কত দূরে তুমি ওগো আঁধারের সাথি
বাণী
কত দূরে তুমি, ওগো আঁধারের সাথি। হাত ধর মোর নিভিয়া গিয়াছে বাতি।। চলিতে চলিতে তোমার তীর্থ-পথে হারায়ে গিয়াছি অন্ধকারের স্রোতে, এসে তু’লে লও তোমার সোনার রথে — (লহ) প্রভাতের তীরে, শেষ হয় যথা রাতি।। যে ধ্রুব-তারার পথ দেখাইয়া নীরবে চলেছ তুমি, সে-পথ ভুলিয়া আসিলাম মায়া-তৃষ্ণার মরুভূমি। সাড়া নাহি পাই আর আজ ডেকে ডেকে কাঁদিছ কি তুমি মোরে সাথে নাহি দেখে? হয়ত ফিরিবে অমৃতের তীর থেকে — সেই আশে আছি পথ পানে আঁখি-পাতি’।।
ডেকে ডেকে কেন তারে ভাঙালি ঘুমের ঘোর
বাণী
ডেকে ডেকে কেন তারে ভাঙালি ঘুমের ঘোর কেন ভাঙালি স্বপনে মোর এসেছিল, সখি, স্বপন কুমার মনচোর কেন ভাঙালি ঘুমের ঘোর।। সে যেন লো পাশে ব'সে কহিল হেসে হেসে ‘যাব না আর পরদেশে’, সখি, মোছ মোছ আঁখিলোর’।। দেখালো তার হৃদয় খুলি’, কহিল : ‘হের প্রিয়ে তোমার অধিক ব্যথা হেথায় তোমারে ব্যথা দিয়ে।’ জানি না মোর হিয়ার চেয়েও অধিক ক্ষত তার হৃদয় সে হৃদয়ে আমার ছবি, সকল হিয়া আমি-ময়। তাহার জীবন-মালারি মাঝে, সখি, আমি যেন সোনার ডোর।। আমি কহিনু, বুঝেছি সখা তোমার এ দুখ দেওয়ার ছল, ভালোবাসার ফুল না শুকায় তুমি তাই চাহ মোর চোখেরই জল’। জেগে দেখি কেঁদে কেঁদে, সখি, ভিজেছে বুকের আঁচল।।
তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়
বাণী
তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়, সে কি মোর অপরাধ? চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে চকোরিণী বলে না তো কিছু চাঁদ।। চেয়ে’ চেয়ে’ দেখি ফোটে যবে ফুল ফুল বলে না তো সে আমার ভুল মেঘ হেরি’ ঝুরে’ চাতকিনী, মেঘ করে না তো প্রতিবাদ।। জানে সূর্যেরে পাবে না তবু অবুঝ সূর্যমুখী চেয়ে’ চেয়ে’ দেখে তার দেবতারে দেখিয়াই সে যে সুখী। হেরিতে তোমার রূপ–মনোহর পেয়েছি এ আঁখি, ওগো সুন্দর। মিটিতে দাও হে প্রিয়তম মোর নয়নের সেই সাধ।।
দূর আরবের স্বপন দেখি
বাণী
দূর আরবের স্বপন দেখি বাংলাদেশের কুটির হ'তে। বেহোশ হয়ে চলেছি যেন কেঁদে কেঁদে কা'বার পথে।। হায় গো খোদা, কেন মোরে পাঠাইলে হায় কাঙ্গাল ক'রে; যেতে নারি প্রিয় নবীর মাজার শরীফ জিয়ারতে।। স্বপ্নে শুনি নিতুই রাতে - যেন কা'বার মিনার থেকে কাঁদছে বেলাল ঘুমন্ত সব মুসলিমেরে ডেকে ডেকে। ইয়া এলাহি ! বল সে কবে আমার স্বপন সফল হ'বে, গরিব ব'লে হব কি নিরাশ, মদিনা দেখার নিয়ামতে।।
নাচে শ্যাম সুন্দর গোপাল নটবর
বাণী
নাচে শ্যাম সুন্দর গোপাল নটবর সুঠাম মনোহর মধুর ভঙ্গে ঘিরি' সে চরণ ঘুরিছে অগণন গ্রহ-তারা গোপী সম রঙ্গে।। হেরিয়া তাহারি নৃত্যের হিল্লোল পবন উন্মন সাগরে জাগে দোল সে নাচে বিবশ নিশীথ দিবস জাগে হিন্দোল আলো-আঁধার তরঙ্গে।। সে নাচে বৃষ্টি হয় কোটি সৃষ্টি নির্ঝর সম ঝরে ছন্দ সে নাচ হেরিয়া বন্ধন টুটে গো জাগে অনন্ত আনন্দ। ষড় ঋতু ঘুরে' ঘুরে' হেরে সেই নৃত্য প্রেমাবেশে মাতোয়ারা নিখিলের চিত্ত তাই এ ত্রিভুবন হলো না রে পুরাতন পেল চির-যৌবন নাচি' তারি' সঙ্গে।।