বাণী

শ্রীকৃষ্ণ নাম মোর জপ-মলা নিশিদিন শ্রীকৃষ্ণ নাম মোর ধ্যান।
শ্রীকৃষ্ণ বসন শ্রীকৃষ্ণ ভূষণ ধরম করম মোর জ্ঞান।।
শয়নে স্বপনে ঘুমে জাগরণে বিজড়িত শ্রীকৃষ্ণ নাম (মোর)
কৃষ্ণ আত্মা মম কৃষ্ণ প্রিয়তম ওই নাম দেহ মন প্রাণ।।
কৃষ্ণ নয়ন-ধার কৃষ্ণ গলার হার এ হৃদয় তাঁরি ব্রজধাম
ঐ নাম-কলঙ্ক ললাটে আঁকিয়া গো ত্যাজিয়াছি লাজ কুল মান।।

বাণী

শ্মশান-কালীর নাম শুনে রে ভয় কে পায়।
মা যে আমার শবের মাঝে শিব জাগায়।।
আনন্দেরই নন্দিনী সে শান্তি সুধা কণ্ঠ বিষে
মায়ের চরণ শোভে অরুণ আলোর লাল জবায়।।
চার হাতে মা'র চার যুগেরই খঞ্জনী,
নৃত্য-তালে নিত্য ওঠে রনঝণি'।
মা পায় না ধ্যানে যোগীন্দ্র সেই যোগমায়ায়।। 

বাণী

শত জনম আঁধারে আলোকে তারকা-গ্রহে লোকে লোকে
প্রিয়তম! খুঁজিয়া ফিরেছি তোমারে।।
	স্বপন হয়ে রয়েছ নয়নে
	তপন হ’য়ে হৃদয়-গগনে,
হেরিয়া তোমারে বিরহ-যমুনা, প্রিয়তম! দুলিয়া উঠে বারে বারে।।
হে লীলা-কিশোর! ডেকেছে আমারে তোমার বাঁশি,
যুগে যুগে তাই তীর্থ-পথিক ফিরি উদাসী।
	দেখা দাও, তবু ধরা নাহি দাও
	ভালোবাস ব’লে তাই কি কাঁদাও,
তোমারি শুভ্র পূজার-পুষ্প প্রিয়তম! ফুটিয়া ওঠে অশ্রুধারে।।

বাণী

শোক দিয়েছ তুমি হে নাথ তুমি এ প্রাণে শান্তি দাও।
দুখ্ দিয়ে কাঁদালে যদি তুমি হে নাথ সে দুখ ভোলাও।।
যে হাত দিয়ে হানলে আঘাত
তুমিঅশ্রু মোছাও সেই হাতে নাথ
বুকের মানিক হ’রলে যা’র —
	তারে তোমার শীতল বক্ষে নাও।।
তোমার যে চরণ প্রলয় ঘটায়
সেই চরণ কমল ফোটায়
শূন্য করলে তুমি যে বুক
	সেথা তুমি এসে বুক জুড়াও।।

বাণী

শুভ্র সমুজ্জ্বল, হে চির–নির্মল শান্ত অচঞ্চল ধ্রুব–জ্যোতি
অশান্ত এ চিত কর হে সমাহিত সদা আনন্দিত রাখো মতি।।
দুঃখ–শোক সহি অসীম সাহসে
অটল রহি যেন সম্মানে যশে
তোমার ধ্যানের আনন্দ–রসে
	নিমগ্ন রহি হে বিশ্বপতি।।
মন যেন না টলে খল কোলাহলে, হে রাজ–রাজ!
অন্তরে তুমি নাথ সতত বিরাজ, হে রাজ–রাজ!
বহে তব ত্রিলোক ব্যাপিয়া, হে গুণী,
ওঙ্কার–সংগীত–সুর–সুরধুনী,
হে মহামৌনী, যেন সদা শুনি
	সে সুরে তোমার নীরব আরতি।।

বাণী

শিউলি ফুলের মালা দোলে শারদ-রাতের বুকে ঐ
এমন রাতে একলা জাগি সাথে জাগার সাথি কই।
	বকুল বনে এক্‌লা পাখি,
	আকুল হ’ল ডাকি’ ডাকি’,
আমার প্রাণ থাকি’ থাকি’ তেমনি কেঁদে ওঠে সই।।
কবরীতে করবী ফুল পরিয়া প্রেমের গরবিনী
ঘুমায় বঁধু-বাহু পাশে, ঝিমায় দ্বারে নিশীথিনী।
ডাকে আমায় দূরের বাঁশি কেমনে আজ ঘরে রই।।

১. ডেকে, ২. আর