Image

বর্ণানুক্রমে

নোটিশ বোর্ড

জনপ্রিয়

নজরুলগীতির নতুন মোবাইল অ্যাপ প্রকাশ করা হয়েছে। গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। ইনস্টল করতে ক্লিক করুন

নজরুলগীতির নতুন মোবাইল অ্যাপ প্রকাশ করা হয়েছে। গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। ইনস্টল করতে ক্লিক করুন

নজরুলগীতির নতুন মোবাইল অ্যাপ প্রকাশ করা হয়েছে। গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। ইনস্টল করতে ক্লিক করুন

শেষ হ’ল মোর এ জীবনে

বাণী

শেষ হ’ল মোর এ জীবনে ফুল ফোটাবার পালা।
ওগো মরণ, অর্ঘ্য লহ সেই কুসুমের ডালা।।
	কাটলো কীটে ঝরলো যে-ফুল
	শুকালো যে আশার মুকুল,
তাই দিয়ে হে মরণ তোমার গেঁথেছি আজ মালা।।
সুন্দর এই ধরণীতে কতই ছিল সাধ বাঁচিতে,
হঠাৎ তোমার বাজলো বেণু বিদায়-করুণ ভৈরবীতে।
	তোমার আঁধার-শান্ত কোলে
	শ্রান্ত তনু পড়ুক ঢ’লে,
আর সহে না কুসুম-বিহীন কন্টকের জ্বালা।।

শোন্ ও-সন্ধ্যা-মালতী বালিকা তপতী

বাণী

শোন্ 	ও-সন্ধ্যা-মালতী, বালিকা তপতী
	বেলা শেষের বাঁশি বাজে, বাজে।
	শোনো মাধবী চাঁদের মধুর মিনতি
	উদাস আকাশ মাঝে।।
তব	মৌন ব্রত ভাঙ্গো কও কথা কও
মোর	নৃত্য আরতির সঙ্গিনী হও,
	মাধবী হেনা হের এলো বাহিরে —
	রসরাজে হেরি’ রাস-নৃত্যের সাজে।।
তুমি	যার লাগি’ সারাদিন, বিরহ ধ্যান-লীন একাকিনী কুঞ্জে।
	সুন্দর দাঁড়ায়ে তব দ্বারে আঁধারে
	মঞ্জরি-দীপ জ্বালো ডাকো তারে,
	বুকের চন্দন-সুরভি ঢালো —
	পাতার আঁচলে মুখ ঢেকো না লাজে।।

শ্যামের সাথে চল সখি খেলি সবে হোরি

বাণী

শ্যামের সাথে চল সখি খেলি সবে হোরি।
রঙ নে, রঙ দে, মদির আনন্দে, আয় লো বৃন্দাবনী গোরী।।
আয় চপল যৌবন-মদে মাতি অল্প-বয়সী কিশোরী।।
রঙ্গিলা গালে তাম্বুল-রাঙা ঠোঁটে হিঙ্গুল রঙ লহ ভরি;
ভুরু-ভঙ্গিমা সাথে রঙ্গিম হাসি পড়ুক মুহু মুহু ঝরি’।।
আগুন-রাঙা ফুলে ফাগুন লাগে লাল,
কৃষ্ণচূড়ার পাশে অশোক গালে-গাল।
আকুল করে ডাকি’ বকুল বনের পাখি,
যমুনার জল লাল হ’ল আজ আবির, ফাগের রঙে ভরি।।

১. শ্যাম অঙ্গ আজি রঙে রঙে রাঙা হয়ে কি শোভা ধরেছে মরি! মরি!

