
বর্ণানুক্রমে
নোটিশ বোর্ড
জনপ্রিয়
কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীতে নজরুলগীতির সকল শুভানুধ্যায়ীকে জানাচ্ছি প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীতে নজরুলগীতির সকল শুভানুধ্যায়ীকে জানাচ্ছি প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
এবার যখন উঠ্বে সন্ধ্যাতারা — সাঁঝ আকাশে দেখতে পাবে দু’টি নতুন তারা — তাহার পাশে।। চেয়ে’ দেখ ভালো ক’রে কা’র দু’টি চোখ যেন ম’রে, তারা হয়ে ধরার পানে চাহে তোমার আঁখি দেখার আশে।। যে দু’টি চোখ নিত্য লোকের মাঝে তোমায় দিত লাজ পড়বে মনে গো — সেই দু’টি চোখ চিরতরে এই পৃথিবী হতে হারিয়ে গেছে আজ। পায়নি গো, তাই অভিমানে চ’লে গেলে দূর বিমানে, (দেখো) সেদিন যেন আজের মত চাইতে ওদের পানে দ্বিধা নাহি আসে।।
রাগঃ
তালঃ দাদ্রা
পাষাণ-গিরির বাঁধন টুটে নির্ঝরিণী আয় নেমে আয়। ডাকছে উদার নীল-পারাবার আয় তটিনী আয় নেমে আয়।। বেলাভূমে আছড়ে প’ড়ে কাঁদছে সাগর তোরই তরে, তরঙ্গেরি নূপুর প’রে জল-নটিনী আয় নেমে আয়।। দুই ধারে তোর জল ছিটিয়ে, ফুল ফুটিয়ে আয় নেমে আয়, শ্যামল-তৃণে চঞ্চল-অঞ্চল লুটিয়ে আয় নেমে আয়।। ডাগর১ তোর চোখের চাওয়ায় সাগর-জলে জোয়ার জাগায়, সেই নয়নের স্বপন দিয়ে বন-হরিণী আয় নেমে আয়।।
১. সজল যে
রাগঃ পিলু মিশ্র
তালঃ রূপক
কোন্ অজানা জনে দিব প্রাণ মোর। নেবে আমার মালা সে-কোন কিশোর।। কাহার লাগি’ একেলা জাগি কোথা সে আমার প্রেম-অনুরাগী, কোন্ কাননে রয় সে বনমালী চোর।। পরি’ বধূর সাজ ভুলিয়া কুল লাজ বৃথা আছি ব’সে কোথা হৃদয়-রাজ, মম যৌবন-নিশি জেগে হল ভোর।।
রাগঃ
তালঃ
শ্যালিকা: জামাইবাবু, বলি ও জামাইবাবু । জামাইবাবু: কে? ও, আমার বিরহতুত শালী বুঝি? শ্যালিকা: আহা হা, দিদির বিরহে তোমার চাঁদ মুখ যে অমাবস্যার চাঁদের মত হয়ে উঠেছে । তা, তার বিরহের একটা গান শোনাও? জামাইবাবু: হ্যাঁ, তা মন্দ বলিস নি ভাই, তা মন্দ বলিস নি। তোর মারফতে যদি আমার দুষ্কের কথা তার কাছে গিয়ে পৌঁচয় । শোন্ ভাই, শোন্। আমার বিছানা আছে বালিস আছে বৌ নাই মোর খাটে (ওগো) তার বিরহে বারোটা মাস কেমন ক'রে কাটে ও দাদা গো।। আ, হাহাহা, বিরহে, বিরহে খাট আমার আধখানা হয়ে গেছে বৈশাখ মাস, বৈশাখে প্রাণ ভ'য়সা যেন ধুকে রোদের তাতে (বাবু গো) হাত-পাখা আর নড়ে না ভাই রাতে পিয়ার হাতে জৈষ্ঠি মাস, জৈষ্ঠি মাসের গরমে হিয়ার গুষ্ঠি শুদ্ধু ফাটে ও দাদা গো।। আষাঢ় মাস, আষাঢ় মাসে কট্কটে ব্যাঙ ছট্ফটিয়ে কাঁদে, উহুহুহুহুহু — বাবা রেএএএ ওগো চুলকানি যে উঠলো বেড়ে প্রেমের মইষা দাদে শ্রাবণ মাস, শ্রাবণ মাসে রাবুণে প্রেম জাগে জলের ছাটে, ও দাদা গো।। ভাদ্র মাস, ভাদ্র মাসে আপনার বৌ হলো ভাদ্র বধূ (বাবু গো) আশ্বিন মাসে চাখলাম না হায় পূজার মজার মধু আমার পরাণ লাফায় পাঁঠা যেমন দাপায় হাঁড়িকাঠে ও দাদা গো।। শ্যালিকা: তারপর কি? জামাইবাবু: