বাণী

যেয়ো না যেয়ো না মদিনা-দুলাল হয়নি যাবার বেলা।
সংসার-পাথারে, আজো দোলে পাপের ভেলা।।
মেটেনি তোমায় দেখার পিয়াসা
মেটেনি কদম জিয়ারত আশা
হযরত, এই জমেছে প্রথম দীন-ই-ইসলাম মেলা।।
ছড়ায়ে পড়েনি তোমার কালাম আজিও সকল দেশে,
ফিরিয়া আসেনি সিপাহীরা তব আজও বিজয়ীর বেশে।
দিনের বাদশা চাও ফিরে চাও
শোক-দুর্দিনে বেদনা ভোলাও
গুনাহ্‌গার এই উম্মতে তব হানিও না অবহেলা।।

বৈতালিক

বাণী

যাও মেঘদূত, দিও প্রিয়ার হাতে
আমার বিরহ–লিপি লেখা কেয়া পাতে।।
আমার প্রিয়ার দিরঘ নিশাসে
থির হয়ে আছে মেঘ যে–দেশেরই আকাশে
আমার প্রিয়ার ম্লান মুখ হেরি’
ওঠে না চাঁদ আর যে–দেশে রাতে।।
পাইবে যে–দেশে কুন্তল–সুরভি বকুল ফুলে
আমার প্রিয়া কাঁদে এলায়ে কেশ সেই মেঘনা–কূলে।
স্বর্ণলতার সম যার ক্ষীণ করে
বারে বারে কঙ্কণ চুড়ি খুলে পড়ে
মুকুল’ বয়সে যথা বরষার ফুল–দল
বেদনায় মুরছিয়া আছে আঙিনাতে।।

বাণী

যাহা কিছু মম আছে প্রিয়তম সকলি নিয়ো হে স্বামী
যত সাধ আশা প্রীতি ভালোবাসা সঁপিনু চরণে আমি॥
	ধ’রে যা’রে রাখি আমার বলিয়া
	সহসা কাঁদায়ে যায় সে চলিয়া
অনিমেষ, আঁখি তুমি ধ্রুবতারা জাগো দিবসযামী॥
	মায়ারি ছলনায় পুতুল খেলায়
	ভুলাইয়া প্রভু রেখেছিলে আমায়
ভুলেছি সে খেলা আজি অবেলায় তোমারই দুয়ারে থামি॥

বাণী

যেদিন		রোজ হাশরে করতে বিচার তুমি হবে কাজী
		সেদিন তোমার দিদার আমি পাব কি আল্লাজী।।
		সেদিন নাকি তোমার ভীষণ কাহ্‌হার রূপ দেখে
		পীর পয়গম্বর কাঁদবে ভয়ে ‘ইয়া নফসী’ ডেকে;
		সেই সুদিনের আশায় আমি নাচি এখন থেকে।
আমি		তোমায় দেখে হাজারো বার দোজখ যেতে রাজী।
আল্লাহ 		তোমায় দেখে হাজারো বার দোজখ যেতে রাজি।।
		যেরূপে হোক বারেক যদি দেখে তোমায় কেহ
		দোজখ্‌ কি আর ছুঁতে পারে পবিত্র তাঁর দেহ।
সে 		হোক না কেন হাজার পাপী হোক না বে-নামাজী।।
		ইয়া আল্লাহ, তোমার দয়া কত তাই দেখাবে ব’লে
		রোজ-হাশরে দেখা দেবে বিচার করার ছলে, —
		প্রেমিক বিনে কে বুঝিবে তোমার এ কারসাজি।।

বাণী

		যেদিন লব বিদায় ধরা ছাড়ি প্রিয়ে।
		ধুয়ো ‘লাশ’ আমার লাল পানি দিয়ে।।
শেয়র:	শারাবী জমশেদী গজল ‘জানাজায়’ গাহিও আমার
		দিবে গোর খুঁড়িয়া মাটি খারারী ঐ শারাব-খানার!
		‘রোজ-কিয়ামতে’ তাজা উঠব জিয়ে।।
শেয়র:	এমনি পিইব শারাব ভেসে যাব তাহার স্রোতে,
		উঠিবে খুশবু শারাবের আমার ঐ গোরের পার হতে;
		টলি’ পড়বে পথিক সে নেশায় ঝিমিয়ে।।

বাণী

(তুমি)	যে-হার দিলে ভালোবেসে সে-হার আমার হ’ল ফাঁসি।
(প্রিয়)		সেই হার আজ বক্ষে চেপে আকুল নয়ন-জলে ভাসি।।
			তুমি জান অন্তর্যামী
			দান তো তোমার চাইনি আমি,
		তোমায় শুধু চেয়েছিলাম১ সাধ ছিল মোর হ’তে দাসী।।
		দুখের মালা কেড়ে নিয়ে কেন দিলে মতির মালা,
		মালায় শীতল হবে কি নাথ! শূন্য আমার বুকের জ্বালা?
		(মোরে) রেখো না আর সোনার রথে
			ডাকো তোমার তীর্থ-পথে,
(আমার)	সুখের ঘরে আগুন জ্বালো শোনাও বাঁশি সর্বনাশী।।

১. চেয়েছিলাম তোমায় স্বামী