রে অবোধ শূন্য শুধু শূন্য
বাণী
রে অবোধ! শূন্য শুধু শূন্য ধূলো মাটির ধরা। শূন্য ঐ অসীম আকাশ রংবেরং-এর খিলান-করা।। হাওয়াতে শূন্য নিমেষ নিমেষে যার হ’য়ে শেষ। এসেছি পথিক এ পর-দেশ জীবন-মৃত্যু ভরা।। হুরী আর গানের প্রিয়া, সাথে তার শারাব নিয়া চল ঐ সবুজ-বিথার ঝর্না-কিনার গোলাব-ঝরা।। এর অধিক সুখের বিলাস স্বরগে করিসনে আশ সে স্বরগ নাই রে কোথাও এমন উধাও দুখ্-পসরা।।
ঝুম্কো লতায় জোনাকি
বাণী
ঝুম্কো লতায় জোনাকি, মাঝে মাঝে বৃষ্টি। আবোল-তাবোল বকে কে, তারও চেয়ে মিষ্টি।। আকাশে সব ফ্যাকাশে, ডালিম-দানা পাকেনি চাঁদ ওঠেনি কোলে তার, মা ব’লে সে ডাকেনি।। রাগ করেছে বাঘিনী, বারো বছর হাসে না স্বপ্ন তাহার ভেঙ্গে যায়, খোকা কেন আসে না।। পাথর হয়ে আছে ঝিনুক, দুধের বাটি, দোলনা! মাকে বলে ‘খোকা কই?’ কিছুই খেলা হ’ল না।। তেমনি আছে ঘরের জিনিস, কিছুই ভাল লাগে না পা আছড়ে মা কেঁদে কয় ‘খোকা কেন ভাঙে না!’
চলচ্চিত্র : ‘দিকশূল’
এলো রমজানেরি চাঁদ এবার দুনিয়াদারি ভোল
বাণী
এলো রমজানেরি চাঁদ এবার দুনিয়াদারি ভোল সারা বরষ ছিলি গাফেল এবার আঁখি খোল।। এই একমাস রোজা রেখে পরহেজ থাক গুনাহ থেকে কিয়ামতের নিয়ামত তোর ঝুলি ভরে তোল।। বন্দী রহে এই মাসে শয়তান মালাউন (তার) এই মাসে যা করবি সওয়াব দর্জা হাজার গুণ। ভোগ বিলাসে মাখলি যে পাঁক রমজানে তা হবে রে সাফ এফতারে তোর কর রে সামান আল্লা রসুল বোল।।
মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই
বাণী
মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুন্তে পাই।। আমার গোরের পাশ দিয়ে ভাই নামাজীরা যাবে, পবিত্র সেই পায়ের ধ্বনি এ বান্দা শুনতে পাবে। গোর আজাব থেকে এ গুণাহ্গার পাইবে রেহাই।। কত পরহেজগার খোদার ভক্ত নবীজীর উম্মত, ঐ মস্জিদে করে রে ভাই কোরান তেলাওয়াৎ। সেই কোরান শুনে যেন আমি পরান জুড়াই।। কত দরবেশ ফকির রে ভাই মস্জিদের আঙিনাতে আল্লার নাম জিকির করে লুকিয়ে গভীর রাতে। আমি তাদের সাথে কেঁদে কেঁদে নাম জপ্তে চাই আল্লার নাম জপ্তে চাই।।