শ্রী রঘুপতি রাম লহ প্রণাম
বাণী
দ্বৈত : শ্রী রঘুপতি রাম লহ প্রণাম শ্রী রঘুপতি রাম নব দূর্বাদল শ্যাম অভিরাম। স্ত্রী : সুরাসুর কিন্নর যোগী ঋষি নর পুরুষ : চরাচর যে নাম জপে অবিরাম॥ স্ত্রী : সরযূ নদীর জল ছল ছল কান্তি পুরুষ : ঢল ঢল অঙ্গ ললাটে প্রশান্তি স্ত্রী : নাম স্মরণে টোটে শোক তাপ ভ্রান্তি দ্বৈত : পদারবিন্দে মূরছিত কোটি কাম॥ স্ত্রী : জানকী বল্লভ সুঠাম অঙ্গ পুরুষ : পরশে নিমেষে হয় হরধনু ভঙ্গ দ্বৈত : রাবণ ভয় হরে যাঁহার নাম॥ স্ত্রী : পিতৃ সত্যব্রত পালনকারী পুরুষ : চির বল্কলধারী কাননচারী দ্বৈত : প্রজারঞ্জন লাগি সর্বসুখ ত্যাগী যে নামে ধরা হল আনন্দধাম॥
শ্যামের সাথে চল সখি খেলি সবে হোরি
বাণী
শ্যামের সাথে চল সখি খেলি সবে হোরি। রঙ নে, রঙ দে, মদির আনন্দে, আয় লো বৃন্দাবনী গোরী।। আয় চপল যৌবন-মদে মাতি অল্প-বয়সী কিশোরী।। রঙ্গিলা গালে তাম্বুল-রাঙা ঠোঁটে হিঙ্গুল রঙ লহ ভরি; ভুরু-ভঙ্গিমা সাথে রঙ্গিম হাসি পড়ুক মুহু মুহু ঝরি’।। আগুন-রাঙা ফুলে ফাগুন লাগে লাল, কৃষ্ণচূড়ার পাশে অশোক গালে-গাল। আকুল করে ডাকি’ বকুল বনের পাখি, যমুনার জল লাল হ’ল আজ আবির, ফাগের রঙে ভরি।।১
১. শ্যাম অঙ্গ আজি রঙে রঙে রাঙা হয়ে কি শোভা ধরেছে মরি! মরি!
শুক বলে মোর গোঁফের রূপে ভোলে গোপনারী
বাণী
শুক বলে, ‘মোর গোঁফের রূপে ভোলে গোপনারী’ সারী বলে, ‘গোঁফের বড়াই আছে বলে দাড়ি (ও) আমার গোঁফ পিয়ারি।।’ শুক বলে, ‘মোর বাঁকা গোঁফে দেখে ভুবন ভোলে’ সারী বলে, ‘ঝুলন রাসের দোলনা যে দোলে (ও) আমার দাড়ির আশে।’ শুক বলে, ‘গোঁফ ওষ্ঠে থাকেন গোষ্ঠে যেন কালা’ সারী বলে, ‘আমার দাড়ি কুলের কুলবালা (ও) চলেন হেলে দুলে।’ শুক বলে, ‘বীর শিকারিরা এই গোঁফে দেয় চাড়া’ সারী বলে, ‘মুনি ঋষির দেখবে দাড়ি ন্যাড়া (ও) কিবা বাহার তোলে।’ শুক বলে, ‘মোর ত্রিভঙ্গিম ঠোঁট বিহারী গোঁফ’ সারী বলে, ‘তমাল কানন আমার দাঁড়ির ঝোপ (আ, ও) দখিন হাওয়ায় দোলে।’ শুক বলে, ‘গোঁফ খুরির দধি চুরি করে খায়’ সারী বলে, ‘দাড়ি মেদীর রং লেগেছে গায় (ও, আচ্ছাচ্ছা) যেন হোরির আবির।’ সারী বলে, ‘দাড়ি বড় গোঁফের গরব মিছে’ শুক বলে, ‘দাড়ি যতই বাড়ুক তবু গোঁফের নীচে (ও) সারী টিকবে বল’।।
শঙ্কর অঙ্গলীনা যোগ মায়া
বাণী
শঙ্কর অঙ্গলীনা যোগ মায়া শঙ্করী শিবানী। বালিকা-সম লীলাময়ী নীল-উৎপল-পাণি।। সজল-কাজল-ঝর্না মুকত বেণী অপর্ণা, তিমির বিভাবরী স্নিগ্ধা শ্যামা কালিকা ভবানী।। প্রলয় ছন্দময়ী চন্ডী শব্দ-নূপুর-চরণা, শাম্ভবী শিব-সীমন্তিনী শঙ্করাভরণা। অম্বিকা দুঃখহারিণী শরণাগত-তারিণী, জগদ্ধাত্রী শান্তিদাত্রী প্রসীদ মা ঈশানী।।
শত জনম আঁধারে আলোকে
বাণী
শত জনম আঁধারে আলোকে তারকা-গ্রহে লোকে লোকে প্রিয়তম! খুঁজিয়া ফিরেছি তোমারে।। স্বপন হয়ে রয়েছ নয়নে তপন হ’য়ে হৃদয়-গগনে, হেরিয়া তোমারে বিরহ-যমুনা, প্রিয়তম! দুলিয়া উঠে বারে বারে।। হে লীলা-কিশোর! ডেকেছে আমারে তোমার বাঁশি, যুগে যুগে তাই তীর্থ-পথিক ফিরি উদাসী। দেখা দাও, তবু ধরা নাহি দাও ভালোবাস ব’লে তাই কি কাঁদাও, তোমারি শুভ্র পূজার-পুষ্প প্রিয়তম! ফুটিয়া ওঠে অশ্রুধারে।।