তারপর? তারপর আর নেই! শ্যালিকা: বা-রে! এই তো মাত্র ভাদ্র-আশ্বিন হলো। আর ছ'মাস যে বাকি রইলো। জামাইবাবু: না-রে ভাই, আর বাকি নেই, আর বাকি নেই, আর বাকি নেই। শ্যালিকা: বলবে না? বলবে না তো? আহা ভাল লাগলো কিনা, তাই এতো খোসামুদি করছি। না গাইবে তো যাও, তোমার সঙ্গে আর আমি কখখনো ... জামাইবাবু : ওরে ওরে ওরে ওরে, শোন্ শোন্ শোন্ শোন্, ও ভাবে যাস্ নি, যাস্ নি। ওরে তুই রাগ করিস নে রে ভাই, তুই রাগ করিস নে। দ্যাখ, এই বার মাস বিরহে বিরহে আমার কাটছে। ওরে তুই আমার একমাত্র শান্ত্বনা। তুই যদি রাগ করে চলে যাস তাহলে আমার অবস্থাটা কি হবে একবার বোঝ্। আচ্ছা, গাইছি শোন্। কার্তিক মাস, হ্যাঁ? কার্তিকে মোর ময়ূরী এই কার্তিককে ফেলে (ওরে) ও তার দাদার ঘরের রাধা হয়ে বেড়ায় পেখম মেলে শ্যালিকা: যাঃ, ভারি দুষ্টু! জামাইবাবু: না, না, সত্যি, সত্যি, সত্যি, শোন্ না, শোন্ না। অঘ্রাণ, অঘ্রাণে ধান কাটে চাষা আমার কেঁদে কাটে ও দাদা গো।। পৌষ মাস, পৌষে আমার বৌ সে কোথায় গুড়ের পিঠা খায় (বাবু গো) আর হেথায় আমার জিহ্বা দিয়া নাল ঝরিয়া যায় মাঘ মাস, ওরে মাঘ মাসে যার মাগ নাই সে যাক না শ্মশান ঘাটে ও বাবু গো।। ফাল্গুন মাস, ফাল্গুনে ছাই ডাল-নুনে কি মেটে প্রেমের খিদে হাতের কাছে কাকে খুঁজি রাতের বেলায় নিদে (আমি) চৈত্র মাস, চৈত্র মাসে মধু খুঁজি হায়রে কদুর বাটে।।
রাগঃ
তালঃ ফের্তা (দাদ্রা ও কাহার্বা)
সেদিন ছিল কি গোধূলি–লগন শুভদৃষ্টি ক্ষণ। চেয়েছিল মোর নয়নের পানে যেদিন তব নয়ন।। সেদিন বকুল শাখে কি গো আঙিনাতে ডেকে উঠেছিল কুহু–কেকা এক সাথে, অধীর নেশায় দুলে উঠেছিল মনের মহুয়া বন।। হে প্রিয়, সেদিন আকাশ হতে কি তারা পড়েছিল ঝ’রে, যেদিন প্রথম ডেকেছিলে তুমি মোর ডাকনাম ধ’রে। (প্রিয়) যেদিন প্রথম ছুঁয়েছিলে ভালবেসে আকাশে কি বাঁকা চাদ উঠেছিল হেসে, শঙ্খ সেদিন বাজায়েছিল কি পাষাণের নারায়ণ।।
রাগঃ শ্যামকল্যাণ
তালঃ
এসো চির-জনমের সাথি। তোমারে খুঁজেছি দূর আকাশে জ্বালায়ে চাঁদের বাতি।। খুঁজেছি প্রভাতে গোধূলি-লগনে মেঘ হয়ে আমি খুঁজেছি গগনে, ঢেকেছে ধরণী আমার কাঁদনে অসীম তিমির রাতি।। ফুল হয়ে আছে লতায় জড়ায়ে মোর অশ্রুর স্মৃতি, বেণু বনে বাজে বাদল-নিশীথে আমারি করুণ-গীতি। শত জনমের মুকুল ঝরায়ে ধরা দিতে এলে আজি মধু-বায়ে, ব’সে আছি আশা-বকুলের ছায়ে বরণের মালা গাঁথি’।।
রাগঃ নাগসরাবলী
তালঃ ত্রিতাল
১.
২.
Nazrulgeeti.org is the largest portal in the world about Nazrulgeeti. Anything and everything about Nazrulgeeti will be found in this portal. All lyrics, used raag and taal, audio/video, swaralipi and unknown stories behind the song, everything will be available here. The collection is growing every day. Be with us and help spread Nazrulgeeti worldwide.
Developed, Owned and Maintained by Mamunur Rahman Khan