শাওন আসিল ফিরে
বাণী
শাওন আসিল ফিরে সে ফিরে এল না বরষা ফুরায়ে গেল আশা তবু গেল না। ধানী রং ঘাগরি, মেঘ–রং ওড়না পরিতে আমারে মাগো, অনুরোধ ক’রো না কাজরির কাজল মেঘ পথ পেল খুঁজিয়া সে কি ফেরার পথ পেল না মা, পেল না।। আমার বিদেশিরে খুঁজিতে অনুক্ষণ বুনো হাঁসের পাখার মত উড়ু উড়ু করে মন। অথৈ জলে মাগো, মাঠ–ঘাট থৈ থৈ আমার হিয়ার আগুন নিভিল কই? কদম–কেশর বলে, ‘কোথা তোর কিশোর’, চম্পাডালে ঝুলে শূন্য দোলনা।।
শ্রী রঘুপতি রাম লহ প্রণাম
বাণী
দ্বৈত : শ্রী রঘুপতি রাম লহ প্রণাম শ্রী রঘুপতি রাম নব দূর্বাদল শ্যাম অভিরাম। স্ত্রী : সুরাসুর কিন্নর যোগী ঋষি নর পুরুষ : চরাচর যে নাম জপে অবিরাম॥ স্ত্রী : সরযূ নদীর জল ছল ছল কান্তি পুরুষ : ঢল ঢল অঙ্গ ললাটে প্রশান্তি স্ত্রী : নাম স্মরণে টোটে শোক তাপ ভ্রান্তি দ্বৈত : পদারবিন্দে মূরছিত কোটি কাম॥ স্ত্রী : জানকী বল্লভ সুঠাম অঙ্গ পুরুষ : পরশে নিমেষে হয় হরধনু ভঙ্গ দ্বৈত : রাবণ ভয় হরে যাঁহার নাম॥ স্ত্রী : পিতৃ সত্যব্রত পালনকারী পুরুষ : চির বল্কলধারী কাননচারী দ্বৈত : প্রজারঞ্জন লাগি সর্বসুখ ত্যাগী যে নামে ধরা হল আনন্দধাম॥
শঙ্কাশূন্য লক্ষ কন্ঠে বাজিছে শঙ্খ ঐ
বাণী
শঙ্কাশূন্য লক্ষ কন্ঠে বাজিছে শঙ্খ ঐ পুণ্য-চিত্ত মৃত্যু তীর্থ-পথের যাত্রী কই।। আগে জাগে বাধা ও ভয় ও ভয়ে ভীত নয় হৃদয় জানি মোরা হবই হব জয়ী।। জাগায়ে প্রাণে প্রানে নব আশা, ভাষাহীন মুখে ভাষা হে নবীন আন নব পথের দিশা নিশি শেষের ঊষা কেহ না দেশে মানুষ তোমরা বৈ।। স্বর্গ রচিয়া মৃত্যুহীন চল ওরে কাঁচা চল নবীন দৃপ্ত চরণে নৃত্য দোল জাগায়ে মরুতে রে বেদুইন! 'নাই নিশি নাই' জাগে শুভ্র দীপ্ত দিন। নাই ওরে ভয় নাই জাগে ঊর্দ্ধে দেবী জননী শক্তিময়ী।।
শুভ্র সমুজ্জ্বল হে চির–নির্মল
বাণী
শুভ্র সমুজ্জ্বল, হে চির–নির্মল শান্ত অচঞ্চল ধ্রুব–জ্যোতি অশান্ত এ চিত কর হে সমাহিত সদা আনন্দিত রাখো মতি।। দুঃখ–শোক সহি অসীম সাহসে অটল রহি যেন সম্মানে যশে তোমার ধ্যানের আনন্দ–রসে নিমগ্ন রহি হে বিশ্বপতি।। মন যেন না টলে খল কোলাহলে, হে রাজ–রাজ! অন্তরে তুমি নাথ সতত বিরাজ, হে রাজ–রাজ! বহে তব ত্রিলোক ব্যাপিয়া, হে গুণী, ওঙ্কার–সংগীত–সুর–সুরধুনী, হে মহামৌনী, যেন সদা শুনি সে সুরে তোমার নীরব আরতি।।