বাণী

	মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই
	যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুন্‌তে পাই।।
	আমার গোরের পাশ দিয়ে ভাই নামাজীরা যাবে,
	পবিত্র সেই পায়ের ধ্বনি এ বান্দা শুনতে পাবে।
	গোর আজাব থেকে এ গুণাহ্‌গার পাইবে রেহাই।।
কত	পরহেজগার খোদার ভক্ত নবীজীর উম্মত,
	ঐ মস্‌জিদে করে রে ভাই কোরান তেলাওয়াৎ।
	সেই কোরান শুনে যেন আমি পরান জুড়াই।।
কত	দরবেশ ফকির রে ভাই মস্‌জিদের আঙিনাতে
	আল্লার নাম জিকির করে লুকিয়ে গভীর রাতে।
আমি	তাদের সাথে কেঁদে কেঁদে নাম জপ্‌তে চাই
	আল্লার নাম জপ্‌তে চাই।।

বাণী

বাঁশি বাজাবে কবে আবার বাঁশরিওয়ালা
তব পথ চাহি ভারত-যশোদা কাঁদিছে নিরালা।।
কৃষ্ণা-তিথির তিমির হারী; শ্রীকৃষ্ণ এসো, এসো, মুরারি
ঘরে ঘরে আজ পুতনা ভীতি হানিছে কালা।।
কংস-কারার ভাঙো ভাঙো দ্বার
দেবকীর বুকের পাষাণ ভঅর নামাও নামাও
যুগ যুগ সম্ভব পুর্ণাবতার!
নিরানন্দ এ দেশ হাসুক আবার, আনন্দে হে নন্দলালা।।

বাণী

তুমি আমার সকাল বেলার সুর
হৃদয় অলস–উদাস–করা অশ্রু ভারাতুর।।
ভোরের তারার মত তোমার সজল চাওয়ায়,
ভালোবাসার চেয়ে সে যে কান্না পাওয়ায়
রাত্রি–শেষের চাঁদ তুমি গো বিদায়–বিধুর।।
তুমি আমার ভোরের ঝরা ফুল
শিশির–নাওয়া শুভ্র–শুচি পূজারিণীর তুল।
অরুণ তুমি, তরুণ তুমি, করুণ তারো চেয়ে
হাসির দেশে তুমি যেন বিষাদ–লোকের মেয়ে
তুমিইন্দ্র–সভার মৌন–বীণা নীরব নূপুর।।

বাণী

দু’হাতে ফুল ছড়ায়ে মন রাঙায়ে ধরায় আসি।
প্রথম যৌবনেরই ঘুম ভাঙাতে বাজাই বাঁশি।।
আমি কই, দেখরে চেয়ে, নেইরে জরা
আজিও চির নূতন — সেই পুরাতন বসুন্ধরা,
মাধবী চাঁদের চোখে আঁকা আজো বাঁকা হাসি।।
ফুটাই আশার কোলে শুকনো ডালে
অবসাদ আসে যবে সাধ ফুরালে,
আমি কই, এই ত’ সুরাপাত্র-পুরা রস-পিয়াসী।।

নাটক : ‘হরপার্বতী’ (কন্দর্পের গান)

বাণী

চুড়ির তালে নুড়ির মালা রিনিঝিনি বাজে লো –
খোঁপায় দোলে বুনো ফুলের কুঁড়ি।
কালো ছোঁড়ার কাঁকাল ধ’রে নাচে মাতাল ছুঁড়ি লো।।
মহুয়া মদের নেশা পিয়ে বুঁদ হয়েছে বৌয়ে–ঝিয়ে
চাঁদ ছুটছে মনকে নিয়ে
ডুরি ছেঁড়া ঘুড়ি (যেন) লো।।
বাজে নুপূর পাঁইজোড় সারা গায়ে নাচের ঘোর
ওলো লেগেছে, মন হ’ল নেশায় বিভোর;
ওই আকাশে চাঁদ হের মেঘের সাথে যেন করে খুনসুড়ি লো।।

বাণী

ঘুম যবে ভাঙবে কন্যা (সুখ) স্বপন যাবে টুটে।
ফুল-শয্যার ফুটবে কাঁটা প্রভাতবেলা উঠে।।

নাটক : ‘মধুমালা’ (ঘুমপরীর গান)