শ্যামে হারায়েছি বলে কাঁদি না বিশাখা

বাণী

শ্যামে হারায়েছি বলে কাঁদি না বিশাখা হারায়েছি শ্যামের হৃদয়
আমি তারি তরে কাঁদি গো সেই নিদয়ের তরে নয়
তার হৃদয়ের তরে কাঁদি গো হারায়েছি শ্যামের হৃদয়।
যে হৃদয় ছিল একা গোপিকার রাধিকার কুবুজা করেছে তারে জয়, সখি গো
কুবুজা তারে কু বুঝায়েছে
যে রাধা ছাড়া জানত না সই কুবুজা তারে কু বুঝায়েছে
কুবুজা করেছে তারে জয়।
কি হবে মথুরা গিয়া, হেরি সে হৃদয়হীন পাষাণ দেবতায়
সে কিছুই দেবে না, দেবতাই বটে গো সে দেবতাই বটে গো
পাষাণ খুঁজে না রাধা তার প্রিয় আনন্দঘন শ্যামরায়
তোরা যেতে চাস যা লো —
ঠাকুর দেখিতে তোরা যেতে চাস যা লো, সখি গো
ধরম-করম মম তনু-মন-যৌবন সঁপিনু চরণে যার
সে পর-পুরুষ, হ’ল আজি অপরার পুরুষ স্বভাব ভ্রমবার।
সে ভ্রমরাই সমতুল ফুলে ফুলে ভ্রমে সে ভ্রমরাই সমতুল
তারে, দেখলে ভ্রমে জাতিকুল, ভ্রমরাই সমতুল পুরুষ স্বভাব ভ্রমরার
যা’র হরি ছাড়া বোধ নাই প্রবোধ দিস্‌নে তায়, সজনী
সবারই পোহাবে নিশি, পোহাবে না রাধারই এ আঁধার রজনী॥

শুক বলে মোর গোঁফের রূপে ভোলে গোপনারী

বাণী

শুক বলে, ‘মোর গোঁফের রূপে ভোলে গোপনারী’
সারী বলে, ‘গোঁফের বড়াই আছে বলে দাড়ি
		(ও) আমার গোঁফ পিয়ারি।।’
শুক বলে, ‘মোর বাঁকা গোঁফে দেখে ভুবন ভোলে’
সারী বলে, ‘ঝুলন রাসের দোলনা যে দোলে
		(ও) আমার দাড়ির আশে।’
শুক বলে, ‘গোঁফ ওষ্ঠে থাকেন গোষ্ঠে যেন কালা’
সারী বলে, ‘আমার দাড়ি কুলের কুলবালা
		(ও) চলেন হেলে দুলে।’
শুক বলে, ‘বীর শিকারিরা এই গোঁফে দেয় চাড়া’
সারী বলে, ‘মুনি ঋষির দেখবে দাড়ি ন্যাড়া
		(ও) কিবা বাহার তোলে।’
শুক বলে, ‘মোর ত্রিভঙ্গিম ঠোঁট বিহারী গোঁফ’
সারী বলে, ‘তমাল কানন আমার দাঁড়ির ঝোপ
		(আ, ও) দখিন হাওয়ায় দোলে।’
শুক বলে, ‘গোঁফ খুরির দধি চুরি করে খায়’
সারী বলে, ‘দাড়ি মেদীর রং লেগেছে গায়
		(ও, আচ্ছাচ্ছা) যেন হোরির আবির।’
সারী বলে, ‘দাড়ি বড় গোঁফের গরব মিছে’
শুক বলে, ‘দাড়ি যতই বাড়ুক তবু গোঁফের নীচে
		(ও) সারী টিকবে বল’।।

শত জনম আঁধারে আলোকে

বাণী

শত জনম আঁধারে আলোকে তারকা-গ্রহে লোকে লোকে
প্রিয়তম! খুঁজিয়া ফিরেছি তোমারে।।
	স্বপন হয়ে রয়েছ নয়নে
	তপন হ’য়ে হৃদয়-গগনে,
হেরিয়া তোমারে বিরহ-যমুনা, প্রিয়তম! দুলিয়া উঠে বারে বারে।।
হে লীলা-কিশোর! ডেকেছে আমারে তোমার বাঁশি,
যুগে যুগে তাই তীর্থ-পথিক ফিরি উদাসী।
	দেখা দাও, তবু ধরা নাহি দাও
	ভালোবাস ব’লে তাই কি কাঁদাও,
তোমারি শুভ্র পূজার-পুষ্প প্রিয়তম! ফুটিয়া ওঠে অশ্রুধারে।।

Nazrulgeeti.org is the largest portal in the world about Nazrulgeeti. Anything and everything about Nazrulgeeti will be found in this portal. All lyrics, used raag and taal, audio/video, swaralipi and unknown stories behind the song, everything will be available here. The collection is growing every day. Be with us and help spread Nazrulgeeti worldwide.

Developed, Owned and Maintained by Mamunur Rahman Khan