আল্লাকে যে পাইতে চায়
বাণী
আল্লাকে যে পাইতে চায় হজরতকে ভালবেসে। আরশ্ কুরসি লওহ কালাম, না চাহিতেই পেয়েছে সে।। রসুল নামের রশি ধ’রে যেতে হবে খোদার ঘরে, নদী-তরঙ্গে যে পড়েছে ভাই, দরিয়াতে সে আপনি মেশে।। তর্ক ক’রে দুঃখ ছাড়া কি পেয়েছিস্ অবিশ্বাসী, কি পাওয়া যায় দেখ্ না বারেক হজরতে মোর ভালবাসি’। এই দুনিয়ায় দিবা-রাতি ঈদ্ হবে তোর নিত্য সাথী, তুই যা চাস্ তাই পাবি রে ভাই আহমদ চান যদি হেসে।।
দোল ফাগুনের দোল লেগেছে
বাণী
দোল ফাগুনের দোল লেগেছে, আমের বোলে দোলন-চাঁপায়। মৌমাছিরা পলাশ-ফুলের গেলাশ ভ’রে মউ পিয়ে যায়।। শ্যামল পাতার কোলে কোলে আবির-রাঙা কুসুম দোলে, দোয়েল শ্যামা লহর তোলে কৃষ্ণচূড়ার ফুলেল শাখায়।। বন-গোপিনী ফুল ছুঁড়ে ঐ খেলে হোরী দখিন-বায়ে, হলদে পাখি দোদুল দুলে সোনাল শাখায় আদুল গায়ে। ভাঁট-ফুলের ঐ নাট-দেউলে রঙিন প্রজাপতি দুলে, মন ছুটে যায় দূর গোকুলে, বৃন্দাবনে প্রেম যমুনায়।।
সুবল সখা এই দেখ্ এই পথে
বাণী
সুবল সখা! এই দেখ্ এই পথে তাহার, সোনার নূপুর আছে পড়ে, বৃন্দাবনের বনমালী গেছে রে ইে পথ ধরে। হরি চন্দন গন্ধ পথে পথে পাই ঝরা ফুলে ছেয়ে আছে বনবীথি তাই। ভ্রমে ভ্রমর শ্রীচরণ-চিহ্ন ঘিরে রাঙ্গা কমল ভ্রমে, ভ্রমে শ্রীচরণ-চিহ্ন ঘিরে। ভাসে বাঁশির বেদন তার মৃদু সমীরে। তারে খুঁজবো কোথায় — সেই চোরের রাজায় খুঁজবো কোথায়? তারে খুঁজলে বনে, মনে লুকায়, চোরের রাজায় খুঁজবো কোথায়? সুবল রে — শ্রীদাম দেখেছে তারে রাখাল দলে, গোপিনীরা দেখিয়াছে যমুনা-জলে। বাঁশরি দেখেছে তারে কদম শাখায় কিশোরী দেখেছে তারে ময়ূর পাখায়। বৃন্দা এসেছে দেখে রাজা মথুরায়, যশোদানন্দ বলে কোলে সে ঘুমায়। জানি না কোথায় সে দে রে দেখায়ে দে কোথা ঘনশ্যাম কবে বুকে পাব তারে, মুখে জপি যাঁর নাম।।