান্তে পাগল বসন্ত
বাণী
এলোঐ বনান্তে পাগল বসন্ত বনে বনে মনে মনে রং সে ছড়ায় রেচঞ্চল তরুণ দুরন্ত।। বাঁশীতে বাজায় সে বিধুর পরজ বসন্তের সুর পান্ডু কপোলে জাগে রঙ নব অনুরাগে রাঙা হ’ল ধূসর দিগন্ত।। কিশলয়ে পর্ণে অশান্ত ওড়ে তার অঞ্চল প্রান্ত পলাশ কলিতে তার ফুল ধনু লঘু ভার ফুলে ফুলে হাসি অফুরন্ত।। এলোমেলো দখিনা মলয় রে প্রলাপ বকিছে বনময় রে অকারণ মন-মাঝে বিরহের বেণু বাজে জেগে ওঠে বেদনা ঘুমন্ত।।