সই পলাশ-বনে রঙ ছড়ালো কে
বাণী
সই,পলাশ-বনে রঙ ছড়ালো কে? সেই রঙে রঙিন মানুষটিরে কাছে ডেকে দে,লো। সে ফাগুন জাগায় আগুন লাগায়, স্বপন ভাঙায় হৃদয় রাঙায় রে, তা'রে ধরতে গেলে পালিয়ে সে যায় রঙ ছুঁড়ে চোখে।। সে ভোরের বেলায় ভ্রমর হয়ে পদ্মবনে কাঁদে তারা বাঁকা ধনুক যায় দেখা ঐ সাঁঝ-আকাশের চাঁদে। সেই গভীর রাতে আবির হাতে রঙ খেলে ফুল-পরীর সাথে লো তার রঙিন সিঁথি দেখি প্রজাপতির পালকে।।
বিদেশিনী বিদেশিনী চিনি চিনি
বাণী
বিদেশিনী বিদেশিনী চিনি চিনি ঐ চরণের নূপুর রিনিঝিনি॥ দীপ জেগে ওঠে পাথার জলে তোমার চরণ-ছন্দে, নাচে গাঙচিল সিন্ধু-কপোত তোমারি সুরে আনন্দে। মুকুতা কাঁদিছে হার্ হ’তে ওগো তোমার বেণীর বন্ধে। মলয়ে শুনেছি তোমার বলয় চুড়ির রিনিঠিনি॥ সাগর-সলিল হয়েছে সুনীল তোমার তনুর বর্ণে, তোমার আঁখির আলো ঝলমল দেবদারু তরু-পর্ণে। অস্ত-তপন হয়েছে রঙিন তোমার হাসির স্বর্ণে শঙ্খ-ধবল বেলাভূমে খেল সাগর-নটিনী॥
কাণ্ডারি গো কর কর পার
বাণী
কাণ্ডারি গো কর কর পার এই অকূল ভব-পারাবার। তোমার চরণ-তরী বিনা, প্রভু পারের আশা নাহি আর।। পাপের তাপের ঝড় তুফানে শান্তি নাহি আমার প্রাণে। আমি যেদিকে চাই দেখি কেবল নিরাশারি অন্ধকার।। দিন থাকতে আমার মতো কেউ নাহি সম্ভাষে, হে প্রভু তোমায় কেউ নাহি সম্ভাষে দিন ফুরালে খাটে শুয়ে এই ঘাটে সবাই আসে। লয়ে তোমারি নামের কড়ি সাধু পেল চরন-তরী সে কড়ি নাই যে কাঙ্গালের হও হে দীনবন্ধু তার॥
আমি মদিনা মহারাজার মেয়ে
বাণী
আমি মদিনা মহারাজার মেয়ে সকলের জানা আছে। নৌজোয়ান! তুমি কার ছেলে তুমি কেন এলে মোর কাছে।। আমি গান গাইতে জানি তুমি কি গান লিখতে জান? তাহলে তুমি বাড়ি গিয়ে আমার তরে অনেক গান লিখে আন। তাহলে তোমায় মালা গেঁথে দিব — মোর গুল বাগানে অনেক ফুল ফুটেছে ফুলের গাছে।। তুমি মহারাজার, বাদশার ছেলে হও তাহলে আমার ঘরে এসে কথা কও, তব ভালো নাম কি হে কবি তাহলে আঁকব আমি তোমার ছবি, আমি পর্দানশীন কুমারী, মোরে এখনো কেউ নাহি যাচে।।
নাট্যগীতি: ‘মদিনা’