ওগো পূজার থালায় আছে আমার ব্যথার শতদল
বাণী
ওগো পূজার থালায় আছে আমার ব্যথার শতদল। হে দেবতা রাখ সেথা তোমার পদতল।। নিবেদনের কুসুম সহ লহ হে নাথ, আমায় লহ যে আগুনে আমায় দহ সেই আগুনে আরতি-দীপ জ্বেলেছি উজল।। যে নয়নের জ্যোতি নিলে কাঁদিয়ে পলে পলে, মঙ্গল-ঘট ভরেছি নাথ, সেই নয়নের জলে। যে চরণে করো আঘাত প্রণাম লহ সেই পায়ে নাথ রিক্ত তুমি করলে যে হাত, হে দেবতা! লও সে হাতে অর্ঘ্য-সুমঙ্গল।।
ওরে আলয়ে আজ মহালয়া
বাণী
ওরে আলয়ে আজ মহালয়া মা এসেছে ঘর। তোরা উলু দে রে, শঙ্খ বাজা, প্রদীপ তুলে ধর্।। (এলো মা, আমার মা) মাকে ভুলে ছিলাম ওরে কাজের মাঝে মায়ার ঘোরে, আজ বরষ পরে মাকে ডাকার মিলল অবসর।। মা ছিল না ব’লে সবাই গেছে পায়ে দ’লে, মার খেয়েছি যত তত ডেকেছি মা ব’লে। মা এসেছে ছুটে রে তাই ভয় নাইরে আর ভয় নাই, মা অভয়া এনেছে রে দশ হাতে তাঁর বর।।
ওগো চৈতী রাতের চাঁদ যেয়ো না
বাণী
ওগো চৈতী রাতের চাঁদ, যেয়ো না সাধ না মিটিতে যেতে চেয়ো না।। হের তরুলতায় কত আশার মুকুল, ওগো মাধবী-চাঁদ আজো ফোটেনি ফুল, তুমি যেয়ো না, প্রিয় যেয়ো না — ঝরা মুকুলে বনবীথি ছেয়ো না তুমি যেয়ো না, প্রিয় যেয়ো না, ওগো যেয়ো না।। আজো ফুলের নেশায় পাগল দখিন হাওয়া আজো বোলেনি পাপিয়া 'পিয়া পিয়া' গাওয়া তুমি এখনি বিদায়-গীতি গেয়ো না তুমি যেয়ো না, প্রিয় যেয়ো না।।
ও মা বক্ষে ধরেন শিব যে চরণ
বাণী
ও মা বক্ষে ধরেন শিব যে চরণ শরণ নিলাম সেই চরণে জীবন আমার ধন্য হলো ভয় নাই মা আর মরণে।। যা ছিল মা মোর ত্রিলোকে তোকে দিলাম, দিলাম তোকে আমার ব’লে রইল শুধু তোর চরণের ধ্যান, এ মনে।। তোর কেশ নাকি মা মুক্ত হলো ছুঁয়ে তোর ওই রাঙা চরণ মুক্তকেশী, মুক্ত হবো ওই চরণে নিয়ে শরণ। তোর চরণ-চিহ্ন বক্ষে এঁকে বিশ্বজনে বলবো ডেকে — মা ‘দেখে যা কোন্ রত্ন রাজে আমার হৃদয়-সিংহাসনে’।।