বাণী

	ও, কুল-ভাঙ্গা নদী রে,
	আমার চোখের নীর এনেছি মিশাতে তোর নীরে।।
	যে লোনা জলের সিন্ধুতে নদী, নিতি তব আনাগোনা
	মোর চোখের জল লাগবে না ভাই তার চেয়ে বেশি লোনা।
	আমায় কাঁদাতে দেখে আসবিনে তুই রে,
	উজান বেয়ে ফিরে' নদী, উজান বেয়ে ফিরে'।।
		আমার মন বোঝে না, নদী —
তাই	বারে বারে আসি ফিরে তোর কাছে নিরবধি।
	তোরই অতল তলে ডুবিতে চাই রে,
		তুই ঠেলে দিস তীরে (ওরে)।।

বাণী

ও	বৌদি তোর কি হয়েছে চোখে কেন জল
	দাদার তরে মন বুঝি তোর হয়েছে উতল।।
তোর	দিব্যি দেখেছি স্বপনে
যেন	দাদা কথা কইতেছে তোর সনে
	দেখিস তোরা আমার স্বপন হবে না বিফল।।
তোর	কান্নার সাগরে যখন উঠেছে জোয়ার
	বৌদি লো তোর চাঁদ উঠিবার নাই রে দেরি আর।
ও	বৌদি তোর চোখের জলের টানে
	আমার দাদার সোনার তরী  আসতেছে উজানে
দেখ	বাটনা ফেলে হাসছে দিদি চল ও ঘরে চল।।

বাণী

ওগো	প্রিয়তম তুমি চ’লে গেছ আজ আমার পাওয়ার বহু দূরে।
তবু	মনের মাঝে বেণু বাজে সেই পুরানো সুরে সুরে॥
	বাজে মনের মাঝে বেণু বাজে
	প্রিয় বাজাতে যে বেণু বনের মাঝে আজো তার রেশ মনে বাজে॥
	তব কদম-মালার কেশরগুলি
	আজি ছেয়ে আছে ওগো পথের ধূলি,
	ওগো আজিকে করুণ রোদন তুলি’ বয় যমুনা ভাটি সুরে॥
	(আর উজান বয় না,)
	ওগো আজিকে আঁধার তমাল বনে, বসে আছি উদাস মনে
	ওগো তোমার দেশে চাঁদ উঠেছে আমার দেশে বাদল ঝুরে॥
	সেথা চাঁদ উঠেছে —
	ওগো শুল্কা তিথির চতুর্দশীর চাঁদ উঠেছে
	সেথা শুল্কা তিথির চতুর্দশীর চাঁদ উঠেছে
	সখি তাদের দেশে আকাশে আজ আমার দেশের চাঁদ উঠেছে।
	ওগো মোর গগনে কৃষ্ণা তিথি আমার দেশে বাদল ঝুরে॥

বাণী

(মা)	ওমা তুই আমারে ছেড়ে আছিস আমি তাই হয়েছি লক্ষ্মীছাড়া
	ও তোর কৃপা বিনা শক্তিময়ী শুকিয়ে গেল ভক্তিচারা॥
	ওমা তুই আশ্রয় দিলি না তাই, আমি যা পাই তা পথে হারাই
	তোর রসময় ভুবন আমার শ্মশান হল ওমা তারা।
	আজ আনন্দ যমুনা ফেলে এসেছি তাই যমের দ্বারে
	ওমা জীবনে যা পেলাম না তা মরণ যদি দিতে পারে।
মাগো	ওমা তত বাড়ে বুকের জ্বালা, পাই যত যশ খ্যাতির মালা
	রাজপ্রসাদে শুয়ে মাগো শান্তি কি পায় মাতৃহারা॥

বাণী

ওগো	তারি তরে মন কাঁদে হায়, যায় না যারে পাওয়া
	ফুল ফোটে না যে কাননে, কাদেঁ দখিন হাওয়া।।
যে	মায়া-মৃগ পালিয়ে বেড়ায়   
	কেন এ মন তার পিছে ধায়
যে	দ'লে গেল পায়ে আমায় কেন তাহারি পথ চাওয়া।।
যে	আমারে ভুলে হলো সুখি যায় না তারে ভোলা,
যে	ফিরিবে না আর, তারি তরে রাখি দুয়ার খোলা।
	মৌন পাষাণ যে দেবতা
	হেরার ছলে কয় না কথা
	তারি দেউল দ্বারে কেন বন্দনা গান গাওয়া।।

বাণী

		ওলো বিশাখা, ওলো ললিতে, দে এই পথের ধূলি দে।
		যে পথে শ্যামের রথ চ’লে গেছে, দে সেই পথের ধূলি দে।।
আখর	:	[ধুলি নয় ধুলি নয়, এ যে হরি-চন্দন ধূলি নয়,
		এ যে হরি-চন্দন, অঙ্গ শীতল করা।
		ওর ভাগ্য ভালো, রাধার চেয়ে ওর ভাগ্য ভালো —
		ঐ, ধূলি মাথায় তুলে দে লো।]
		ঐ পথের বুকে গেছে কৃষ্ণের রথ, সখী আমি কেন হই নাই ঐ ধূলি-পথ।
আখর	:	[বধূ, চ’লে যে যেত গো আমার, হিয়ার উপর দিয়া চ’লে যে যেত
		আমার, সকল জনম সফল হ’ত, চ’লে যে যেত গো]
		অনুরাগের রজ্জু দিয়া বাঁধিতাম সে-রথে
		নিয়ে যেতাম সে-রথ প্রেমপথে (ওলো ললিতে)
আখর	:	[নিয়ে যেতাম, অনুরাগ-রজ্জুতে বেঁধে,
		প্রেমের পথে, অনুরাগ-রজ্জুতে বেঁধে।