ওগো ফুলের মতন ফুল্ল মুখে দেখছি একি ভুল
বাণী
ওগো ফুলের মতন ফুল্ল মুখে দেখছি একি ভুল। হাসির বদল দোলে সেথায় অশ্রুকণার দুল।। রোদের দাহে বালুচরে মরা নদী কেঁদে মরে গাইতে এসে কাঁদছে ব'সে বাণ-বেঁধা বুলবুল।। ভোর-গগনে পূর্ণ চাঁদের এমনি মলিন মুখ, ঝড়ের কোলে এমনি দোলে প্রদীপ-শিখার বুক। ম্লান-মাধুরী মালার ফুলে এমনি নীরব কান্না দোলে, করুণ তুমি নির্জনের দেবীর সমতুল।।
ওরে মথুরা-বাসিনী মোরে বল্
বাণী
ওরে মথুরা-বাসিনী, মোরে বল্। কোথায় রাধার প্রাণ — ব্রজের শ্যামল।। আজও রাজ-সভা মাঝে (সে) আসে কি রাখাল-সাজে? আজও তার বাঁশি শুনে যমুনার জল হয় কি উতল।। পায়ে নূপুর কি পরে শিরে ময়ূর-পাখা, আছে শ্রীমুখে কি অলকা তিলক আঁকা। রাধা রাধা ব’লে কি গো কাঁদে সেই ময়া-মৃগ? নারায়ণ হয়েছে সে তোদের মথুরা এসে মোদের চপল।।
ও-রে শাদা মেঘ
বাণী
ও-রে শাদা মেঘ! তোর পাখা নাই তবু কেমনে ভাসিয়া বেড়াস্ শান্ত শারদ-গগনে।। আমি তোর মত লঘু হ’ব আমি ধূলির ঊর্দ্ধে রব, আমি দেখিয়া গৌরী-শঙ্কর-শোভা গলিয়া পড়িব চরণে।। আমি নিশির কপোলে শিশিরের স্বেদ হেরিব, আমি রংধনু হ’য়ে চাঁদের চাহনি ঘেরিব। সে কি নিশীথে বাঁশিতে ডাকে তাই সে কি জানে, মেঘ হতে কেন চাই, যদি আমার বুকে দামিনী পায় — সে নবীন নীরদ-বরণে।।
ওগো মুর্শিদ পীর বলো বলো
বাণী
ওগো মুর্শিদ পীর! বলো বলো রসুল কোথায় থাকে। কোথায় গেলে কেমন ক’রে দেখতে পাব তাঁকে।। বেহেশ্ত — ’পারে দূর আকাশে তাঁহার আসন খোদার পাশে, সে এতই প্রিয়, আপনি খোদা লুকিয়ে তারে রাখে।। কোরান পড়ি হাদিস শুনি, সাধ মেটে না তাহে, আতর পেয়ে মন যে আমার ফুল দেখতে চাহে। সবাই খুশি ঈদের চাঁদে আমার কেন পরান কাঁদে, দেখ্ব কখন আমার ঈদের চাঁদ — মোস্তফাকে।।